শ্রীলঙ্কাকে গুঁড়িয়ে সেমিফাইনালের দ্বারপ্রান্তে নিউজিল্যান্ড

৩ উইকেট নেন ট্রেন্ট বোল্টএএফপি

প্রথম চার ম্যাচে জিতে উড়ন্ত শুরু করলেও পরের টানা চার ম্যাচ হেরে পা হড়কাতে বসেছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বেঙ্গালুরুতে শ্রীলঙ্কাকে ৫ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালের অনেক কাছেই চলে গেল গেল গতবারের রানার্সআপরা। অন্যদিকে এ হারে শীর্ষ আটে থেকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সুযোগ পাওয়ার কাজটিও কঠিন হয়ে পড়েছে শ্রীলঙ্কার। আগে ব্যাটিং করে ৪৬.৪ ওভারে ১৭১ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্রর ৮৬ রানের উদ্বোধনী জুটিতে এরপর কাজটি সহজ করে ফেলেছে নিউজিল্যান্ড। ২৩.২ ওভারেই জয় নিশ্চিত করেছে তারা।

বড় জয়ে নিজেদের নেট রানরেট আরেকটু বাড়িয়ে নিয়েছে কিউইরা, প্রথম পর্ব শেষে সেটি এখন ০.৭৪৩। ফলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের কাজটি হয়ে পড়েছে প্রায় ‘অসম্ভব’। নিজেদের শেষ ম্যাচে শুধু জিতলেই হবে না, নিউজিল্যান্ডকে টপকে যেতে পাকিস্তান (০.০৩৬) ও আফগানিস্তানকে (-০.৩৩৮) সে কাজটি করতে হবে প্রায় অসম্ভব এক ব্যবধানে। ফলে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার পর শেষ দল হিসেবে নিউজিল্যান্ডের সেমিফাইনালে খেলা এখন অনেকটাই নিশ্চিত।

এ ম্যাচ ঘিরে বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল ভালোভাবেই, টসে জিতে নিউজিল্যান্ড নেয় ফিল্ডিং। কুশল পেরেরা খেলেন ২৮ বলে ৫১ রানের ঝোড়ো ইনিংস, ২২ বলেই পূর্ণ করেন অর্ধশতক। কিন্তু প্রথম ১০ ওভারের মধ্যে ৭০ রানে ৫ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। পেরেরা ছাড়া শ্রীলঙ্কার প্রথম ৭ জন ব্যাটসম্যান ১২১ বল খেলে করতে পারেন মাত্র ৫৮ রান।

রাচিন রবীন্দ্র খেলেন ৪২ রানের ইনিংস
এএফপি

দ্বিতীয় ওভারে পাতুম নিশাঙ্কাকে ফিরিয়ে প্রথম আঘাত করেছিলেন টিম সাউদি, এরপর ট্রেন্ট বোল্ট ও লকি ফার্গুসনের তোপ ও মিচেল স্যান্টনারের ঘূর্ণিতে ধস নামে শ্রীলঙ্কার ইনিংসে। ২৪তম ওভারে ১১৩ রানে অষ্টম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা, ১৫০-এর নিচে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল তারা। সেটি হতে দেননি মহীশ তিকশানা।

শেষ ২ উইকেট জুটিতে ৫৮ রান যোগ করে শ্রীলঙ্কা। নিউজিল্যান্ডকে রানের চেয়েও বেশি হতাশ করে তাদের খেলা ২৩.১ ওভার। দিলশান মাদুশঙ্কাকে নিয়ে দশম উইকেটে শ্রীলঙ্কার রেকর্ড ৪৩ রান তোলেন তিকশানা, রাচিন রবীন্দ্র এসে ভাঙেন সে জুটি।

এ টুর্নামেন্টে শ্রীলঙ্কার যে কয়েকটি ইতিবাচক দিক, তার মধ্যে একটি দিলশান মাদুশঙ্কার নতুন বলে বোলিং। কিন্তু কনওয়ে ও রবীন্দ্রর জুটি ভাঙতে পারেননি তিনিও। ১৩তম ওভারে সে জুটি ভাঙেন দুষ্মন্ত চামিরা, কিন্তু ততক্ষণে আসলে লড়াই থেকে ছিটকেই গেছে শ্রীলঙ্কা। অবশ্য কনওয়ে ও রবীন্দ্র পরপর ২ ওভারে ফিরলেও নেট রানরেটের কথা ভেবে গতি কমায়নি নিউজিল্যান্ড।

পরে আরও ৩টি উইকেট হারিয়েছে তারা। কিন্তু ড্যারিল মিচেলের ৩১ বলে ৪৩, উইলিয়ামসনের সঙ্গে ২৯ বলে ৪২ রানের জুটিতে নিজেদের কাজটি দারুণভাবে করার পথেই এগিয়ে যায় তারা। ২৪তম ওভারের প্রথম ২ বলে ২ চারে জয় নিশ্চিত করেন গ্লেন ফিলিপস। মুম্বাইয়ে ১৫ নভেম্বর প্রথম সেমিফাইনালে ভারতের প্রতিপক্ষ তারা, সেটিও নিশ্চিত হয়ে গেছে অনেকটাই। গত বিশ্বকাপে ভারতকে হারিয়েই ফাইনালে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড।