মারা গেলেন ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার ও ম্যাচ রেফারি সুব্বা রাও

ইংল্যান্ডের হয়ে ১৩টি টেস্ট খেলেছিলেন সুব্বা রাওইসিবি

মারা গেছেন ইংল্যান্ডের সাবেক টেস্ট ওপেনার, আইসিসির মাচ রেফারি ও ক্রিকেট প্রশাসক রামন সুব্বা রাও। ৯২ বছর বয়সে মৃত্যুর সময় তিনি ছিলেন ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বেশি বয়সী টেস্ট ক্রিকেটার।

১৯৫৮ থেকে ১৯৬১ সালের মধ্যে ইংল্যান্ডের হয়ে ১৩টি টেস্ট খেলেছিলেন সুব্বা রাও। তাঁর ব্যাটিং গড় ছিল ৪৬.৮৫, তবে মাত্র ২৯ বছর বয়সেই অবসর নেন। খেলা ছাড়ার পর জনসংযোগের একটি ফার্ম খোলেন, কিন্তু ক্রিকেটের সঙ্গে সংযোগ ঠিকই ছিল তাঁর।

কাউন্টি ক্লাব সারের চেয়ারম্যান ছিলেন, তাদের মাঠ ওভালের আধুনিকায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এমসিসির কর্তৃত্ব থেকে বেরিয়ে টেস্ট অ্যান্ড কাউন্টি ক্রিকেট বোর্ড (টিসিসিবি)—এখনকার ইসিবি প্রতিষ্ঠাতেও ভূমিকা ছিল সুব্বা রাওয়ের। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯০ সালে ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ইংল্যান্ড দলের ম্যানেজারের ভূমিকাতেও ছিলেন তিনি। ১৯৯২ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে ৪১টি টেস্ট ও ১১৯টি ওয়ানডেতে আইসিসির ম্যাচ রেফারির দায়িত্বও পালন করেন।

আরও পড়ুন

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিকেটের জন্য ‘ব্লু পদক’ পাওয়া সুব্বা রাওয়ের সারের হয়ে অভিষেক ১৯৫৩ সালে। পরবর্তী সময়ে নর্দাম্পটনশায়ারে যোগ দিয়ে তাদের অধিনায়কত্বও করেন। ১০ বছরের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে ২৬০টি ম্যাচ খেলে ১৪ হাজারের বেশি রান করার পাশাপাশি লেগ স্পিনে ৮৭টি উইকেটও নেন। ১৯৬১ সালে ২-২-এ ড্র হওয়া অ্যাশেজের প্রথম ও পঞ্চম ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন।

আইসিসির ম্যাচ রেফারিও ছিলেন সুব্বা রাও
আইসিসি

ওভালকে সব সময়ই নিজের ‘দ্বিতীয় ঘর’ মনে করতেন সুব্বা রাও। তাঁর একসময়ের সহকর্মী অ্যান বিকারস্টাফ একটি ঘটনার বর্ণনা করেছেন এভাবে—একবার বড়দিনে দেখা গেল, স্টাফদের বোনাস দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত টাকা সারের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নেই। সুব্বা রাও নিজের অ্যাকাউন্ট থেকে সেবার কর্মীদের বোনাস দিয়েছিলেন।  

সুব্বা রাওয়ের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে ইসিসিবির চেয়ারম্যান রিচার্ড টমসন বলেছেন, ‘দারুণ একজন ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব ছিলেন। মাঠে এবং মাঠের বাইরে খেলোয়াড়, কর্মকর্তা, প্রশাসক এবং সারে ও টেস্ট অ্যান্ড কাউন্টি ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে অসাধারণ এক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে সফল ছিলেন।’

আরও পড়ুন

আইসিসির ক্রিকেট মহাব্যবস্থাপক ওয়াসিম খান বলেছেন, ‘রামানের মৃত্যুর সংবাদ শোনা কষ্টের। আইসিসির সবার পক্ষ থেকে সমবেদনা জানাই।’

মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক মেয়ে, এক ছেলে, আটজন নাতি-নাতনি এবং প্রোপৌত্র রেখে গেছেন সুব্বা রাও।