- স্বাগত
- টসে হাসি বুমরার, নীতিশ ও হরশিতের অভিষেক
- দুই দলের একাদশ যেমন
- স্টার্কের ফাঁদে জয়সোয়াল
- হ্যাজলউডের শিকার পাডিক্কাল
- আউটের মিছিলে কোহলিও
- বিরল কোহলি!
- রিভিউ নিয়ে রাহুলকে ফেরালেন স্টার্ক
- অস্বস্তি নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে ভারত
- জুরেলকে ফেরালেন মার্শ
- উইকেট পড়ছেই
- ‘জীবন’ পেলেন পন্ত
- পন্তকে ফেরালেন কামিন্স
- ম্যাকসুয়েনি–লাবুশেনের ‘যৌথ ক্যাচ’!
- হ্যাজলউডের চতুর্থ শিকার বুমরা
- ১৫০ রানে থামল ভারতের প্রথম ইনিংস
- অস্ট্রেলিয়ার প্রথম উইকেট নিলেন বুমরা
- লাবুশেনকে ‘জীবন’ দিলেন কোহলি
- বুমরার বলে ‘গোল্ডেন ডাক’ স্মিথ
- ফিরলেন হেডও
- এবার সিরাজের শিকার মার্শ
- লাবুশেন–দেয়াল ভাঙলেন সিরাজ
- অধিনায়ককে আউট করলেন অধিনায়ক
- ৭ উইকেটে ৬৭ রানে দিন শেষ করল অস্ট্রেলিয়া
- ১৭ উইকেটের দিনে ৮৩ রানে পিছিয়ে অস্ট্রেলিয়া
- দ্বিতীয় দিনের খেলায় স্বাগত
- দিনের সপ্তম বলেই ক্যারিকে ফেরালেন বুমরা
- লায়ন ফিরলেন রানার বলে
- এক শ ছুঁতে পারবে কি অস্ট্রেলিয়া?
- ভারতের অপেক্ষা বাড়াচ্ছেন স্টার্ক
- ১০৪ রানে থামল অস্ট্রেলিয়া
- ভারতের ভালো শুরু
- উইকেট না হারিয়েই ভারতের পঞ্চাশ পার
- ১৩০ রানের লিড নিয়ে চা বিরতিতে ভারত
- চা বিরতির পর সাবধানী জয়সোয়াল–রাহুল
- ভারতের ১০০, জয়সোয়ালের ৫০
- রাহুলের ফিফটি
- রেকর্ড!
- পার্থ টেস্টে ভারতের দাপট
- ছক্কা মেরে সেঞ্চুরি জয়সোয়ালের
- রাহুলের বিদায়ে ভাঙল ২০০ রানের জুটি
- ছক্কায় সেঞ্চুরি
- ভারতের লিড তিন শর পথে
- ৩০০ পেরিয়ে ভারত
- দ্বিতীয় সেশনের প্রথম বলেই ফিরলেন পাড়িক্কাল
- টেন্ডুলকারের পাশে জয়সোয়াল
- অস্ট্রেলিয়াকে ‘মুক্তি’ দিলেন জয়সোয়াল
- পন্ত থামলেন ১ রানে
- হঠাৎ আউটের মিছিল
- ‘কাঁটা’ সরালেন লায়ন
- কোহলির সেঞ্চুরি ও ভারতের ইনিংস ঘোষণা
- কামিন্স নেমেই ফিরলেন
- বুমরা অন ফায়ার, পুড়লেন লাবুশেন
- তৃতীয় দিনের খেলা শেষ, ঘুমোতে পারবে তো অস্ট্রেলিয়া?
- চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় ওভারেই ফিরলেন খাজা
- ৫ উইকেটে ১০৪ রান নিয়ে লাঞ্চে অস্ট্রেলিয়া
- হেডকে থামালেন বুমরা, মার্শকে নীতিশ
- ভারতের ২ উইকেটের অপেক্ষা
- লায়নও আউট, ১ উইকেট দূরে ভারত
- অস্ট্রেলিয়া ২৩৮ রানে অলআউট, ভারত জিতল ২৯৫ রানে
স্বাগত
পার্থ টেস্ট দিয়ে শুরু হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া–ভারত পাঁচ টেস্টের বোর্ডার–গাভাস্কার ট্রফি। প্রথম টেস্টে ভারতকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক যশপ্রীত বুমরা, অস্ট্রেলিয়াকে যথারীতি প্যাট কামিন্স।
টসে হাসি বুমরার, নীতিশ ও হরশিতের অভিষেক
টসে জিতেছেন ভারত অধিনায়ক বুমরা। প্যাট কামিন্স যে তাতে অখুশী, তা নয়। বলেছেন, টসের ফল যেমনই হোক, তাঁর সমস্যা নেই।
ভারত অভিষেক ক্যাপ দিয়েছেন পেসার হর্ষিত রানা ও অলরাউন্ডার নীতিশ রেড্ডিকে। আর অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ব্যাগি গ্রিন টুপি পেয়েছেন নাথান ম্যাকসুয়েনি।
দুই দলের একাদশ যেমন
ভারত: লোকেশ রাহুল, যশস্বী জয়সোয়াল, দেবদূত পাডিক্কাল, বিরাট কোহলি, ঋষভ পন্ত, ধ্রুব জুরেল, নীতিশ রেড্ডি, ওয়াশিংটন সুন্দর, হর্ষিত রানা, যশপ্রীত বুমরা (অধিনায়ক) ও মোহাম্মদ সিরাজ।
অস্ট্রেলিয়া: উসমান খাজা, নাথান ম্যাকসুয়েনি, মারনাস লাবুশেন, স্টিভেন স্মিথ, ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শ, অ্যালেক্স ক্যারি, প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), মিচেল স্টার্ক, নাথান লায়ন, জশ হ্যাজলউড।
স্টার্কের ফাঁদে জয়সোয়াল
দিনের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলেই মিচেল স্টার্কের আঘাত! ভারত হারাল প্রথম উইকেট।
ডেলিভারি ছিল ফুল লেংথের, জয়সোয়াল চেয়েছিলেন ড্রাইভ করতে করতে। কিন্তু যথেষ্ট উঠে যাওয়া বলে টাইমিং হয়নি ঠিকঠাক। বল গেছে গালি অঞ্চলে ম্যাকসুয়েনির হাতে। স্কোরবোর্ডে ৫ রান উঠতেই ভারত হারাল প্রথম উইকেট।
জয়সোয়াল অবশ্য ৮ বল খেলেও শূন্য। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে দেবদূত পাডিক্কাল।
হ্যাজলউডের শিকার পাডিক্কাল
উইকেটে টিকে থাকার প্রবল চেষ্টাই করে গেছেন দেবদূত পাডিক্কাল। তবে ফল শেষ পর্যন্ত শূন্যই।
জশ হ্যাজলউডের বেরিয়ে যাওয়া বল পাডিক্কালের ব্যাট ছুঁয়ে জমা পড়েছে উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারির হাতে। বাঁ হাতি পাডিক্কাল ফিরেছেন ২৩ বলে শূন্য রানে।
১১তম ওভারের শেষ বলে স্কোরবোর্ডে ১৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়েছে ভারত। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে লোকেশ রাহুলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বিরাট কোহলি।
আউটের মিছিলে কোহলিও
টিকতে পারলেন না বিরাট কোহলিও।
হ্যাজলউডের চতুর্থ স্টাম্পে রাখা শর্ট ডেলিভারিটি একটু বেশিই উঠেছিল। যা কোহলির ব্যাটের ওপরের অংশে লেগে সোজা প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো উসমান খাজার হাতে জমা পড়েছে।
৩২ রানে ৩ উইকেট নেই ভারতের। কোহলি ফিরেছেন ১২ বলে ৫ রান করে। নতুন ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্ত। লোকেশ রাহুল অপরাজিত ২১ রানে।
বিরল কোহলি!
