পাকিস্তানের ৯৩ রানের জয়, তবে...
পাকিস্তানের কাছে ওমান পাত্তা পাবে না, এটাই স্বাভাবিক। ম্যাচের আগের আলোচনা ছিল—প্রথমবার এশিয়া কাপ খেলতে আসা ওমান পাকিস্তানের কাছে কত বড় ব্যবধানে হারবে! ওমানকে ৯৩ রানের বড় ব্যবধানেই হারিয়েছে পাকিস্তান। ১৬১ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নামা ওমানকে তারা অলআউট করে দিয়েছে ৬৭ রানে। তবে এর জন্য ১৬.৪ ওভার লেগেছে পাকিস্তানের।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তান ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬০ রান করতে পেরেছে মূলত মোহাম্মদ হারিসের ইনিংসে ভর করে। গত ১ জুন লাহোরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪৬ বলে অপরাজিত ১০৭ রান করেছিলেন হারিস। টি-টোয়েন্টি তো বটেই, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই সেটি ছিল তাঁর প্রথম সেঞ্চুরি। এরপর আজকের আগপর্যন্ত ১১ বার ব্যাটিংয়ে নেমে আর কোনো ইনিংসে ১৫ রানও পার করতে পারেননি। টানা রান-খরার মধ্যে থাকা সেই হারিসই গতকাল দুবাইয়ে ওমানের বিপক্ষে ফিরলেন পুরোনো রূপে। ওমানের বিপক্ষে ৩২ বলেই ৫০ ছুঁয়েছেন হারিস। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওই সেঞ্চুরির বাইরে এটিই তাঁর প্রথম ফিফটি।
ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই শাহ ফয়সালের বলে এলবিডব্লু হন সাইম আইয়ুব। এরপর ৩ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে হারিসই হয়ে ওঠেন পাকিস্তানের ত্রাতা। সর্বশেষ ১১ ম্যাচে মাত্র ৪৪ রান করা এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান শেষ পর্যন্ত ইনিংসের ১৩তম ওভারে আমির কলিমের স্পিনে যখন বোল্ড হন, নামের পাশে তখন ৪৩ বলে ৬৬ রান। তাঁর ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ৩টি ছক্কা। ২০ ওভারে ৭ উইকেটে পাকিস্তান তুলতে পারে ১৬০ রান। ওমানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন কলিম ও ফয়সাল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৬০/৭ (হারিস ৬৬, ফারহান ২৯, ফখর ২৩*, নেওয়াজ ১৯; কলিম ৩/৩১, ফয়সাল ৩/৩৪, নাদিম ১/২৩)।
ওমান: ১৬.৪ ওভারে ৬৭ (হামাদ ২৭, কলিম ১৩; ফাহিম ২/৬, মুকিম ২/৭, আইয়ুব ২/৮, আবরার ১/১২, নেওয়াজ ১/১৩, আফ্রিদি ১/২০)।
ফল: পাকিস্তান ৯৩ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মোহাম্মদ হারিস (পাকিস্তান)।