কোহলি-ডু প্লেসিদের ম্লান করে কলকাতাকে জেতালেন শার্দুল

২৯ বলে ৯ চার ও ৩ ছয়ে ৬৮ রান করেছেন শার্দুল ঠাকুরছবি: এএফপি

বিরাট কোহলি, ফাফ ডু প্লেসি, মাইকেল ব্রেসওয়েল, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল...রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ব্যাটিং লাইনআপের টপ অর্ডার এমনই সমৃদ্ধ। ২০ ওভারের ক্রিকেটে ২০৫ রানের লক্ষ্য খুব একটা কঠিন হওয়ার কথা নয়। কিন্তু আজ কলকাতা নাইট রাইডার্সের গোছানো বোলিংয়ের কাছে খুব একটা সুবিধা করে উঠতে পারেননি তাঁদের কেউই। কলকাতা নাইট রাইডার্সের পেস বোলিং অলরাউন্ডার শার্দুল ঠাকুরের কাছে ম্লান হয়ে গেছেন তাঁরা। সবাইকে ম্লান করে অসাধারণ এক ফিফটিতে কলকাতাকে এবারের আইপিএলের প্রথম জয় এনে দিয়েছেন শার্দুল।

কলকাতার মৌসুমটা শুরু হয়েছিল পাঞ্জাব কিংসের কাছে ডিএলএস পদ্ধতিতে ৭ রানের হার দিয়ে। কিন্তু ঘরের মাঠ ইডেন গার্ডেনসে ফিরে যেন জেগে উঠেছে কলকাতা। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও শার্দুলের ফিফটির সঙ্গে রিংকু সিংয়ের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটে ২০৪ রান তোলে কলকাতা। রান তাড়া করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো বেঙ্গালুরু শেষ পর্যন্ত ১৭.৪ ওভারে থেমেছে ১২৩ রান করে। কলকাতা পেয়েছে ৮১ রানের বিশাল জয়।

২৯ বলে ৬৯ রান করার পথে অসাধারণ সব শট খেলেছেন শার্দুল ঠাকুর
ছবি: এএফপি

শার্দুল ঠাকুরের মূল কাজ পেস বোলিংয়ে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের এলোমেলো করে দেওয়া। তিনি সেটা করার আগেই আজ বেঙ্গালুরুর ব্যাটিংয়ে ধস নামিয়েছেন কলকাতা নাইট রইডার্সের বোলার সুনিল নারাইন ও বরুণ চক্রবর্তী। বেঙ্গালুরুর প্রথম ৫টি উইকেটই তুলে নেন এ দুজন। নারাইন তুলে নিয়েছেন কোহলি ও শাহবাজ আহমেদকে। আর বরুণ নিয়েছেন ডু প্লেসি, ম্যাক্সওয়েল ও হার্শাল প্যাটেলের উইকেট।

অথচ শুরুটা ভালোই করেছিল বেঙ্গালুরু। কোহলি ও ডু প্লেসির উদ্বোধনী জুটি ৪.৪ ওভারে তুলে নেয় ৪৪ রান। এরপরই নামে ধস, যার শুরু কোহলিকে দিয়ে। ১৭ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে বিনা উইকেটে ৪৪ থেকে বেঙ্গালুরুর স্কোর হয়ে যায় ৫ উইকেটে ৬১ রান। কোহলি ২১, ডু প্লেসি ২৩ রান করে আউট হয়েছেন।

কলকাতার বিপক্ষে ব্যাট হাতে ব্যর্থ কোহলি
ছবি: এএফপি

এ ধাক্কা আর সামলে উঠতে পারেনি বেঙ্গালুরু। ব্রেসওয়েল কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সঙ্গীর অভাবে তেমন কিছুই করতে পারেননি। এক সময় তিনে নিজেও আউট হয়ে ফিরেছেন। শেষ দিকে বেঙ্গালুরুর ব্যাটসম্যানদের সেভাবে দাঁড়াতে দেননি লেগ স্পিনার সুইয়াশ শর্মা। ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। বরুণ ৪ উইকেট নিয়েছেন ১৫ রানে। নারাইনের ২ উইকেট ১৬ রানে। একটি উইকেট নিয়েছেন শার্দুল। শেষ দিকে বেঙ্গালুরুর ডেভিড উইলি ও আকাশ দীপ লড়াই করলেও শুধু হারের ব্যবধানই কমাতে পেরেছেন।

এর আগে কলকাতা ২৬ রানে ২ উইকেট হারালেও গুরবাজ, রিংকু ও শার্দুলের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ২০০-এর বেশি রান তুলতে পারে। আফগানিস্তানের ওপেনার গুরবাজ ৪৪ বলে ৬ চার ও ৩ ছয়ে ৫৭ রান করেছেন। ৩৩ বলে ৪৬ রান করে আউট হওয়ার আগে রিংকু মেরেছেন ২টি চার ও ৩টি ছয়। তবে সবচেয়ে ঝড় তুলেছেন শার্দুলই। ২৯ বলে তিনি ৬৮ রান করেছেন ৯ চার ও ৩ ছয়ে। টেস্ট, ওয়ানডে, প্রথম শ্রেণি ও লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের পর এবার স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতেও ফিফটি পেয়ে গেলেন ধীরে ধীরে ভালো একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডার হতে চলা শার্দুল।