একটা বাজে ম্যাচ রোহিতকে খারাপ অধিনায়ক বানায়নি, বলছেন গম্ভীর

ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মারয়টার্স

বিশ্বকাপে ভারত দুর্দান্ত খেলেছে। টানা ৯ ম্যাচ জিতে উঠেছিল ফাইনালে। তবে ফাইনালে ভারত মুখ থুবড়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার সামনে। পুরো বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলেও তাই ভারত আরও একবার বিশ্বকাপহীন। বিশ্বকাপে ভালো খেলা তাদের জন্য নতুন কিছু নয়। ভারতের চাই শিরোপা।

২০১৫ ও ২০১৯ বিশ্বকাপেও ভারত সেমিফাইনাল খেলেছিল। স্বাভাবিকভাবেই শিরোপা জেতাতে না পারায় পুরো বিশ্বকাপে প্রশংসায় ভাসা অধিনায়ক রোহিত শর্মার সমালোচনা হয়েছে, হচ্ছে। ভারতের হয়ে দুটি বিশ্বকাপ জেতা ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর অবশ্য এখনো রোহিতকে প্রশংসাতেই ভাসিয়ে রাখছেন। তাঁর দাবি, একটা বাজে ম্যাচ রোহিতকে খারাপ অধিনায়ক বানিয়ে দেয়নি।

আরও পড়ুন

ভারতের অধিনায়কত্ব স্থায়ীভাবে পাওয়ার আগে মুম্বাইকে অধিনায়ক হিসেবে পাঁচটি আইপিএল শিরোপা জিতিয়েছেন রোহিত। রোহিতের হাতেই ভারতের নেতৃত্ব থাকা উচিত, এমন কথা রোহিত দায়িত্ব পাওয়ার আগে থেকেই বলছেন গম্ভীর।

বিশ্বকাপে ফাইনালে হারার পরও নিজের কথাতে স্থির আছেন গম্ভীর। একটি পডকাস্টে তিনি বলেছেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে রোহিত দারুণ কাজ করেছে। পাঁচটি আইপিএল ট্রফি জেতা সহজ নয়। ওয়ানডে বিশ্বকাপে যেভাবে ভারত দাপট দেখিয়েছে, ফাইনালের আগেও আমি বলেছিলাম, ফলাফল যা–ই হোক না কেন, ভারত চ্যাম্পিয়ন দলের মতো খেলেছে। একটা বাজে ম্যাচ রোহিত শর্মা বাজে অধিনায়ক ও এই দল খারাপ হয়ে যায়নি। শুধু একটা বাজে ম্যাচের জন্য রোহিতকে যদি খারাপ অধিনায়ক বলেন, এটা ন্যায্য হবে না।’

আরও পড়ুন

ভারত এরই মধ্যে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য দল গোছানো শুরু করেছে। চলতি বছর ভারতের হয়ে কোনো টি-টোয়েন্টি না খেলা রোহিত বিশ্বকাপের পরিকল্পনায় আছেন কি না, সেটা নিশ্চিত নয়।

ভারতের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পরিকল্পনায় কি আছেন রোহিত
ছবি: রয়টার্স

ফর্ম থাকলে রোহিতের হাতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নেতৃত্ব থাকা উচিত বলে মনে করেন গম্ভীর, ‘রোহিত যদি ভালো ছন্দে থাকে, ওরই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দেওয়া উচিত। রোহিত যদি ছন্দে না থাকে, যে ক্রিকেটারই ফর্মে থাকবে না, বিশ্বকাপ দলে তাকে নেওয়া উচিত নয়। অধিনায়কত্ব একটা দায়িত্ব। প্রথমে একজন খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হতে হবে এরপর আপনাকে অধিনায়ক বানানো হবে। অধিনায়কের অবশ্যই ফর্মের বিচারে সেরা একাদশে জায়গা নিশ্চিত থাকতে হবে।’

গম্ভীর যোগ করেন, ‘দল থেকে বাদ দেওয়া ও দলে নেওয়ার জন্য বয়স কোনো মানদণ্ড হতে পারে না। ফর্ম শুধু মানদণ্ড হওয়া উচিত। অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্তও ব্যক্তিগত, কেউ কাউকে বাধ্য করতে পারে না। নির্বাচকদের অধিকার আছে তাকে না নেওয়ার, কিন্তু কেউ কারও কাছ থেকে ব্যাট-বল কেড়ে নিতে পারে না। ফর্মকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।’

আরও পড়ুন