গোলাপি টেস্ট বলে কি একটু নির্ভার অস্ট্রেলিয়া

সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক কামিন্সএএফপি

অ্যাডিলেড ওভালকে এর চেয়ে ভালো সময়ে চাইতে পারত না অস্ট্রেলিয়া। পার্থ টেস্ট হার দিয়ে সিরিজ শুরু। তাও এমন দলের বিপক্ষে, যাদের কাছে সর্বশেষ দুই সিরিজেও হারতে হয়েছে। ঘরের মাঠে ভারতের কাছে টানা তৃতীয় ‘বোর্ডার–গাভাস্কার’ ট্রফি হার ঠেকাতে প্যাট কামিন্সের ঘুরে দাঁড়ানোটা তাই জরুরিই।

আর এমন জরুরি সময়েই সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে অ্যাডিলেড ওভালে নামছে অস্ট্রেলিয়া, ম্যাচটাও গোলাপি বল ক্রিকেটে দিবারাত্রির।

গোলাপি বলে দিবারাত্রির ম্যাচ আর অ্যাডিলেড ওভালের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার রসায়ন চমৎকার। এই মাঠে গোলাপি বল ক্রিকেটে ৭ ম্যাচ খেলে সব কটিতেই জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। এবার তাই সিরিজে পিছিয়ে থাকার চাপ থাকলেও বাড়তি উদ্দীপনা নিয়েই মাঠে নামছেন কামিন্সরা।

আরও পড়ুন

উদ্দীপনা বা অনুপ্রেরণার উৎস অবশ্য ভারতেরও আছে। প্রথম টেস্টে ২৯৫ রানের বড় জয় তো আছেই, এবার যোগ হয়েছে রোহিত শর্মার শক্তিও। পারিবারিক কারণে দেরিতে দেশ ছাড়ায় প্রথম টেস্টের দলে ছিলেন না ভারতের নিয়মিত অধিনায়ক।

দলে ফিরেছেন রোহিত, তবে খেলবেন মিডল অর্ডারে
এএফপি

দ্বিতীয় টেস্টের আগে দলের সঙ্গে যোগ দেওয়া রোহিত আজ শুরু অ্যাডিলেড টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দেবেন। রোহিতকে জায়গা দিতে গিয়ে পার্থ একাদশ থেকে বাদ পড়ছেন দেবদূত পাড়িক্কাল। একটা জায়গায় অবশ্য বদল আসছে না। রোহিত ওপেনার হলেও অ্যাডিলেডে খেলবেন মিডল অর্ডারে, ইনিংস উদ্বোধনের দায়িত্বটা থাকছে যশস্বী জয়সোয়াল আর লোকেশ রাহুলের কাঁধেই। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে খবরটি নিশ্চিত করেছেন রোহিতই।

একাদশে এক পরিবর্তন নিয়ে নামছে অস্ট্রেলিয়াও। চোটের কারণে জশ হ্যাজলউড ছিটকে যাওয়ায় তাঁর জায়গায় এসেছেন স্কট বোলান্ড, যিনি ২০২৩ অ্যাশেজের পর আর টেস্টই খেলেননি। অস্ট্রেলিয়ার মূল ভাবনা অবশ্য হ্যাজলউডকে না পাওয়া নয়, বরং দ্রুত সিরিজে সমতা আনা।

জশ হ্যাজলউডকে পাচ্ছে না অস্ট্রেলিয়া
এএফপি

যদিও কাল ম্যাচ–পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে প্রথম টেস্ট হারের চাপকে খুব একটা পাত্তা দিতে চাইলেন না অধিনায়ক কামিন্স, ‘সব টেস্টেই চাপ থাকে। সিরিজে পিছিয়ে থাকলে একটু বেশিও, বিশেষ করে সেটা যদি হয় মাঠে। তবে এ ধরনের পরিস্থিতিতে আমরা আগেও পড়েছি। বিশ্বকাপে, অন্যান্য সিরিজেও দেখা গেছে যে আমরা ‘অবশ্যই জিততে হবে’ পরিস্থিতিতে পড়ে গেছি। এখনো তো ওই অবস্থায় পৌঁছাইনি।’

এখন পর্যন্ত ১২টি দিবারাত্রির টেস্ট খেলে ১১টিতেই জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। গোলাপি বল ক্রিকেটের এই সাফল্য নিয়েও অবশ্য আত্মতৃপ্তিতে ভুগছেন না কামিন্স, ‘আমি তো লাল বল ক্রিকেট থেকে গোলাপি বল ক্রিকেটে বড় কোনো পরিবর্তন দেখি না।’

আরও পড়ুন