২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি–মার্চে অস্ট্রেলিয়া ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই সিরিজ মিলিয়ে টানা ৫ ইনিংসে ২০ রানের কমে আউট হয়েছিলেন কোহলি।
সে বার রানখরা কাটিয়েছিলেন ষষ্ঠ ইনিংসে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে। এবার পার্থ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেও কি তেমনটা দেখা যাবে?
রিভিউ নিয়ে রাহুলকে ফেরালেন স্টার্ক
স্কোরবোর্ডে পঞ্চাশ রানও যোগ হয়নি, ভারত হারিয়ে ফেলল চতুর্থ উইকেট।
মিচেল স্টার্কের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন লোকেশ রাহুল। মাঠের আম্পায়ার অবশ্য আউট দেননি। তবে আত্মবিশ্বাসী অস্ট্রেলিয়া রিভিউ চেয়ে বসে। তাতেই বদলে যায় মাঠের সিদ্ধান্ত। সকাল থেকে সবচেয়ে ভালো ব্যাট করা রাহুল ফিরলেন ৭৪ বলে ২৬ রান করে। রাহুল অবশ্য আউটের সিদ্ধান্তে খুবই অসন্তুষ্ট। আম্পায়ারকে বলার চেষ্টা করেছেন বল তাঁর ব্যাটে লাগেনি।
নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে এসেছেন ধ্রুব জুরেল। ২৩ ওভার শেষে ভারতের প্রথম ইনিংসের রান ৪ উইকেটে ৪৭।
অস্বস্তি নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে ভারত
দিনের শুরুতে টসে হারলেও লাঞ্চ বিরতিতে মুখে হাসি নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন প্যাট কামিন্স। সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম সেশনেই ভারতের ৪ উইকেট তুলে নেওয়া গেছে—এর চেয়ে ভালো আর কী–ই–বা আশা করতে পারত অস্ট্রেলিয়া।
জয়সোয়াল ও পাডিক্কাল ফিরেছেন শূন্য রানে। সাম্প্রতিক অফ ফর্ম থেকে বের হতে পারেননি কোহলিও, হ্যাজলউডের বলে ক্যাচ দিয়েছেন প্রথম স্লিপে। তুলনায় ভালোই খেলছিলেন লোকেশ রাহুল। তবে স্টার্কের দারুণ এক ডেলিভারিতে তিনিও উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন।
৪৭ রানে চতুর্থ উইকেট হারানো ভারত লাঞ্চ বিরতিতে গেছে ৪ উইকেটে ৫১ রান নিয়ে। ঋষভ পন্ত ব্যাট করছেন ১০ রানে, সঙ্গে ধ্রুব জুরেল ৪ রানে।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউড।
জুরেলকে ফেরালেন মার্শ
মাঝে আধা ঘণ্টার বেশি সময় লাঞ্চ বিরতি ছিল। তবে মাঠের খেলাতেই যা বিরতি, ভারতের উইকেট মিছিলে কোনো বিরতি নেই। লাঞ্চ বিরতির পর তৃতীয় ওভারেই ভারত হারাল ধ্রুব জুরেলের উইকেট।
পঞ্চম বোলার হিসেবে আক্রমণে আসা মার্শের ডেলিভারিটি ছিল ফুল লেন্থের। জুরেল সামনে পা বাড়িয়ে রক্ষণাত্মক খেলতে চেয়েছিলেন, বল তাঁর ব্যাটে লেগে তৃতীয় স্লিপে লাবুশেনের হাতে ‘নিচু ক্যাচ’।
৫৯ রানে পঞ্চম উইকেট হারাল ভারত। জুরেল ফিরেছেন ২০ বলে ১১ রান করে। ঋষভ পন্তের সঙ্গে মাঠে এসে যোগ দিয়েছেন ওয়াশিংটন সুন্দর।
উইকেট পড়ছেই
উইকেটের পতন আটকাতেই পারছে না ভারত। এবার ফিরলেন ওয়াশিংটন সুন্দরও।
মিচেল মার্শের বলে উইকেটকিপার ক্যারির হাতে ক্যাচ দিয়েছেন সুন্দর (১৫ বলে ৪)। ৭৩ রানে ৬ উইকেট হারাল ভারত। নতুন ব্যাটসম্যান অভিষিক্ত নীতিশ রেড্ডি। সঙ্গে ঋষভ পন্ত।
‘জীবন’ পেলেন পন্ত
ক্যাচটি কঠিন ছিল!
মিচেল স্টার্কের করা ৩৯তম ওভারের চতুর্থ বলে মিড অন দিয়ে মারতে গিয়ে বল আকাশে তুলেছিলেন ঋষভ পন্ত। প্যাট কামিন্স উল্টো দিকে অনেকটুকু দৌড়ে ডাইভ দিয়েও বল হাতে রাখতে পারেননি।
২৭ রানে ব্যাট করছিলেন পন্ত। ভারত প্রথম ইনিংস: ৩৯ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ৯৮।
পন্তকে ফেরালেন কামিন্স
নিজের ওপর বেশ অসন্তুষ্টি নিয়েই মাঠ ছাড়লেন ঋষভ পন্ত।
কামিন্সের অফ স্টাম্পের সামান্য বাইরের বলটি ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ব্যাটে লেগে বল গেল দ্বিতীয় স্লিপে স্টিভ স্মিথের হাতে। থেমে গেল পন্তের ৭৮ বলে ৩৭ রানের ইনিংস। ভারত সপ্তম উইকেট হারাল ১২১ রানে। নতুন ব্যাটসম্যান হর্ষিত রানা।
ম্যাকসুয়েনি–লাবুশেনের ‘যৌথ ক্যাচ’!
