বাংলাদেশ দলকে অনেকবার ভুগিয়েছেন কেইন উইলিয়ামসন। নিউজিল্যান্ডের এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান থিতু হওয়া মানেই বড় কিছু করে বসা। সিলেট টেস্টের আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬ টেস্টের ৮ ইনিংসে ৩ শতকের পাশে আছে ৫টি অর্ধশত। উইলিয়ামসনের সঙ্গী হেনরি নিকোলসেরও বাংলাদেশের বিপক্ষে রেকর্ড ভালো। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৭ ম্যাচে ৯ ইনিংসে ব্যাট করে ৫১.১২ গড়ে ১টি শতক ও ৪টি অর্ধশতকে ৪০৯ রান করেছেন।
আজও দলের বিপদে হাল ধরলেন এই দুজনই। প্রথম সেশনে ৭৮ রান তুলতেই ২ উইকেট হারিয়ে বসা নিউজিল্যান্ডকে ৬৬ রানের জুটি গড়ে বড় রানের স্বপ্ন দেখাতে থাকেন দুজন। বাংলাদেশের ভাগ্য ভালো, ৪২ বল খেলে ১৯ রান করে আউট হন নিকোলস। থিতু হয়ে আউট হয়েছেন ড্যারেল মিচেলও (৫৪ বলে ৪১ রান)। এরপর উইলিয়ামসন (৬৬*) ও টম ব্লান্ডেল (১*) অপরাজিত থেকে দ্বিতীয় সেশন শেষ করেন। নিউজিল্যান্ডের রান ৫২ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬৮।
তবে উইকেট কলামে সংখ্যাটা ৫ হতে পারত। থিতু হওয়া উইলিয়ামসনকে আউট করার সুযোগ ছিল নাজমুলদের। ইনিংসের ৪৯তম ওভারে নাঈম হাসানের ফুল লেংথ ডেলিভারি সুইপের চেষ্টা করেন উইলিয়ামসন। টাইমিংয়ে গড়বড় হওয়ায় ক্যাচ উঠে যায় মিড উইকেটে। সহজতম সুযোগটি হাতে জমাতে পারেননি তাইজুল। উইলিয়ামসন তখন ৬৩ রানে খেলছিলেন।
একই ওভারের প্রথম বলে এলবিডব্লুর আবেদন থেকে রক্ষা পান উইলিয়ামসন। তৃতীয় বলে লেগ গালিতে ক্যাচ তোলেন উইলিয়ামসন। কিন্তু ক্যাচটা সেখানে থাকা শাহাদাত হোসেনের সামনে পড়ে।
এর আগে শরীফুল ইসলাম তাঁর দ্বিতীয় স্পেলে বোলিংয়ে এসে নিকোলসকে কট বিহাইন্ডের ফাঁদে ফেলেন। ৩২তম ওভারে লেংথ থেকে বেরিয়ে যাওয়া বলে ব্যাট ছুঁইয়ে আউট হন এই বাঁহাতি। ৪২ বল খেলে ১৯ রান করেন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে আসা ড্যারেল মিচেল ক্রিজে এসেই দ্রুত রান তুলছিলেন। তাঁকে থামিয়েছেন তাইজুল। ৫৪ বল খেলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪১ রান করা মিচেলকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন তাইজুল।