লিটনকে যে পরামর্শ দিলেন বাবর-রিজওয়ান

লিটন দাস ও মোহাম্মদ রিজওয়ানছবি: এএফপি

হ্যাগলি ওভালে আজ ফিফটি পেয়েছেন তিনজনই। ২৯তম জন্মদিনে লিটন দাস খেলেছেন ৪২ বলে ৬৯ রানের ইনিংস। পাকিস্তানের রানতাড়ায় বাবর আজম করেছেন ৪০ বলে ৫৫ রান, মোহাম্মদ রিজওয়ান ৫৬ বলে ৬৯।

খেলা শেষে যখন পুরস্কার বিতরণ চলছে, তিনজনকে দেখা গেল এক পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলছেন। কথা বলতে ঠিক গল্প–রসিকতার আড্ডা নয়, গুরুগম্ভীর আলাপচারিতা। যেখানে পরামর্শকের ভূমিকায় বাবর–রিজওয়ান, মনোযোগী শ্রোতা লিটন।

তা, বাংলাদেশের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানকে কী পরামর্শ দিয়েছেন দুই পাকিস্তানি ওপেনার?

তিনজনের আলাপচারিতার কিছু অংশ ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

সেখানে সমালোচকদের কথায় কান না দিতে লিটনকে পরামর্শ দিতে দেখা যায় বাবর আজমকে, ‘বাইরের কথা যত কম শুনবে, নিজের বিশ্বাস ততটা শক্ত থাকবে। কারণ না চাইলেও নিজের মধ্যে একটা সন্দেহ-সংশয় চলেই আসে। আপনি ভালো খেলতে থাকলেও কেউ হয়তো কিছু একটা বলে দিল, তখন নিজের মধ্যে ভাবনা চলে আসে—সব ঠিক আছে তো!’

পাকিস্তান অধিনায়কের কথাগুলো পাশে দাঁড়িয়ে শুনছিলেন রিজওয়ান।

বাবর চলে গেলে টি–টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ের বর্তমান শীর্ষ ব্যাটসম্যানের সঙ্গে আলাপ শুরু করেন লিটন।

সর্বশেষ ১৫ টি–টোয়েন্টির ৯টিতে পঞ্চাশ পূর্ণ করে অবিশ্বাস্য ফর্মে আছেন রিজওয়ান। তবে সাফল্যের পাশাপাশি ব্যর্থতাও স্বাভাবিক—এ জন্য মানসিকভাবে দৃঢ় থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি, ‘কখনো শূন্য হবে, ১০ রানে আউট হবে, সেঞ্চুরিও হবে। আমি একটা জিনিস বিশ্বাস করি, কঠোর পরিশ্রম ছাড়া কোনো কিছু সম্ভব নয়। হ্যাঁ, নিজ নিজ দলে কেউ ব্যতিক্রম কিছু করলে তার ফলও আলাদা হতে পারে। আবার কেউ থাকে সাকিবের মতো শক্ত মানসিকতার। তুমিও জানো, আমিও জানি এটি খেলার অংশ যে ক্যাচ ছুটবে, সেঞ্চুরি করবে, বড় খেলোয়াড় হয়ে যাবে। লিটন দাস বড় খেলোয়াড়...রিজওয়ানের ক্যাচ ছুটেছে, ম্যাচ জিতে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়ে গেছে। কিন্তু সেটি ক্যাচ হয়ে গেলে এসব কিছুই হতো না।’

একপর্যায়ে লিটন প্রশ্ন করেন, রানের মধ্যে থাকলে মনমেজাজ ভালোই থাকে। কিন্তু ছন্দে না থাকার সময়ে কীভাবে মনোযোগ ধরে রাখা যায়?

আরও পড়ুন

এ ক্ষেত্রে ভালো–মন্দ সবই মাথায় ঢুকিয়ে রাখার পরামর্শ রিজওয়ানের, ‘নিজেকে একটি জিনিসের জন্য প্রস্তুত করে ফেল। আমার জীবনে ১০টি ইনিংস এমন হবে, যেখানে আমি আটকে যাব। আবার ১০টি ইনিংস এমন হবে, যেখানে ১২ বলে ২০ লাগলেও আমি করে ফেলব। কিন্তু বড় খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রে এমন হয় যে তারা এত শান্ত থাকে যে ১০ ইনিংসের বদলে ৪টিতে ব্যর্থ হয়, বাকি ৬টিতে সফল হয়ে যায়।’