হর্ষিত রানা ফিরলেন জশ হ্যাজলউডের তৃতীয় শিকার হয়ে। তবে উইকেটটা হ্যাজলউডের হলেও আসল কৃতিত্বটা প্রাপ্য দুই ফিল্ডার নাথান ম্যাকসুয়েনি ও মারনাস লাবুশেনের।
হর্ষিতের ব্যাট হয়ে বল চলে যাচ্ছিল তৃতীয় স্লিপ ও গালি অঞ্চলের মাঝ দিয়ে। গালিতে দাঁড়ানো ম্যাকুয়েনি বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বলের নাগাল পেলেও হাতে জমাতে পারেননি। তবে মাটিতে পড়ার আগেই সেটি খপ করে ধরে ফেলেন তৃতীয় স্লিপে থাকা লাবুশেন। এটি ভারতের অষ্টম উইকেট।
৪৭ ওভার শেষে ভারতের রান ৮ উইকেটে ১২৮। উইকেটে আছেন নীতিশ রেড্ডি ও যশপ্রীত বুমরা।
হ্যাজলউডের চতুর্থ শিকার বুমরা
দুই বল আগেই এলোপাতাড়ি খেলতে গিয়ে উইকেটকিপারের মাথার ওপর দিয়ে হ্যাজলউডকে ছক্কা মেরেছেন যশপ্রীত বুমরা।
তবে ওভারের শেষ বলে আর পেরে উঠলেন না ভারত অধিনায়ক। ৮ বলে ৮ রান করে উইকেটকিপার ক্যারির হাতে ক্যাচ দিয়েছেন বুমরা। ১৪৪ রানে পড়ল ভারতের নবম উইকেট। হ্যাজলউড পেলেন নিজের চতুর্থ উইকেট।
১৫০ রানে থামল ভারতের প্রথম ইনিংস
ভারত প্রথম ইনিংস: ৪৯.৪ ওভারে ১৫০ (নীতিশ ৪১, পন্ত ৩৭, রাহুল ২৬, জুরেল ১১; হ্যাজলউড ৪/২৯, মার্শ ২/১২, স্টার্ক ২/১৪, কামিন্স ২/৬৭)।
পুরো দুই সেশনও টিকল না ভারতের প্রথম ইনিংস। বোর্ডার–গাভাস্কার ট্রফির প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে চা বিরতির আগে ভারতের প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছে ১৫০ রানে।
শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে প্যাট কামিন্সের বলে উসমান খাজার হাতে ক্যাচ হয়েছেন নীতিশ রেড্ডি। অভিষিক্ত রেড্ডির করা ৪১ রানই ভারতের ইনিংসের সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭ রান এসেছে ঋষভ পন্তের ব্যাট থেকে। ভারতের দেড় শ রানের ইনিংসে সবচেয়ে বড় জুটিটাও (৪৮) গড়েছেন এ দুজনই।
সপ্তম উইকেটে নীতিশ–ঋষভ জুটি বাঁধার আগে ৭৩ রানেই ৬ উইকেট হারিয়েছিল ভারত। দিনের প্রথম ঘণ্টার মধ্যেই ভারত হারায় যশস্বী জয়সোয়াল ও দেবদূত পাডিক্কালের উইকেট। দুজনই ফেরেন শূন্য হাতে। লাঞ্চ বিরতির আগে হতাশা জাগিয়ে ফেরেন বিরাট কোহলি (৫) আর লোকেশ রাহুলও (২৬)।
৪ উইকেটে ৫১ রান নিয়ে দ্বিতীয় সেশনে ব্যাট করতে নেমে ভারত ২৪.৪ ওভারে বাকি ৬ উইকেটে যোগ করেছে আরও ৯৯ রান।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন জশ হ্যাজলউড, যার মধ্যে আছে কোহলির উইকেটও। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন অন্য তিন পেসার মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স ও মিচেল মার্শ। অফ স্পিনার নাথান লায়ন ৫ ওভার হাত ঘুরিয়ে উইকেটশূন্য।
ভারতের অলআউটের সঙ্গে চা বিরতি দেওয়া হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রথম উইকেট নিলেন বুমরা
অভিষিক্ত নাথান ম্যাকসুয়েনিকে ফিরিয়ে ভারতকে প্রথম উইকেট এনে দিয়েছেন যশপ্রীত বুমরা। প্রথম ওভারে বুমরাকে এবং দ্বিতীয় ওভারে মোহাম্মদ সিরাজকে চার মেরে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ম্যাকসুয়েনি।
তবে বুমরার দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েছেন এই ডানহাতি। মাঠের আম্পায়ার অবশ্য আউট দেননি। রিভিউ নিয়ে ম্যাকসুয়েনির উইকেট নিশ্চিত করেছে ভারত। অভিষেকে অস্ট্রেলিয়ার এই ওপেনার ফিরেছেন ১৩ বলে ১০ রান করে।
অস্ট্রেলিয়া প্রথম উইকেট হারাল ১৪ রানে। উইকেটে উসমান খাজার সঙ্গে এসে যোগ দিয়েছেন মারনাস লাবুশেন।
লাবুশেনকে ‘জীবন’ দিলেন কোহলি
হাতের ক্যাচ মাটিতে!
মারনাস লাবুশেন এসে যশপ্রীত বুমরার করা তৃতীয় ওভারে কেবল একটি বল খেলেছেন। পরের বলেই (ওভারের পঞ্চম) দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন লাবুশেন। নিচু হয়ে স্লিপে যাওয়া বলটি হাতেও পেয়েছিলেন কোহলি। কিন্তু রাখতে পারেননি। বুমরা উল্লাস করে উঠলেও কোহলিই ইশারায় বুঝিয়েছেন, ক্যাচটি তিনি নিতে পারেননি।
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস: ৩ ওভার শেষে ১ উইকেটে ১৪।
বুমরার বলে ‘গোল্ডেন ডাক’ স্মিথ
সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া যাকে বলে, বল হাতে সেটিই করছেন যশপ্রীত বুমরা। ভারত অধিনায়ক টানা দুই বলে ফিরিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার উসমান খাজা ও তারকা ব্যাটসম্যান স্টিভেন স্মিথকে। হ্যাটট্রিকও পেতে পারতেন, যদি ট্রাভিস হেডের প্যাডে লাগা বলটি লেগ স্টাম্পের দিকে না থাকত।
আগেই ম্যাকসুয়েনিকে তুলে নেওয়া বুমরা নিজের চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে খাজাকে ফিরিয়েছেন স্লিপে কোহলির ক্যাচ বানিয়ে (১৯ বলে ৮ রান)। ঠিক পরের বলেই স্টিভেন স্মিথ আটকা এলবিডব্লুতে। এমনই যে, রিভিউ নেওয়ার পথে হাঁটেননি অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক।
পরপর দুই বলে উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৩ উইকেটে ১৯। উইকেটে লাবুশেনের সঙ্গে আছেন ট্রাভিস হেড।
ফিরলেন হেডও
হর্ষিত রানার দারুণ এক বলে বোল্ড হয়ে গেলেন ট্রাভিস হেডও। বুমরার তিন উইকেটের পর টেস্টে নিজের প্রথম উইকেটটি পেলেন হার্ষিত। তাঁর ভেতরে ঢোকা গুড লেংথের বলটি সামলানোর সুযোগই পাননি হেড। ৩১ রান করতেই অস্ট্রেলিয়া হারাল চতুর্থ উইকেট।
এবার সিরাজের শিকার মার্শ
ভারতকে ১৫০ রানে অলআউট করে স্বস্তিতে নেই অস্ট্রেলিয়াও। উইকেট–পতনের মিছিলে এবার যোগ হয়েছেন মিচেল মার্শ। মোহাম্মদ সিরাজের বলে স্লিপে লোকেশ রাহুলের ক্যাচে পরিণত হয়েছেন মার্শ (১৯ বলে ৬ রান)।
অস্ট্রেলিয়া তাদের ইনিংসের অর্ধেক ব্যাটসম্যানকে হারাল ৩৯ রানে। এর আগে দিনের প্রথম ভাগে ভারত ৫ উইকেট হারিয়েছিল ৫৯ রানে।
অস্ট্রেলিয়ার নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন অ্যালেক্স ক্যারি। সঙ্গে লাবুশেন অপরাজিত ৩৮ বলে ১ রান করে।
এটা তো আউট!
১৯৮০ সালের পর এবার নিয়ে দ্বিতীয়বার অস্ট্রেলিয়া ঘরের মাঠে ৪০ রান তোলার আগে ৫ উইকেট হারাল। আজকের আগের ঘটনাটি ২০১৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হোবার্ট টেস্টের। সে ম্যাচে মাত্র ১৭ রানে ৫ উইকেট গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার।
লাবুশেন–দেয়াল ভাঙলেন সিরাজ
অস্ট্রেলিয়ার উইকেট–মিছিলের মধ্যেও অনেকটা সময় এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন মারনাস লাবুশেন। বুমরা–সিরাজ–হর্ষিতদের একেকটি পেস–তোপের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন দেয়াল হয়ে।
তবে ডানহাতি এ ব্যাটসম্যানও শেষ পর্যন্ত হার মানলেন। সিরাজের বলে ধরা পড়লেন এলবিডব্লুর ফাঁদে। ফেরার আগে মূল্যবান একটা ফিফটি করে গেছেন লাবুশেন। খেলেছেন ৫২ বল। যে উইকেটে ব্যাটসম্যানরা উইকেট দিচ্ছেন টপাটপ, সে উইকেটে পঞ্চাশ বল টেকাই যে অনেক কিছু!
