বেয়ারস্টোর আউট নিয়ে কথা বললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীও

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকছবি: রয়টার্স

এ বিতর্ক থামার নয়!

লর্ডস টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে জনি বেয়ারস্টোর আউট ইংল্যান্ড দল মানতে পারেনি। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক বেন স্টোকস স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ানদের মতো করে তিনি জিততে চাইতেন না

স্টোকস ছাড়াও এই আউট নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে অনেকে কথা বলেছেন। এবার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকও এই আউট নিয়ে মন্তব্য করেছেন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী সুর মিলিয়েছেন ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক স্টোকসের কথার সঙ্গেই। অর্থাৎ তিনিও এভাবে ম্যাচ জিততে চাইতেন না।

আরও পড়ুন

মূলত লর্ডস টেস্টের ফলাফলে বেয়ারস্টোর অমন আউটের প্রভাব অনেক। ওই মুহূর্তে এই উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান আউট না হলে ম্যাচের ফল অন্য রকম হলেও হতে পারত। ক্যামেরন গ্রিনের বাউন্সার ডাক করে ক্রিজ থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন বেয়ারস্টো। এই উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান মনে করেছিলেন বলটা ‘ডেড’ হয়ে গেছে। বেয়ারস্টোকে ক্রিজ ছেড়ে বের হতে দেখেই ‘আন্ডারআর্ম’ থ্রোয়ে স্টাম্প ভাঙেন অস্ট্রেলিয়ার উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারি।

লর্ডস টেস্ট দেখতে লর্ডস প্যাভিলিয়নে ছিলেন ঋষি সুনাক
ছবি: রয়টার্স

এরপর ইংল্যান্ডের অধিনায়ক স্টোকস এমন আউটকে ক্রিকেটের ‘চেতনার পরিপন্থী’ দাবি করে বিবিসিকে বলেন, ‘আমি যদি প্রতিপক্ষের দলে থাকতাম, তাহলে আমি আম্পায়ারদের জিজ্ঞেস করতাম, তাঁরা ওভার ঘোষণা করেছেন কি না। এটা নিয়ে তাঁদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতাম। তাঁদের পুরো বিষয়টি নিয়ে, এর সঙ্গে জড়িত ক্রিকেটীয় চেতনা ইত্যাদি নিয়ে ভাবতে বাধ্য করতাম।’

আরও পড়ুন

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর কথাও ঠিক এমনই। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানান, ‘প্রধানমন্ত্রী বেন স্টোকসের সঙ্গে একমত, অস্ট্রেলিয়ানদের মতো এই কৌশলে তিনি ম্যাচ জিততে চাইতেন না।’

ক্রিজ ছেড়ে বের হয়ে এসেছিলেন বেয়ারস্টো। অস্ট্রেলিয়ার উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারি স্টাম্প ভেঙে আউটের আবেদন করেন
ছবি: রয়টার্স

প্রথম দুই ম্যাচ হেরে যাওয়ার পরও পরের তিন ম্যাচ জিতে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী স্টোকস। ঋষি সুনাকও এখনই হাল ছাড়তে রাজি নন, জানিয়েছেন তাঁর মুখপাত্র, ‘এই ম্যাচটা বেন স্টোকসের সেরাটা দেখার সুযোগ দিয়েছিল, অবিশ্বাস্য একটা ম্যাচ ছিল। প্রধানমন্ত্রীর আত্মবিশ্বাস আছে ইংল্যান্ড দারুণভাবে কামব্যাক করবে।’

বেয়ারস্টোর আউট নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল লর্ডসের লং রুমে। অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়েরা মধ্যাহ্নবিরতিতে মাঠ ছেড়ে লং রুম দিয়ে ড্রেসিংরুমে যাওয়ার সময় তাঁদের দুয়ো দিয়েছেন অনেকে। কেউ কেউ ‘প্রতারক’ বলে চিৎকার করেন। লং রুমে বসে সাধারণত এমসিসির সদস্যরাই খেলা দেখতে পারেন। যে কারণে এমসিসি তাদের তিন সদস্যকে সাময়িক নিষেধাজ্ঞাও দিয়েছে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, এটা সঠিক সিদ্ধান্ত, ‘বাজে আচরণের জন্য দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়েই এমসিসির তিনজনকে নিষিদ্ধ করা সঠিক সিদ্ধান্ত বলে তিনি মনে করেন।’

আরও পড়ুন