তামিম মনে করিয়ে দিলেন, পাকিস্তানও জিম্বাবুয়েতে হেরেছে

তামিম ইকবালফাইল ছবি: প্রথম আলো

জিম্বাবুয়ে সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হচ্ছে আজ থেকে। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর শুরু হবে ওয়ানডে সিরিজ। ৫ আগস্ট হারারেতে প্রথম ওয়ানডে।

৫০ ওভার সংস্করণের এই সিরিজে খেলতে কাল রাত ১টা ৪০ মিনিটে জিম্বাবুয়ের উদ্দেশ্যে উড়াল দেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। যাওয়ার আগে তামিম জানান, জিম্বাবুয়ের চেয়ে বাংলাদেশ ভালো দল হলেও খুব সহজে হারানো যাবে না।

তামিমের জিম্বাবুয়ে যাত্রায় সঙ্গী ছিলেন মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ ও তাইজুল ইসলাম। ওয়ানডে সিরিজে খেলবেন এই চার ক্রিকেটারই। ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বিস্তর ব্যবধানে পিছিয়ে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে সাতে, জিম্বাবুয়ে ১৫তম। তামিম অবশ্য র‌্যাঙ্কিংয়ের এই পার্থক্য নিয়ে ভাবছেন না।

জিম্বাবুয়ে দলের শক্তি-সামর্থ্য জানেন বলেই হয়তো ঝুঁকিটাও মনে করিয়ে দিলেন সংবাদকর্মীদের, ‘পরিকল্পনা একই থাকবে—জিততে চাই। আসলে আমি সব সময় একটা কথা বলি, (র‌্যাঙ্কিংয়ে) কে আগে, কে পরে, এটা কোনো বিষয় নয়। কে ভালো খেলছে, এটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই আমরা ওদের চেয়ে ভালো দল। কিন্তু ওদের দেশে যে সহজেই হারিয়ে দেওয়া যাবে, তা নয়।’

জিম্বাবুয়ে সফরে বিমানে চড়ে তোলা এই ছবিটি ফেসবুকে পোস্ট করেন তামিম ইকবাল
ছবি: ফেসবুক

তামিম একটি উদাহরণও দিলেন, ‘শেষ কয়েকটা সিরিজ যদি দেখেন, পাকিস্তানের মতো দলও কিন্তু ওখানে গিয়ে হেরেছে।’ গত বছর এপ্রিলে জিম্বাবুয়েতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে দ্বিতীয় ম্যাচে হেরেছিল পাকিস্তান।

তামিম তাই জানালেন, জিম্বাবুয়ে গিয়ে ফুরফুরে মেজাজে থাকার সুযোগ নেই, ‘আমাদের রিল্যাক্স করার কোনো সুযোগ থাকবে না। যদি ভালো করতে চাই, প্রথম বল থেকে চেষ্টাটা থাকতে হবে। অবশ্যই আমরা ভালো দল। কিন্তু খেলায় হারজিত নির্ভর করে কে ভালো খেলছে তার ওপর, কে ভালো দল তা দিয়ে হয় না। আমরা যদি ভালো খেলি, অবশ্যই আমরা জিতব।’

তামিমের কাছে সংবাদকর্মীরা জানতে চেয়েছিলেন, যেহেতু এটা ওয়ানডে চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয়, তাই দল নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে কি না। তরুণদের সুযোগ দেওয়া হবে কি না—এসব জানতে চাওয়া হয়েছিল ওয়ানডে অধিনায়কের কাছে।

তামিমের উত্তর, ‘আমার তো মনে হয় তরুণেরা সব সুযোগই পাচ্ছে এখন। একটা দলে ১৫ জন থাকে, সবাইকে তো খেলানোর সুযোগ থাকে না। আপনি যদি শেষ সিরিজেও দেখেন, তরুণেরাই খেলেছে। এই সিরিজে মুশফিক ঢুকছে, সে আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমার কাছে মনে হয় না তরুণ বা বৃদ্ধ, এটা নিয়ে ইদানীং বেশি কথা হচ্ছে। যাদের সামর্থ্য আছে, তারাই সুযোগ পাবে ১৫ জনে বিশেষত। সেরা একাদশই আমরা বেছে নেব।’

তামিমের সঙ্গে মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহও গেছেন জিম্বাবুয়ে সফরে
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

বাংলাদেশের এই ওপেনার মনে করিয়ে দিলেন, এটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। পাড়ার ক্রিকেট নয় যে একে-ওকে খেলিয়ে দেওয়া হলো, ‘১৫ জনে অনেক সময় অনেক খেলার সুযোগ পায় না। এ রকম যদি সুযোগ থাকে, আমরা খেলাতে পারি, দলের জন্য ভালো হবে। কিন্তু যেটা বললাম, এটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, আন্তর্জাতিক সিরিজ। পাড়ার খেলা নয়, আমি একে-ওকে খেললাম। যে–ই হোক, যে দলে জায়গা পাওয়ার যোগ্য, সে অবশ্যই খেলবে।’