২ রান করে লাবুশেন ফেরার সময় অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের রান ৬ উইকেটে ৪৭।
অধিনায়ককে আউট করলেন অধিনায়ক
যশপ্রীত বুমরার চতুর্থ শিকার হলেন প্যাট কামিন্স। ভারত অধিনায়কের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক। এটি বুমরার চতুর্থ উইকেট, অস্ট্রেলিয়ার দলের সপ্তম।
পার্থে স্বাগতিকদের রান ৭ উইকেটে ৫৯। অ্যালেক্স ক্যারির সঙ্গে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে যোগ দিয়েছেন মিচেল স্টার্ক।
৭ উইকেটে ৬৭ রানে দিন শেষ করল অস্ট্রেলিয়া
স্টাম্পের বেলস ফেললেন আম্পায়ার!
গত আধা ঘণ্টা যেন এ মুহূর্তেরই অপেক্ষায় ছিল অস্ট্রেলিয়া। কখন আম্পায়ার বেলস ফেলে দিনের খেলা শেষ করবেন, কখন ঝড় থামবে। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের ২৭তম ওভারে শেষে এলো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। পার্থ টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষ।
দিন শেষে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের রান ৭ উইকেটে ৬৭। ভারতের প্রথম ইনিংসের চেয়ে এখনো ৮৭ রানে পিছিয়ে।
অপরাজিত আছেন অ্যালেক্স ক্যারি (১৮) ও মিচেল স্টার্ক (৬)।
১৭ উইকেটের দিনে ৮৩ রানে পিছিয়ে অস্ট্রেলিয়া
ভারত প্রথম ইনিংস: ৪৯.৪ ওভারে ১৫০ (নীতিশ ৪১, পন্ত ৩৭, রাহুল ২৬, জুরেল ১১; হ্যাজলউড ৪/২৯, মার্শ ২/১২, স্টার্ক ২/১৪, কামিন্স ২/৬৭)। অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস: ২৭ ওভারে ৬৭/৭ (ক্যারি ১৯*, হেড ১১, ম্যাকসুয়েনি ১০; বুমরা ৪/১৭, সিরাজ ২/১৭)।
দিনের প্রথম দুটি সেশনই ছিল অস্ট্রেলিয়ার, ভারত ছিল হতাশায়। কিন্তু তৃতীয় ও শেষ সেশনে ম্যাচের মোড় ঘুরেছে ১৮০ ডিগ্রি। অস্ট্রেলিয়াকে টপকে পার্থ টেস্টে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা নিয়েছে ভারত।
১৫০ রানে অলআউট হওয়া ভারত যে দিন শেষে স্বস্তিকর অবস্থানে, তাতে মূল ভূমিকা অধিনায়ক যশপ্রীত বুমরার। নিজের প্রথম চার ওভারের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার নাথান ম্যাকসুয়েনি ও উসমান খাজা এবং তারকা ব্যাটসম্যান স্টিভেন স্মিথকে তুলে নেন বুমরা।
এর মধ্যে খাজা ও স্মিথকে ফেরান টানা দুই বলে। পরে হর্ষিত রানা এসে ট্রাভিস হেড আর মোহাম্মদ সিরাজ মিচেল মার্শ ও মারনাস লাবুশেনকে তুলে নিলে ৪৭ রানেই ৬ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। দিনের খেলা শেষের দুই ওভার আগে কামিন্সকে দিয়ে নিজের চার উইকেট পূর্ণ করেন ভারত অধিনায়ক।
এর আগে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে চার উইকেট নিয়েছেন জশ হ্যাজলউড। বাকি ৬ উইকেট তিন পেসার স্টার্ক, কামিন্স ও মার্শের। ভারতও পড়েছিল অস্ট্রেলিয়ার মতো বিপদে। ৭৩ রানে ষষ্ঠ উইকেটের পতনের পর ঋষভ পন্ত ও নীতিশ রেড্ডির ৪৮ রানের জুটিতে এক শ পার হয় ভারত। অভিষিক্ত নীতিশ খেলেন ৪১ রানের ইনিংস, পন্ত ৩৭। এ দুজনের ইনিংসই দিন শেষে বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া আগামীকাল দ্বিতীয় দিনে খেলতে নামবে ভারতের চেয়ে ৮৩ রানে পিছিয়ে থেকে।
দ্বিতীয় দিনের খেলায় স্বাগত
পার্থ টেস্টে আজ দ্বিতীয় দিন। যদিও এরই মধ্যে দুই দলের এক ইনিংস করে প্রায় শেষ। গতকাল প্রথম দিনে দুই সেশন ব্যাট করে ভারত ১৫০ রানে অলআউট হয়।
দিনের শেষ সেশনে ব্যাট করতে নেমে ৬৭ রানেই ৭ উইকেট হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। প্যাট কামিন্সের দল এখনো ৮৩ রানে পিছিয়ে।
প্রথম দিনের ভালো উইকেটে যেভাবে খেলা এগিয়েছে, তাতে আজ দ্বিতীয় দিনের খেলায় ফলের পথ অনেকটাই ঠিক হয়ে যেতে পারে।
দেখা যাক, কোন পথে যাচ্ছে পার্থ টেস্ট। সরাসরি ধারা বিবরণী, ঘটন–অঘটন ও উপাত্ত–পরিসংখ্যানের জন্য চোখ রাখুন এই আয়োজনে।
দিনের সপ্তম বলেই ক্যারিকে ফেরালেন বুমরা
ভারতের হয়ে দ্বিতীয় দিনের প্রথম ওভার করেছেন হর্ষিত রানা। উঠেছে ৩ রান। পরের ওভারে বল হাতে নিলেন যশপ্রীত বুমরা। প্রথম বলেই উইকেট।
রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে বুমরার অফ স্টাম্পের বাইরে থাকা শর্ট ডেলিভারিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন অ্যালেক্স ক্যারি (৩১ বলে ২১ রান)। বুমরার এটি ইনিংসে পঞ্চম উইকেট। অস্ট্রেলিয়া হারাল অষ্টম ব্যাটসম্যান।
নতুন ব্যাটসম্যান নাথান লায়ন। অস্ট্রেলিয়ার রান ৮ উইকেটে ৭০।
লায়ন ফিরলেন রানার বলে
হর্ষিত রানার দ্বিতীয় শিকার হয়ে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন নাথান লায়ন (১৬ বলে ৫ রান)। অস্ট্রেলিয়া নবম উইকেট হারাল ৭৯ রানে।
এখনো ভারতের প্রথম ইনিংসের চেয়ে ৭১ রানে পিছিয়ে অস্ট্রেলিয়া।
এক শ ছুঁতে পারবে কি অস্ট্রেলিয়া?
নবম উইকেট গেছে ৭৯ রানে। অস্ট্রেলিয়ার রান এখন ৯৫। অন্তত তিন অংকে পৌঁছাতে হলেও আরও ৫ রান দরকার। অস্ট্রেলিয়া কি সেটা পারবে?
