জন্মদিনের উপহার হিসেবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয় চান বাংলাদেশের কোচ
‘আমি এখন আর জন্মদিনের উপহার চাওয়ার পর্যায়ে নেই’—সংবাদ সম্মেলনে কথাটা বলেই হেসে ফেলেন ফিল সিমন্স। বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন মাস তিনেক হলো। কয়েক দিন আগে নতুন চুক্তির পর জিম্বাবুয়ে সিরিজই সিমন্সের প্রথম পরীক্ষা। সিলেটে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ মাঠে নামার দুই দিন আগে ৬২ বছর পূর্ণ করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক এই ক্রিকেটার।
জীবনের নানা বাঁকে ক্রিকেটের সঙ্গে তাঁর জন্মদিন কেটেছে অনেকবার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন, পরে কোচিংয়েও সমৃদ্ধ হয়েছে অভিজ্ঞতা। বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়েরা এখন সিমন্সকে যদি জন্মদিনের উপহার দিতেই চান, তাহলে সেটা কী হলে ভালো হয়, তা পরের কথাতেই জানিয়ে দিলেন এই কোচ, ‘তারা যদি উপহার দিতে চায়, প্রথম ম্যাচটি জিতলেই হবে (হাসি)। আমার এটুকুতেই হবে।’
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। স্বাভাবিকভাবেই ঘরের মাঠে ফেভারিটের তকমাটা বাংলাদেশের ওপর। জিততেই হবে, এমন একটা বাড়তি চাপও থাকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলতে নামলে। তবে এখনই এত দূরে চোখ রাখতে চান না সিমন্স।
সিলেটের সংবাদ সম্মেলনে আজ সিমন্স বললেন, ‘আমি হোয়াইটওয়াশের ব্যাপারে জানি না। একবারে একটি পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষে আমি। এখানে প্রথম টেস্ট হবে। এটি জিতলে আমরা পরের ম্যাচ নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করব, সিরিজ জেতার কথা আলোচনা করব। প্রথম টেস্ট জেতার জন্য আমাদের প্রথম দিন জিততে হবে। আমি এভাবেই ভাবতে পছন্দ করি। এখনই চট্টগ্রাম নিয়ে ভাবতে পারব না। আপাতত সিলেট টেস্টে মনোযোগ দিতে হবে।’
বাংলাদেশ দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটারেরই ব্যস্ততা ছিল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে। ১৪ এপ্রিল থেকে সিলেটে শুরু হয় জাতীয় দলের প্রস্তুতি। ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলার প্রায় চার মাস পর সপ্তাহখানেক অনুশীলন শেষে আবার সাদাপোশাকের ক্রিকেটে মাঠে নামছে বাংলাদেশ।
তবে প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি দেখছেন না সিমন্স, ‘প্রস্তুতি বেশ ভালো হয়েছে। এখানকার ফ্যাসিলিটিজ আমার মনে হয় স্বপ্নের মতো। আপনি যা চান, তাই করতে পারবেন। হোটেলটা খুব দূরে নয়। আমরা অনেক কাজ করতে পেরেছি এই অল্প সময়েই।’
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রোববার শুরু হবে প্রথম টেস্ট।