আইসিসির হল অব ফেমে চন্দরপল, এডওয়ার্ডস, কাদির

আইসিসির হল অব ফেমে চন্দরপলের সঙ্গে এবার যুক্ত করা হয়েছে এডওয়ার্ডস ও কাদিরকেফাইল ছবি

আইসিসির হল অব ফেমে যুক্ত করা হয়েছে শিবনারায়ণ চন্দরপল, শার্লট এডওয়ার্ডস ও আবদুল কাদিরকে। হল অব ফেমে যথাক্রমে ১০৭, ১০৮ ও ১০৯তম ব্যক্তি হলেন তাঁরা। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তিনজনকে যুক্ত করার খবর জানিয়েছে আইসিসি। সিডনিতে আগামীকাল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালের আগে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের হাতে স্মারক তুলে দেওয়া হবে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান চন্দরপল বিখ্যাত ছিলেন তাঁর আন-অর্থোডক্স ব্যাটিং স্ট্যান্স ও টেকনিকের কারণে। ১৯ বছর বয়সে অভিষেকের পর চন্দরপলের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার বিস্তৃত হয়েছে প্রায় ২১ বছর। এর মধ্যে ৩০টি টেস্ট সেঞ্চুরিসহ দ্বিতীয় ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ১০ হাজার রান করেছেন এ বাঁহাতি। এ সংস্করণে ৫১.৩৭ গড়ে ১১৮৬৭ রান করেছেন চন্দরপল, ওয়ানডেতেও ৮৭৭৮ রান আছে তাঁর। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চন্দরপলের চেয়ে বেশি রান আছে মাত্র নয়জনের।

হল অব ফেমে যুক্ত হওয়ার পর চন্দরপল বলেছেন, ‘অতীতের অনেক বড় ক্রিকেটার ও কিংবদন্তিদের সঙ্গে একই পথে হাঁটতে পারাটা দারুণ সম্মানের। এ স্বীকৃতির জন্য কৃতজ্ঞ আমি। এ মুহূর্তটা পরিবার, বন্ধু এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও বিশ্বজুড়ে থাকা সমর্থকদের সঙ্গে উপভোগ করতে চাই। যাঁরা ক্যারিয়ারজুড়ে আমাকে সমর্থন দিয়ে গেছেন।’

ইংল্যান্ড নারী ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক শার্লট এডওয়ার্ডস
ফাইল ছবি

চন্দরপলের মতো দুই দশকের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক এডওয়ার্ডসেরও। মাত্র ১৬ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল তাঁর। ২০০৯ সালে মেয়েদের বিশ্বকাপের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও জেতেন তিনি। ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার সময় মেয়েদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান ছিল তাঁর। ওয়ানডেতে এখনো দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ফিফটি এডওয়ার্ডসের।

এডওয়ার্ডস এ স্বীকৃতি পাওয়ার পর বলেছেন, ‘আইসিসিকে ধন্যবাদ। বেশ বর্ণিল একটা তালিকায় যুক্ত হতে পারাটা অনেক সম্মানের। আমার পরিবার, বন্ধু, সতীর্থ এবং সব কোচকে এ সুযোগে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রতিটি মিনিট উপভোগ করেছি আমি। আইসিসি হল অব ফেমে যুক্ত হতে পেরে উচ্ছ্বসিত।’

চন্দরপল, এডওয়ার্ডসের সঙ্গে যুক্ত হওয়া পাকিস্তানের সাবেক লেগ স্পিনার কাদির ২০১৯ সালে ৬৩ বছর বয়সে মারা যান। সত্তর ও আশির দশকে লেগ স্পিনকে বাঁচিয়ে রাখার অনেক বড় কৃতিত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। ১৩ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ২৩৬টি টেস্ট উইকেট নিয়েছেন কাদির, পাকিস্তান স্পিনারদের মধ্যে যা তৃতীয় সর্বোচ্চ। ১৯৮৩ ও ১৯৮৭ বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন তিনি। অবসরের পর কোচিংয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কাদির। তাঁর সঙ্গে কাজ করেছেন শেন ওয়ার্নসহ মুশতাক আহমেদ, শহীদ আফ্রিদি, দানিশ কানেরিয়া, ইমরান তাহিররা।

২০১৯ সালে মারা যান আব্দুল কাদির
ফাইল ছবি

বাবার হল অব ফেমে যুক্ত হওয়ার খবরে ছেলে ও এখনকার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার উসমান কাদির বলেছেন, ‘পরিবারের পক্ষ থেকে হল অব ফেমে আমার বাবাকে যুক্ত করার জন্য আইসিসিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমাদের পরিবারের জন্য অনেক বড় সম্মানের এটি। এটিকে বিশাল অর্জন হিসেবে দেখছি আমরা। আজ আমাদের সঙ্গে থাকলে আমার বাবাও অনেক গর্বিত হতেন।’

এখনকার হল অব ফেমে থাকা ক্রিকেটার, সাংবাদিকদের সঙ্গে ফিকা (ক্রিকেটারদের আন্তর্জাতিক সংস্থা) ও আইসিসির ভোটে ওপরের তিনজনকে যুক্ত করা হয়েছে এবার। সর্বশেষ ২০২১ সালে শন পোলক, মাহেলা জয়াবর্ধনে, অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, কুমার সাঙ্গাকারাসহ ১৩ জন কে হল অব ফেমে যুক্ত করা হয়।