এরই মধ্যে দুটো বড় ‘মাইলফলক’ অবশ্য পেরিয়ে এসেছে তাঁরা। ভারতের বিপক্ষে টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিম্ন রান ছিল ৮৩, দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ছিল ৯১। এ যাত্রায় দুটোই পার হয়েছে। জশ হ্যাজলউডকে সঙ্গে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন মিচেল স্টার্ক। যিনি এই মুহূর্তে অপরাজিত ২১ রানে।
ভারতের অপেক্ষা বাড়াচ্ছেন স্টার্ক
স্টার্কের ব্যাটে ১০০ পার করল অস্ট্রেলিয়া। হ্যাজলউডকে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ২২ রানের জুটি গড়েছেন এই ফাস্ট বোলার। যা অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস সর্বোচ্চ জুটি। নিজেও ব্যাটিং করেছেন ইনিংস সর্বোচ্চ ২৫ রান নিয়ে।
অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৯ উইকেটে ১০১। ভারতের চেয়ে অস্ট্রেলিয়া এখন পিছিয়ে ৪৯ রানে।
১০৪ রানে থামল অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস: ৫১.২ ওভারে ১০৪ (স্টার্ক ২৬, ক্যারি ২১, হেড ১১, ম্যাকসুয়েনি ১০; বুমরা ৫/৩০, হর্ষিত ৩/৪৮, সিরাজ ২/২০)।
দলের সবাইকে ব্যাটিং শেখালেন মিচেল স্টার্ক। পার্থে শেষ উইকেটে জশ হ্যাজলউডকে নিয়ে গড়লেন ইনিংস সর্বোচ্চ ২৫ রানের জুটি। যে জুটির কারণে বেশ কয়েকটি ভুলে যাওয়ার মতো রেকর্ড সঙ্গী হয়নি অস্ট্রেলিয়ার।
প্রথম সেশনের শেষ ওভারে আউট হওয়া হর্ষিত রানার বলে আউট হওয়া স্টার্ক করেছেন ২৬ রান। যা অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ। স্টার্ক ব্যাটসম্যান হয়ে ওঠায় ভারতের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া তুলতে পেরেছে ১০৪ রান। প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে অলআউট হওয়া ভারতের লিড এখন ৪৬ রানের।
ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিম্ন সংগ্রহ ছিল ৮৩ রান। সে ঘটনা ৪৩ বছর আগের, মেলবোর্নে। আজ এর আগেও অলআউট হতে পারত অস্ট্রেলিয়া, যদি না দলীয় ৮২ রানে বুমরার বলে শেষ ব্যাটসম্যান হ্যাজলউডের ক্যাচ ঋষভ পন্ত না ছাড়তেন। একুশ শতকে অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিম্ন সংগ্রহ ছিল ৮৫ রান। পন্তের ক্যাচ মিসে সেটিও ছাড়ায় অস্ট্রেলিয়া। পন্তের ভুলের পাশাপাশি আসল কৃতিত্ব স্টার্ককেই দিতে হবে।
বুমরা উইকেট নিয়েছে ৫টি। হর্ষিত রানা ৩টি আর সিরাজ নিয়েছেন ৩ উইকেট।
ভারতের ভালো শুরু
স্টার্ক–হ্যাজলউড পারেননি, এবার বোলিংয়ে এসেছেন অধিনায়ক কামিন্স। নতুন বলের চ্যালেঞ্জ সামলে ১৩ ওভারে ভারত তুলেছে বিনা উইকেটে ৩৫ রান। ভারতের লিড এখন ৮১ রানের। যশস্বী জয়সোয়াল ১৭ ও লোকেশ রাহুল ১২ রানে ব্যাটিং করছেন।
উইকেট না হারিয়েই ভারতের পঞ্চাশ পার
স্কোরবোর্ডে ৫০ রান, উইকেটের ঘর শূন্য!
বিশেষ কিছু নয়, আবার প্রথম ইনিংসের সঙ্গে তুলনা করলে উদ্যাপন করার মতো। গতকাল পার্থ টেস্টের প্রথম দিনে ভারত ৫০ রান তোলার আগেই হারিয়েছিল ৪ উইকেট, আর অস্ট্রেলিয়া তো ৪৭ রানেই হারিয়ে বসেছিল ৬ উইকেট।
সেই একই উইকেটে আজ ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫০ রান উঠে গেছে কোনো উইকেট না হারিয়েই। ১৬ ওভার শেষে ভারতের রান ৫৭। যশস্বী জয়সোয়াল ২৮ আর লোকেশ রাহুল ২২ রানে ব্যাট করছেন।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভারতের লিড এখন ১০৩ রানের।
১৩০ রানের লিড নিয়ে চা বিরতিতে ভারত
দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করেছে ভারত। ২৬ ওভার ব্যাট করে ভারতের রান বিনা উইকেটে ৮৪। যশস্বী জয়সোয়াল ৪২, লোকেশ রাহুল ৩৪ রানে অপরাজিত।
অবিচ্ছিন্ন উদ্বোধনী জুটির কল্যাণে পার্থে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বড় লিডের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ভারত। প্রথম ইনিংসে ৪৬ রানে এগিয়ে থাকা দলটি এই মুহূর্তে প্যাট কামিন্সদের চেয়ে এগিয়ে ১৩০ রানে। হাতে আছে পুরো ১০ উইকেট, ম্যাচেও বাকি আজকের পর আরও তিন দিন।
অস্ট্রেলিয়া তাদের দ্বিতীয় ইনিংসের বোলিংয়ে এরই মধ্যে ৬ বোলারকে ব্যবহার করেছে। চার পেসার কামিন্স, হ্যাজলউড, স্টার্ক, মার্শ ছাড়াও স্পিনে হাত ঘুরিয়েছেন লায়ন ও লাবুশেন। তবে উইকেটের দেখা মেলেনি। এমনকি ভারতীয় ওপেনারদের ওপর বলার মতো চাপও তৈরি করতে পারেননি কেউ। পিচ এখন ব্যাটিং–বান্ধব। গতকালের মতো মুভমেন্ট পাচ্ছেন না অস্ট্রেলিয়ানরা।
চা বিরতির পর সাবধানী জয়সোয়াল–রাহুল
দিনের শেষ সেশনের শুরু থেকে ঘুরেফিরে বোলিংয়ে আসছেন প্যাট কামিন্স, নাথান লায়ন ও জশ হ্যাজলউড। দারুণ লাইন–লেংথে বল করছেন তাঁরা। কিন্তু যশস্বী জয়সোয়াল ও লোকেশ রাহুল কিছুতেই ধৈর্যহারা হচ্ছেন না। চা বিরতির পর ১১ ওভারে মাত্র ১৪ রান তুলেছে ভারত। সাবধানী জয়সোয়াল–রাহুল যেন মাটি কামড়ে পড়ে আছেন।
৩৭ ওভার শেষে ভারতের রান বিনা উইকেটে ৯৮।
ভারতের ১০০, জয়সোয়ালের ৫০
প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৫০ রানে অলআউট হয়েছিল ভারত। সেই দলটাই দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্দান্তভাবে ঘুরিয়ে দাঁড়িয়ে বিনা উইকেটে ১০০ রান করে ফেলেছে।
আগের ইনিংসে ০ রানে আউট হওয়া জয়সোয়াল এই ইনিংসে পেয়ে গেছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের নবম ফিফটির দেখা। ৪১ রানে অপরাজিত আছেন আরেক ওপেনার রাহুল।
৩৯ ওভার শেষে ভারতের রান বিনা উইকেটে ১০১, লিড ১৪৭।
রাহুলের ফিফটি
বেশ চাপেই ছিলেন রাহুল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজের শেষ দুই ম্যাচে একাদশেই ছিলেন না। পার্থে সুযোগ পেলেন, তবে দিতে হচ্ছে নতুন পরীক্ষা।
রোহিত না থাকায় খেলতে হচ্ছে ওপেনিংয়ে। তবে সুযোগটা ভালোভাবেই কাজে লাগাচ্ছেন এই ক্রিকেটার। প্রথম ইনিংসে ২৬ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে পেলেন ফিফটি।
ভারতের রান বিনা উইকেটে ১৩১। লিড ১৭৭ রানের। জয়সোয়াল ৭১ রানে ব্যাটিং করছেন।
রেকর্ড!
