মুশফিকের প্রতি ভালোবাসা দেখে টেক্টর বললেন, ‘চমৎকার’
স্টেডিয়াম যেন এক উৎসবের মঞ্চ! প্রায় দুই শ সাংবাদিক ঘিরে ধরেছেন ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ মুশফিকুর রহিমকে। সবাই চান এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের একটা ছবি ফ্রেমবন্দী করতে।
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমের সামনে চলল রীতিমতো হইচই আর ফ্ল্যাশের ঝলকানি। মুশফিকও হাসিমুখে দাঁড়িয়ে থাকলেন ছবি তোলার জন্য।
মুশফিককে ঘিরে সংবাদমাধ্যমের এই অভূতপূর্ব আগ্রহ একটু দূরে দাঁড়িয়েই দেখছিলেন আয়ারল্যান্ডের ব্যাটসম্যান হ্যারি টেক্টর। তাঁর দল টেস্ট মর্যাদা পেয়েছে মাত্র সাত বছর আগে, খেলেছে মোটে ১১টি টেস্ট। তাই সংবাদকর্মীদের এমন আগ্রহের ঢেউ তাঁর কাছে কিছুটা অচেনা। মুশফিকের প্রতি এই ভালোবাসা দেখে টেক্টর একজন সাংবাদিককে বলেই ফেললেন, ‘চমৎকার তো!’
বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলতে যাচ্ছেন মুশফিকুর রহিম। তাঁকে নিয়ে নিজের মুগ্ধতার কথা টেক্টর বলেছেন আগের সংবাদ সম্মেলনেও, ‘যখনই কোনো খেলোয়াড় তার দেশের জন্য ১০০ টেস্ট ম্যাচ খেলে, সেটি খুবই অনুপ্রেরণার। যখন আমি অবসরে যাব, আমি নিশ্চিত না আয়ারল্যান্ডই ১০০ টেস্ট ম্যাচ খেলবে কি না। মুশফিক ২০ বছরের ক্যারিয়ারে এই মাইলফলক ছুঁয়েছে, যা আমার মনে হয় খুবই রোমাঞ্চকর।’
সিরিজের প্রথম ম্যাচ হেরে পিছিয়ে আছে আয়ারল্যান্ড। এই সিরিজের আগে টানা তিন টেস্ট জিতেছিল তারা। কিন্তু এবার নামতে হবে সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে। মুশফিকের শততম টেস্টের আনন্দ থাকলেও বাংলাদেশের সঙ্গে চোখে চোখ রেখেই লড়বে আয়ারল্যান্ড—এ কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন টেক্টর।
মুখে হাসি রেখেই টেক্টর বলেছেন, ‘কোনো ছাড় নয়। আমি মনে করি না তার ছাড়ের দরকারও আছে, সে এতটাই ভালো খেলোয়াড়। তার জন্য একটি চমৎকার অর্জন, প্রথম বাংলাদেশি খেলোয়াড় হিসেবে ১০০ টেস্ট অভূতপূর্ব অর্জন। এমন কিছুর জন্য তার গর্বিত হওয়া উচিত, আমি নিশ্চিত যে সে গর্বিতও।’