টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি
সেমিফাইনালে ওঠার সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না নুরুলরা
কার্যত কোয়ার্টার ফাইনাল হয়ে যাওয়া ম্যাচে বাংলাদেশ ‘এ’ দল করে ১৭৫ রান। শেষ চারে উঠতে প্রতিপক্ষকে ১২৩ রানের মধ্যে আটকে রাখতে হতো। নুরুলরা হেরেই গেছেন।
হঠাৎ করেই একটা ‘লাইফলাইন’ পেয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ ‘এ’। নুরুল হাসানের দলকে সেমিফাইনালে ওঠার আরেকটা সুযোগ দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরি। টপ এন্ড টি-টোয়েন্টিতে আজ লিগ পর্বের শেষ দিনে মেলবোর্ন স্টারস একাডেমিকে হারিয়েই বাংলাদেশ ‘এ’ দলকে সুযোগ করে দিয়েছিল ক্যাপিটাল টেরিটরি। সুযোগ কাজে লাগিয়ে শেষ চারে উঠতে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচটিতে নেট রানরেটের হিসাব মিলিয়ে জিততে হতো, কিন্তু অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স একাডেমির কাছে ৭ উইকেটে হেরে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ ‘এ’। ছয় ম্যাচের দুটিতে জেতা নুরুলরা দেশে ফিরছেন ১১ দলের মধ্যে নবম হয়ে।
ম্যাচটি কার্যত কোয়ার্টার ফাইনাল হয়ে গিয়েছিল। অ্যাডিলেডের দলটির শুধু জিতলেই চলত। সেই কাজ সেরে চতুর্থ দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে শিকাগো কিংসমেন, পাকিস্তান শাহিনস ও পার্থ স্কর্চার্স একাডেমির সঙ্গী হয়েছে দলটি। আগামীকাল সেমিফাইনাল ও ফাইনাল।
বাঁচামরার ম্যাচে বাংলাদেশ ‘এ’ দল করেছিল ৪ উইকেটে ১৭৫ রান। ম্যাচ জিতে নেট রানরেটে স্টারস একাডেমিকে পেছনে ফেলে সেমিফাইনালে উঠতে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স একাডেমিকে ১২৩ রানের মধ্যে বেঁধে রাখতে হতো। কিন্তু স্ট্রাইকার্স একাডেমি ১২.৫ ওভারেই পেরিয়ে যায় ১২৩। বাংলাদেশ ‘এ’ দলের বিদায় নিশ্চিত তখনই।
বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে আজ সর্বোচ্চ ৫০ রান করেছেন ওপেনার জিসান আলম। টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় ফিফটি পাওয়া জিসানের ৩৮ বলের ইনিংসে চার ৫টি, ছক্কা ১টি। ২৫ বলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৯ রান আফিফ হোসেনের। ছয় ম্যাচে চারবার ৪০ ছাড়িয়ে অপরাজিত থাকা আফিফ একবারও ৫০ ছুঁতে পারলেন না। আজ ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা মেরেছেন জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া এই ব্যাটসম্যান। ৭০ রানের অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেট জুটিতে তাঁর সঙ্গী ইয়াসির আলী ১৫ বলে করেন ২৫ রান। মাত্র ২৯ বলেই ৭০ রান যোগ করেন দুজন।
রান তাড়ায় স্ট্রাইকার্স একাডেমির উদ্বোধনী জুটিই তুলে ফেলে ১২৩ রান, সেটিও ১২.৪ ওভারে। ৩৫ বলে ৩৫ রান করা জেইক উইন্টারের বিদায়ের পর ১৯ রানের মধ্যেই আরও ২ উইকেট হারায় স্ট্রাইকার্স একাডেমি। তবে হ্যারি মানেন্টিকে নিয়ে বাকি কাজটা সমাধা করেন ওপেনার ম্যাকেঞ্জি হার্ভি। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ক্রিকেটার ইয়ান হার্ভির ভাতিজা ম্যাকেঞ্জি পেয়েছেন সেঞ্চুরিই। ৫৩ বলে ১৫ চার ও ১ ছক্কায় ১০২ রানে অপরাজিত ছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। দুদলের স্কোর যখন সমান, চার ম্যাচে সেঞ্চুরিটি পেয়ে যান ম্যাকেঞ্জি হার্ভি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ‘এ’: ২০ ওভারে ১৭৫/৪ (জিসান ৫০, আফিফ ৪৯*, ইয়াসির ২৫*, নাঈম ১৫, সাইফ ১৫; জ্যাকবস ৩/৩৩)।
অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স একাডেমি: ১৮.১ ওভারে ১৭৯/৩ (হার্ভি ১০২*, উইন্টার ৩৫, মানেন্টি ২৫*; সাইফ ২/২৮, মৃত্যুঞ্জয় ১/৩২)।
ফল: অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স একাডেমি ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ম্যাকেঞ্জি হার্ভি।