পার্থ টেস্টে ভারতের দাপট
ভারত: ১৫০ ও ৫৭ ওভারে ১৭২/০ (জয়সোয়াল ৯০*, রাহুল ৬২; হ্যাজলউড ০/৯)। অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস: ৫১.২ ওভারে ১০৪ (স্টার্ক ২৬, ক্যারি ২১, হেড ১১, ম্যাকসুয়েনি ১০; বুমরা ৫/৩০, হর্ষিত ৩/৪৮, সিরাজ ২/২০)। –––– দ্বিতীয় দিন শেষে।
পার্থ টেস্টের প্রথম দিনে উইকেট পড়েছিল ১৭টি। রান উঠেছিল ২১৭। আজ দ্বিতীয় দিনে উইকেট পড়ল মাত্র ৩টি। যদিও রান খুব বেশি হয়নি—২০৯।
৪৬ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে বিনা উইকেটে ভারত তুলেছে ১৭২ রান। তাদের লিড এখন ২১৮ রানের। সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে থেকে দিন শেষ করেছেন জয়সোয়াল, তিনি অপরাজিত আছেন ৯০ রানে। রাহুল অপরাজিত ৬২ রানে।
৭ উইকেটে ৬৭ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া। এর সঙ্গে তারা যোগ করতে পেরেছে ৩৭ রান। সেটাও এসেছে মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউডের সৌজন্যে। ৭৯ রানে ৯ উইকেট হারানোর পর এই দুজন শেষ উইকেটে দলীয় সর্বোচ্চ ২৫ রানের জুটি গড়েন।
তৃতীয় দিনের খেলায় স্বাগত
আজ অস্ট্রেলিয়া–ভারত বোর্ডার–গাভাস্কার ট্রফির পার্থ টেস্টের তৃতীয় দিন। এ দিন ভারত মাঠে নামছে সুবিধাজনক অবস্থানে থেকে। প্রথম ইনিংসে ৪৬ রানে এগিয়ে থাকা ভারত দ্বিতীয় দিনের বিকেল পর্যন্ত দ্বিতীয় ইনিংসে তুলেছে বিনা উইকেটে ১৭২ রান। সব মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে লিড এখন ২১৮ রানের।
যশস্বী জয়সোয়াল ৯০ ও লোকেশ রাহুল ৬২ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের ব্যাটিং শুরু করবেন।
ছক্কা মেরে সেঞ্চুরি জয়সোয়ালের
ছোটখাটো একটা ধন্দ তৈরি হলো মাঠে। বল কি সোজা বাউন্ডারি সীমানার ওপরে পড়েছে, না মাটিতে পড়ে তবে সীমানা পার হয়েছে।
খুব বেশি সময় অবশ্য লাগল না। বল পড়েছে সীমানাতেই। ছক্কা। করতালি উঠল গ্যালারিতে। তার মাঝেই যশস্বী জয়সোয়ালের উদ্যাপন। সেঞ্চুরি! ক্যারিয়ারের চতুর্থ, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে এই প্রথম।
জশ হ্যাজলউডের বাউন্সারকে ফাইন লেগের ওপর দিয়ে ছয় বানিয়ে জয়সোয়াল পৌঁছে গেছেন এবারের বোর্ডার–গাভাস্কার ট্রফির প্রথম সেঞ্চুরিতে।
৬২ ওভার শেষে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসের রান বিনা উইকেটে ১৯৭।
রাহুলের বিদায়ে ভাঙল ২০০ রানের জুটি
তৃতীয় দিনের ষষ্ঠ ওভারে প্রথম উইকেটের দেখা মিলল অস্ট্রেলিয়ার। মিচেল স্টার্কের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন লোকেশ রাহুল।
ক্যারিকে ক্যাচ দেওয়া রাহুল ফিরেছেন ১৭৬ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেলে। যে ইনিংসের সমাপ্তিতে থেমেছে ভারতের ২০১ রানের উদ্বোধনী জুটি।
নতুন ব্যাটসম্যান দেবদূত পাড়িক্কাল। ৬৩ ওভার শেষে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসের রান ১ উইকেটে ২০১। এই মুহূর্তে ভারতের লিড ২৪৭ রানের।
ছক্কায় সেঞ্চুরি
২০০১ সালের পর এখন পর্যন্ত তিনজন বিদেশি অস্ট্রেলিয়ায় ছক্কা মেরে সেঞ্চুরিতে পৌঁছেছেন। ২০০৩ সালে অ্যাডিলেডে রাহুল দ্রাবিড়, ২০০৯ সালে ওয়াকায় ক্রিস গেইল। আর এবার পার্থে যশস্বী জয়সোয়াল।
ভারতের লিড তিন শর পথে
দিনের শুরুতে লোকেশ রাহুলকে হারালেও দিক হারায়নি ভারত। দেবদূত পাড়িক্কালকে নিয়ে রান এগিয়ে নিচ্ছেন যশস্বী জয়সোয়াল।
ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৫ ওভার শেষে রান ১ উইকেটে ২৩৯। লিড ২৮৫ রানের।
জয়সোয়াল ১৩০ ও পাড়িক্কাল ৮ রানে ব্যাট করছেন।
৩০০ পেরিয়ে ভারত
দ্বিতীয় দিনের মতো তৃতীয় দিনেও ভারতের সুসময় চলছেই। এরই মধ্যে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ফিফটি হয়ে গেছে জয়সোয়াল–পাড়িক্কালের। দলের রান পেরিয়েছে আড়াই শ, লিড ছাড়িয়েছে তিন শ।
ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে ৮০ ওভার শেষে রান ১ উইকেটে ২৫৫। লিড ৩০১ রানের।
অস্ট্রেলিয়ার জন্য ভালো দিক একটাই, ৮০ ওভার শেষ হওয়ায় নতুন বল নেওয়ার সুযোগ হয়েছে। প্যাট কামিন্স সুযোগটা নিয়েছেন তাৎক্ষণিকভাবেই। এবার যদি নতুন বলে হ্যাজলউড–স্টার্করা কিছু করতে পারেন!
দ্বিতীয় সেশনের প্রথম বলেই ফিরলেন পাড়িক্কাল
লাঞ্চ বিরতির পর দ্বিতীয় সেশনের প্রথম বলেই উইকেট হারাল ভারত। জশ হ্যাজলউডের বলে স্লিপে স্টিভেন স্মিথের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন দেবদূত পাড়িক্কাল (৭১ বলে ২৫ রান)।
দিনের প্রথম সেশনে ভারত তুলেছে ১ উইকেটে ১০৩ রান। আগের দিন ৯০ রানে অপরাজিত থাকা জয়সোয়াল সেঞ্চুরি পূর্ণ করে এখন দেড় শর দিকে এগিয়ে চলেছেন। ব্যাট করছেন ১৪১ রানে। তাঁর সঙ্গে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে যোগ দিয়েছেন বিরাট কোহলি।
৮৪ ওভার শেষে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসের রান ২ উইকেটে ২৭৫। লিড ৩২১ রানের।
টেন্ডুলকারের পাশে জয়সোয়াল
অস্ট্রেলিয়াকে ‘মুক্তি’ দিলেন জয়সোয়াল
অবশেষে থামলেন জয়সোয়াল। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে স্মিথের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট খেলতে নেমেই সেঞ্চুরি করা এই বাঁহাতি।
মিচেল মার্শের অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারিটি আহামরি কিছু ছিল না। কিন্তু কাট করতে গিয়ে সেটিই স্মিথের হাতে তুলে দিয়েছেন জয়সোয়াল, যা নিয়ে হতবাক তিনি নিজেও। অবশ্য নিজের উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ‘মুক্তি’ই দিয়েছেন জয়সোয়াল। কোনো মতেই যে তাঁকে আউট করা যাচ্ছিল না!
