জিম্বাবুয়ে আগেভাগে ‘ছুটি’ দেওয়ায় নেট অনুশীলনে অস্ট্রেলিয়া

দারুণ বল করে ৩ উইকেট নেন অস্ট্রেলিয়ার পেসার মিচেল স্টার্কছবি: এএফপি

টাউনসভিলে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাত্র ৯৬ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। ২১২ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজও নিজেদের করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

দুই ইনিংস মিলিয়ে খেলা হয়েছে মাত্র ৪২.৩ ওভার। ম্যাচ দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়ায় অবসরটুকু কাজে লাগিয়েছে অ্যারন ফিঞ্চের দল। ম্যাচ শেষেই নেট অনুশীলন করতে দেখা গেছে অস্ট্রেলিয়া দলের কিছু খেলোয়াড়কে। হলুদ জার্সি পরেই নেটে নেমে যান কয়েক ক্রিকেটার, যেন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এত অল্প সময় খেলে গা গরম হয়নি!

স্টিভেন স্মিথের অপরাজিত ৪৭ রানে মাত্র ১৪.৪ ওভারে জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। এ ম্যাচের আগে ওয়ানডেতে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া এর চেয়ে কম ওভারে রান তাড়া করে জিতেছে মাত্র দুবার। এর মধ্যে একটি প্রায় ১০ বছর আগের ঘটনা, আরেকটি ২০ বছর আগের। ২০১৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পরে ব্যাট করে ৯.২ ওভারে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। তার আগে ২০০৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জিতেছিল ১২.২ ওভার ব্যাট করে।

অ্যালেক্স ক্যারি ও স্টিভ স্মিথের ৮৪ রানের জুটিতে জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। বল হাতে জিম্বাবুয়ের প্রাপ্তি বলতে শুধু রিচার্ড এনগারাভার এক ওভারে অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নারের উইকেট। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মিচেল স্টার্কের ঝড় সামলাতে পারেনি ইনোসেন্ট কাইয়া ও মারুমানিরা। ১৪ রানের মধ্যেই কাইয়া, মারুমানি ও ওয়েসলি মাধেবেরেকে ফেরান মিচেল স্টার্ক।

তবে অল্পের জন্য এ ম্যাচে সবচেয়ে দ্রুততম বোলার হিসেবে ২০০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়তে পারেননি স্টার্ক। এতে অবশ্য দায় কিছুটা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের। লুক জঙ্গুইয়ের ক্যাচ না ফেললে সাকলাইন মুশতাকের দ্রুততম ২০০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড আজই ভেঙে দিতেন স্টার্ক। তবে রেকর্ডটি এখনো নিজের করে নেওয়ার সুযোগ আছে তাঁর।

সিকান্দার রাজা ও শন উইলিয়ামস ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখিয়েছেন জিম্বাবুয়েকে। ৩২ রানের জুটি গড়েন দুজন। ২৯ রান করা উইলিয়ামসকে তুলে নেন জাম্পা। ১৭ রান করা রাজাকে আউট করেন জস হ্যাজলউড।

২৭.৫ ওভারে জিম্বাবুয়েকে অলআউট করা অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন স্টার্ক ও জাম্পা। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ওয়ানডেতে সপ্তম দল হিসেবে ১০০ রানের নিচে অলআউট হলো জিম্বাবুয়ে। আগের ছয়টি দল—ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত। এর মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুবার ১০০ রানের নিচে অলআউট হয়েছে।