টানা দুই ম্যাচে বাংলাদেশের অর্ধেকের বেশি ‘ডট’ খেলার উত্তর খুঁজছেন মালিক
উইকেটে দ্রুত থিতু হতে গেলে কী প্রয়োজন? স্ট্রাইক অদলবদল করে খেলা। ব্যাটিংয়ে নামলে এটা যেন ভুলে যান বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। বাড়িয়ে বলা হচ্ছে? পরিসংখ্যান কিন্তু তা বলছে না। ভারতের বিপক্ষে গতকাল বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ‘ডট’ খেলেছেন ১৫৯টি। এর আগের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তো আরও বেশি—১৭৫টি। সে ম্যাচে কিউই পেসার লকি ফার্গুসনের করা ৬০ বলের মধ্যে ৪৪টি ডেলিভারিতে কোনো রান নিতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা।
পাকিস্তান অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমে এক অনুষ্ঠানে এর ব্যাখ্যা খোঁজার চেষ্টা করেছেন। ‘প্যাভিলিয়ন’ নামে সেই অনুষ্ঠানে মালিকের সঙ্গে আরও ছিলেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি ওয়াসিম আকরাম, সাবেক উইকেটরক্ষক মঈন খান ও সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ-উল হক।
বাংলাদেশের ব্যাটিং প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রথমে পাকিস্তানের সাবেক উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মঈন ডট বলের প্রসঙ্গ তোলেন। তখন মালিক বাংলাদেশে খেলার অভিজ্ঞতা থেকে নিজের মতামত দেন।
এই অলরাউন্ডারের মতে, বাংলাদেশের উইকেটের সমস্যার কারণেই ব্যাটসম্যানরা ডট খেলছেন, ‘বাংলাদেশের সব উইকেট একরকম। তাদের অবকাঠামোগত পরিবর্তন আনতে হবে। উইকেটগুলো এমন কঠিন থাকে যে ডট বল খেলতেই হয়। ব্যাটসম্যানরা ক্রিজে গিয়ে সেট হতে পারে না। সে কারণে ডট বল খেলে উইকেট বোঝার চেষ্টা করে। এরপর বাউন্ডারি থেকে রান করার চেষ্টা করে। জাতীয় দলেও খেলার ঠিক একই ধরন দেখা যায়।’
ওয়াসিম আকরাম মালিকের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, ঘরোয়া লিগে তরুণ প্রতিভা তার চোখে পড়েছে কি না? সে প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মালিক আরও বড় সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
এই পাকিস্তানি অলরাউন্ডার দুষছেন বাংলাদেশের উইকেট আর কন্ডিশনকে, ‘প্রতিভা আছে। অনেক তরুণ প্রতিভাবান ক্রিকেটার আছে। তবে যারা বিশ্বকাপে খেলছে, তারাই ওদের সেরা। আমরা যখন লিগ খেলি সেখানে, তখন এরাই ধারাবাহিক পারফর্ম করে। তবে লিগগুলো টি-টোয়েন্টি সংস্করণে হয়। টি-টোয়েন্টিতে অনেক সময় ছোট পারফরম্যান্সও অনেক বড় হয়ে যায়। দলগুলো যখন বাংলাদেশে খেলতে যায়, তখন বাংলাদেশের কন্ডিশনে ভালো করার চ্যালেঞ্জ থাকে। ঘরের মাঠে টার্ন থাকে, বল নিচু হয়ে আসে। যদি মিরপুরে খেলি, অনেক সময় তো ১১০ রানই করা কঠিন হয়ে যায়।’