তবে ভারতীয় ও ওপেনার মাঠ ছেড়েছেন বিপুল করতালির মধ্যেই। নামের সঙ্গে ২৯৭ বলে ১৫ চার আর ৩ ছক্কায় গড়া ১৬১ রানের ইনিংস নিয়ে।
ভারতের রান ৯৪ ওভারে ৩ উইকেটে ৩১৪। লিড ৩৬০ রানের।
পন্ত থামলেন ১ রানে
দ্বিতীয় সেশনের প্রথম বলে আউট হয়েছিলেন দেবদূত পাড়িক্কাল। এবার পানি পানের বিরতির পর প্রথম বলে আউট ঋষভ পন্ত (৪ বলে ১ রান)।
দলের রান তিন শ পেরিয়েছে, লিড ছুটছে চার শর দিকে। এ দিকে উইকেটে অসম বাউন্স দেখা দিচ্ছে। এমন সময়ে দ্রুত রান তোলার জন্য আক্রমণাত্মকই হতে চেয়েছিলেন পন্ত। তবে নাথান লায়নকে সামনে এগিয়ে খেলতে গিয়ে বল মিস করে স্টাম্পড হয়েছেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের রান ৪ উইকেটে ৩২১। লিড ৩৬৭ রানের।
হঠাৎ আউটের মিছিল
জয়সোয়াল আউট হতেই ভারতের ব্যাটিংয়ে আউটের মিছিল। ১৭ বলের মধ্যে ভারত হারাল ৩ উইকেট, যার সর্বশেষ সংযোজন ধ্রুব জুরেল।
প্যাট কামিন্সের বলে এলবিডব্লু হয়েছেন জুরেল (৬ বলে ১ রান)। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে রিভিউ নিয়েছিলেন জুরেল। দুর্ভাগ্যই বলতে হবে। বল ট্র্যাকার অনুসারে লেগ স্টাম্পে লাগার কথা সামান্যই। তবে আম্পায়ার্স কলে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাঁকে।
২ উইকেটে ৩১৩ থেকে ভারত এখন ৫ উইকেটে ৩২১। অবশ্য লিড হয়ে গেছে ৩৬৭ রানের।
১৬ রানে অপরাজিত কোহলির সঙ্গে নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে যোগ দিয়েছেন ওয়াশিংটন সুন্দর।
‘কাঁটা’ সরালেন লায়ন
বিরাট কোহলির সঙ্গে উইকেটে জমে গিয়েছিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। কোহলির মতো ব্যাটসম্যান থিতু হয়ে গেলে আউট করা কঠিন। এর সঙ্গে ‘কঠিন’ হয়ে উঠল সুন্দরকে আউট করাও।
অবশেষে কোহলি–সুন্দরের ৮৯ রানের জুটি ভাঙলেন নাথান লায়ন। ৯৪ বলে ২৯ রানের ইনিংস খেলে বোল্ড হয়েছেন সুন্দর। ভারত হারাল ষষ্ঠ উইকেট। তবে এর মধ্যেই লিড সাড়ে চার শ পেরিয়ে পাঁচ শর দিকে ছুটছে।
ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৬ ওভারে তুলেছে ৬ উইকেটে ৪১২ রান। লিড ৪৫৮ রানের। কোহলি অপরাজিত ৬৭ রানে।
কোহলির সেঞ্চুরি ও ভারতের ইনিংস ঘোষণা
অবশেষে!
কথাটি দুটি ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। অবশেষে সেঞ্চুরি পেলেন বিরাট কোহলি। অবশেষে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করল ভারত! ১৩৫তম ওভারে লাবুশেনের তৃতীয় বলে ডিপ ফাইন লেগ দিয়ে চার মেরে টেস্টে ১৫ ইনিংস পর সেঞ্চুরি পেলেন কোহলি। তিন সংস্করণ মিলিয়ে সেঞ্চুরি পেলেন ২৯ ইনিংস পর।
১৪৩ বলে ১০০ রানে অপরাজিত রইলেন কোহলি। তাঁর টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি ৩০তম সেঞ্চুরি। ৬ উইকেটে ৪৮৭ রানে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করল ভারত। জয়ের জন্য ৫৩৪ রানের লক্ষ্য পেল অস্ট্রেলিয়া। হাতে দুই দিনের বেশি সময় থাকলেও টেস্ট ইতিহাসে এত রান তাড়া করে এর আগে কেউ জেতেনি। ২০০৩ সালে অ্যান্টিগায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৪১৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ১৫০ ও ৪৮৭/৬ (জয়সোয়াল ১৬১, কোহলি ১০০*, রাহুল ৭৭, নীতিশ ৩৮*, ওয়াশিংটন ২৯, পাড়িক্কাল ২৫, পন্ত ১, জুরেল ১; লায়ন ২/৯৬, হ্যাজলউড ১/২৮, মার্শ ১/৬৫, কামিন্স ১/৮৬, স্টার্ক ১/১১১)। অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস: ১০৪
—তৃতীয় দিনের খেলা চলছে। অস্ট্রেলিয়া নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেছে।
কামিন্স নেমেই ফিরলেন
অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে ৪র্থ ওভারের প্রথম বলেই দ্বিতীয় উইকেট পেল ভারত।
শেষ সেশনের শেষ বেলায় উসমান খাজার সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলেন নাথান ম্যাকসুয়েনি (৪ বলে ০)। ইনিংসের চতুর্থ বলে তাঁকে ফেরান যশপ্রীত বুমরা। এরপর ‘নাইটওয়াচম্যান’ হিসেবে নেমেছিলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। মোহাম্মদ সিরাজের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন কামিন্স (৮ বলে ২)।
চারে নেমেছেন মারনাস লাবুশেন।
অস্ট্রেলিয়া: ৪ ওভারে ২ উইকেটে ১২।
বুমরা অন ফায়ার, পুড়লেন লাবুশেন
কামিন্স আউট হওয়ার ৬ বল পর ফিরলেন মারনাস লাবুশেনও! বিপদে অস্ট্রেলিয়া।
পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে বুমরার বলে এলডিব্লু হয়ে ফিরলেন লাবুশেন। ৫ বলে ৩ রান করেছেন তিনি।
রানের পাহাড় টপকাতে নেমে শুরুতেই পা পিছলে পড়ার শঙ্কায় অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়া: ৪.২ ওভারে ৩ উইকেটে ১২।
স্মরণ করিয়ে দিই—অস্ট্রেলিয়া জয়ের জন্য ৫৩৪ রানের লক্ষ্যে ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেছে।
তৃতীয় দিনের খেলা শেষ, ঘুমোতে পারবে তো অস্ট্রেলিয়া?
