ডিউক বল বিতর্ক: ক্রিকেটারদের উল্টো ছিঁচকাঁদুনে বললেন বল কারখানার মালিক

এই ডিউক বল নিয়েই চলছে বিতর্কএএফপি

বল নিয়ে বিতর্ক পিছুই ছাড়ছে না ইংল্যান্ড-ভারত টেস্ট সিরিজে। সর্বশেষ আজ ভারতের ইনিংসের ৫৬তম ওভার শেষে আবার বল বদলাতে বাধ্য হয়েছেন আম্পায়াররা। দিনের প্রথম পানি পান বিরতির পর আম্পায়াররা যখন বল বাছাই করছিলেন তখন টেলিভিশনে একরকম চেচিয়েও ওঠেন ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রী। ভারতের সাবেক কোচ ও অধিনায়ক বলে ওঠেন, ‘এই যে, আবার। আরেকটি বল পাল্টানো হচ্ছে! আমি এখন এটাকে হাস্যকরই বলব, বল বদলাতে হলে পানি পান বিরতির শুরুতে করলেই তো হতো।’

শাস্ত্রী তো আম্পায়ারদের সমালোচনা করলেন, তবে খেলোয়াড়েরা বিরক্ত ডিউক বল নিয়ে। বল দ্রুত নরম হয়ে যাচ্ছে, ছিঁড়ে যাচ্ছে সুতো। সব মিলিয়েই সিরিজের শুরু থেকেই ডিউক বল নিয়ে কথা কম হচ্ছে না। বলের অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে মন্তব্য করেছেন অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার, এমনকি ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক নাসের হুসেনও বলের আচরণে ‘অস্বাভাবিকতা’ দেখছেন।

আগের যুগে কেউ এত অভিযোগ করত না। আজকালকার খেলোয়াড়েরা ছিঁচকাঁদুনে। মানুষকে বুঝতে হবে বল বানানোটা সহজ কাজ নয়। যদি সহজই হতো তবে শত শত বল তৈরির কারখানা থাকত।
দিলীপ জাজোদিয়া, মালি, ডিউক বল

লর্ডস টেস্টে শুবমান গিলকে তো দেখা গেছে আম্পায়ারদের সঙ্গে রীতিমতো তর্কে জড়াতে। একবার তো ইনিংসের ১১ তম ওভারেই বল পাল্টাতে হয়েছে।

তবে এসব সমালোচনাকে মোটেও পাত্তা দিচ্ছেন না বল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক দিলীপ জাজোদিয়া। উল্টো ক্রিকেটারদের মানসিকতার দিকেই আঙুল তুলে বলেছেন আজকালকার খেলোয়াড়েরা ছিঁচকাঁদুনে।

ডিউক বলটা দ্রুত নরম হয়ে যায়, আকৃতি দ্রুত বদলে যায়
এএফপি

টেলিকম এশিয়া স্পোর্টকে জাজোদিয়া বলেন, ‘আগের যুগে কেউ এত অভিযোগ করত না। আজকালকার খেলোয়াড়েরা ছিঁচকাঁদুনে। মানুষকে বুঝতে হবে বল বানানোটা সহজ কাজ নয়। যদি সহজই হতো তবে শত শত বল তৈরির কারখানা থাকত। মনে রাখবেন আমরা চেয়ারে বসে পা তুলে শুধু সিগার টানি না। আমরা চেষ্টা করছি বিশ্বমানের পণ্য উৎপাদন করার।’

আরও পড়ুন

শক্ত ব্যাট আর আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের যুগে বলের অত দ্রুত নষ্ট হওয়া স্বাভাবিক বলেই মনে করেন জাজোদিয়া, ‘আধুনিক ব্যাটের বাড়িতে বলে আকার তো একটু বদলাবেই। এটা খেলাটারই অংশ। মাঝেমধ্যে হওয়া এমন সমস্যা যদি বড় করে দেখতে থাকেন, ক্রিকেট না খেলে অন্য খেলায় চলে গেলেই হয়।’

তবে শুধু সমালোচনার জবাব দেননি জাজোদিয়া, জানিয়েছেন বলের মান উন্নয়নে তাঁরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।