৬ উইকেটে ৪৮৭ রানে ভারত নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণার পর জয়ের জন্য ৫৩৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু শুরুটা ভালো করে তৃতীয় দিনটা শেষ করতে পারেনি স্বাগতিকরা।
৪.২ ওভারে ১২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কাঁপাকাঁপি শুরু হয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার। এরপর দিনের খেলার সমাপ্তি ঘোষণা করেন আম্পায়ার। ৯ বলে ৩ রানে এক প্রান্ত ধরে রেখেছেন ওপেনার উসমান খাজা। ৪.২ ওভারে বুমরার বলে লাবুশেন আউট হওয়ার পর কেউ আর ব্যাটিংয়ে নামেননি।
জয়ের জন্য এখনো ৫২২ রানের পাহাড় টপকাতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে। হাতে দুই দিন সময় থাকলেও টেস্ট ইতিহাসে এত রান তাড়া করে এর আগে কেউ জেতেনি। ২০০৩ সালে অ্যান্টিগায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৪১৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
অস্ট্রেলিয়া আগামীকাল থেকে সম্ভবত উইকেট কামড়ে পড়ে থাকার লড়াই শুরু করবে। সেই দুশ্চিন্তায় রাতে ঘুম হবে তো কামিন্সদের? তৃতীয় দিনে ভারতকে ৩ উইকেট এনে দেওয়া দুই পেসার বুমরা ও সিরাজের ঘুম নিশ্চিতভাবেই ভালো হবে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ১৫০ ও ৪৮৭/৬ (জয়সোয়াল ১৬১, কোহলি ১০০*, রাহুল ৭৭, নীতিশ ৩৮*, ওয়াশিংটন ২৯, পাড়িক্কাল ২৫, পন্ত ১, জুরেল ১; লায়ন ২/৯৬, হ্যাজলউড ১/২৮, মার্শ ১/৬৫, কামিন্স ১/৮৬, স্টার্ক ১/১১১)।
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস: ১০৪ ও ১২/৩ (খাজা ৩*, লাবুশেন ৩, কামিন্স ২, ম্যাকসুয়েনি ০; বুমরা ২/১, সিরাজ ১/৭)।—তৃতীয় দিন শেষে।
চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় ওভারেই ফিরলেন খাজা
চতুর্থ দিনের নবম বলেই উইকেট হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। মোহাম্মদ সিরাজের বলে পুল শট খেলতে গিয়ে বল ওপরে তুলে দিয়েছিলেন উসমান খাজা। সহজ ক্যাচ নিয়েছেন ঋষভ পন্ত।
১৭ রানেই গেল অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ উইকেট। নতুন ব্যাটসম্যান ট্রাভিস হেড, আগে থেকেই আছেন স্টিভেন স্মিথ।
৫৩৩ রান তাড়ায় অস্ট্রেলিয়া ৪ উইকেটে ১৭। এখনো পিছিয়ে ৫১৬ রানে।
৫ উইকেটে ১০৪ রান নিয়ে লাঞ্চে অস্ট্রেলিয়া
২৬.৪ ওভারে ২ উইকেটে ৯২—চতুর্থ দিনের প্রথম সেশন এটি। আগের দিন ১২ রান তুলতে ৩ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়ার রান এখন ৫ উইকেটে ১০৪।
ভারতের সাফল্য উসমান খাজা ও স্টিভেন স্মিথকে তুলে নিতে পারা। মোহাম্মদ সিরাজের বলে পুল করতে গিয়ে খাজা আউট হয়েছেন দিনের দ্বিতীয় ওভারেই। এরপর ট্রাভিড হেডের সঙ্গে স্মিথের জুটি অবশ্য ভালোই থিতু হয়েছিল। দুজনের ৬২ রানের জুটিটা ভাঙে সিরাজের বলে স্মিথ উইকেটের পেছনে ঋষভ পন্তকে ক্যাচ দিলে (৬০ বলে ১৭ রান)।
এর মধ্যেও অবশ্য হেড খেলেছেন প্রতি–আক্রমণে। ছয়ে নামা এই বাঁহাতি লাঞ্চ বিরতিতে গেছেন ৭ চারে ৭২ বলে ৬৩ রানে অপরাজিত থেকে। হেডের সঙ্গে ৫ রান করে অপরাজিত মিচেল মার্শ।
৫৩৩ রান তাড়া করতে নামা অস্ট্রেলিয়া এখনো ৪৩০ রানে পিছিয়ে।
হেডকে থামালেন বুমরা, মার্শকে নীতিশ
লাঞ্চ বিরতির পর বেশ আক্রমণাত্মক হয়েই খেলছিলেন ট্রাভিস হেড ও মিচেল মার্শ। তবে অল্প সময়ের ব্যবধানে দুজনকে ফিরিয়েছে ভারত। ১০১ বলে ৮৯ রান করা হেডকে পন্তের ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়েছেন যশপ্রীত বুমরা। আর ৬৭ বলে ৪৭ রান করা মিচেল মার্শকে বোল্ড করেছেন নীতিশ রেড্ডি।
৪৪ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসের রান ৭ উইকেটে ১৮২। ভারতের পার্থ–জয়ে দরকার আর মাত্র ৩ উইকেট।
ভারতের ২ উইকেটের অপেক্ষা
অবশেষে উইকেটের দেখা পেলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। প্রথম ইনিংসে বোলিং করেছেন মাত্র দুই ওভার, উইকেট ছিল না। দ্বিতীয় ইনিংসও পার হয়ে যাচ্ছিল এভাবেই।
পার্থে স্মরণীয় এক ম্যাচ খেলছে ভারত, অথচ সুন্দর শেষ করবেন উইকেট ছাড়াই—এমনটা বেমানানই হতো। অবশেষে অবশিষ্ট ভারতীয় বোলার হিসেবে পার্থ টেস্টে উইকেটশিকারীর তালিকায় নাম লিখিয়েছেন সুন্দর। মিচেল স্টার্ককে ফিরিয়েছেন শর্ট লেগে নীতিশের ক্যাচ বানিয়ে। ভারত এখন জয়ের আরও কাছে।
স্টার্কের আউটে একটু আগেভাগেই চা বিরতি ডাকা হয়েছে। পার্থ টেস্ট জিততে ভারতের দরকার আর মাত্র দুই উইকেট। ৫৩৩ রান তাড়া করতে নামা অস্ট্রেলিয়া চা বিরতিতে গেছে ৮ উইকেটে ২২৭ রান নিয়ে।
লায়নও আউট, ১ উইকেট দূরে ভারত
চা বিরতি শেষে খেলতে নেমেই নাথান লায়নকে ফেরালেন ওয়াশিংটন সুন্দর। মিচেল স্টার্ককে যে ওভারে আউট করার পর চা বিরতি দেওয়া হয়েছিল, সেই ওভারের আরও ২ বল বাকি ছিল। সুন্দরের বলে লায়ন টিকতে পেরেছেন ওই ২ বলই। পার্থের অপ্টাস স্টেডিয়ামে প্রথমবারের মতো টেস্ট জয় থেকে ভারত মাত্র ১ উইকেট দূরে।
৫৪ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার রান ৯ উইকেটে ২২৭।
অস্ট্রেলিয়া ২৩৮ রানে অলআউট, ভারত জিতল ২৯৫ রানে
অবশেষে ভারতের অপেক্ষার অবসান। যে জয় হাতছানি দিচ্ছিল গতকাল বিকেল থেকে, সেটি নাগালে এল আজ চতুর্থ দিনের তৃতীয় সেশনে।
হর্ষিত রানার বলে অ্যালেক্স ক্যারির বোল্ডে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস থামল ২৩৮ রানে। ভারত ম্যাচ জিতে নিল ২৯৫ রানের বড় ব্যবধানে। সেই সঙ্গে পাঁচ টেস্টের বোর্ডার–গাভাস্কার ট্রফিতে ভারত এগিয়ে গেল ১–০ ব্যবধানে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত: ১৫০ ও ৪৮৭/৬ (জয়সোয়াল ১৬১, কোহলি ১০০*, রাহুল ৭৭, নীতিশ ৩৮*; লায়ন ২/৯৬, হ্যাজলউড ১/২৮)। অস্ট্রেলিয়া: ১০৪ ও ২২২ (হেড ৮৯, মার্শ ৪৭, ক্যারি ৩৬, স্মিথ ১৭; বুমরা ৩/৪২, সিরাজ ৩/৫১, সুন্দর ২/৪৮)। ফল: ভারত ২৯৫ রানে জয়ী।