আইসিসি বর্ষসেরার তালিকায় স্টোকস, বাবর, সাউদিদের সঙ্গে রাজা

আইসিসির বর্ষসেরা পুরুষ ক্রিকেটারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন জিম্বাবুয়ে অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজাছবি: এএফপি

বর্ষসেরা পুরুষ টেস্ট ক্রিকেটার, পুরুষ ওয়ানডে ক্রিকেটার ও বর্ষসেরা পুরুষ ক্রিকেটারের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছে আইসিসি। বর্ষসেরা ক্রিকেটারের জন্য স্যার গারফিল্ড সোবার্স ট্রফি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকস, পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম, জিম্বাবুয়ের অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা ও নিউজিল্যান্ডের নতুন টেস্ট অধিনায়ক টিম সাউদি। বর্ষসেরা নারী ক্রিকেটারের সংক্ষিপ্ত তালিকাও আজ প্রকাশ করেছে আইসিসি। সেখানে আছেন চার দেশের চারজন—ইংল্যান্ডের ন্যাট সিভার, ভারতের স্মৃতি মান্ধানা, নিউজিল্যান্ডের অ্যামেলিয়া কার ও অস্ট্রেলিয়ার বেথ মুনি।

তিন সংস্করণে ৪৪ ম্যাচে ২৫৯৮ রান করেছেন বাবর। এ পঞ্জিকাবর্ষে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে সব সংস্করণ মিলিয়ে ২ হাজারের ওপর রান করেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক। ৫৪.১২ গড়ে ব্যাটিং করেছেন, আটটি সেঞ্চুরির সঙ্গে আছে ১৭টি ফিফটি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪২৫ বলে ১৯৬ রানের ইনিংসে দলকে করাচিতে দারুণ এক ড্র করতেও সহায়তা করেছিলেন। ২০০৯ সালের পর প্রথমবারের মতো তাঁর নেতৃত্বে এ বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলেছে পাকিস্তান।

বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সঙ্গে বর্ষসেরা পুরুষ ওয়ানডে ক্রিকেটারের সংক্ষিপ্ত তালিকাতেও আছেন বাবর ও রাজা। সেখানে তাঁদের সঙ্গী অস্ট্রেলিয়ার লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যান শাই হোপ। আগেই প্রকাশিত পুরুষদের বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারের তালিকাতেও আছেন রাজা।

আইসিসির বর্ষসেরা পুরুষ ক্রিকেটারের তালিকায় আছেন বেন স্টোকস
ছবি: শামসুল হক

রাজার জন্য বছরটি ছিল স্মরণীয়ই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের নতুন উত্থানের অন্যতম নায়ক তিনি। সব মিলিয়ে ২০২২ সালে ১৩৮০ রানের পাশাপাশি এ অলরাউন্ডার নেন ৩৩টি উইকেট। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে—দুই সংস্করণেই করেন ৬০০-এর বেশি রান। রান তাড়ায় বাংলাদেশের বিপক্ষে দুটি সেঞ্চুরিতে দলকে জয় এনে দেন, আরেকটি ইনিংসে ভারতকে কাঁপুনি ধরিয়ে দিয়েছিলেন। টি-টোয়েন্টিতে এ বছর ১৫০-এর ওপর স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেছেন, বোলিংয়ে ওভারপ্রতি খরচ করেছেন মাত্র ৬.১৩ করে রান।

সাউদি বছরের শেষ দিকে এসে টেস্ট অধিনায়কত্ব পেয়েছেন, তবে এর আগে বোলিংয়ে সময়টা দারুণই কেটেছে তাঁর। মনোনয়ন পাওয়ার সময় পর্যন্ত ৩১ ম্যাচে নিয়েছেন ৬৫ উইকেট। এ বছর টেস্টে কোনো সিরিজ জেতেনি নিউজিল্যান্ড, তবে ৮ ম্যাচে ২৮ উইকেট নিয়েছেন এ পেসার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলকে সেমিফাইনালে তুলতেও ভূমিকা ছিল সাউদির।

বর্ষসেরার সঙ্গে ওয়ানডের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের জন্যও মনোনীত হয়েছেন বাবর আজম
ছবি: শামসুল হক

বছরটি স্মরণীয় ছিল স্টোকসের জন্যও। টেস্ট অধিনায়কত্ব পেয়ে তো এ সংস্করণের ক্রিকেটের ধারাই বদলে দেওয়ার মিশনে নেমেছেন। তাঁর অধীনে ১০টি টেস্টের ৯টিতেই জিতেছে ইংল্যান্ড। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তাঁর পারফরম্যান্স পরিসংখ্যানের দিক দিয়ে সেভাবে উল্লেখযোগ্য নয়, এ বছর বিদায় বলেছেন ওয়ানডেকেও। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে চাপের মুখে দলকে দ্বিতীয় শিরোপা জেতাতে সহায়তা করেন ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংসে।  

বর্ষসেরা পুরুষ ক্রিকেটারের তালিকায় স্টোকসের সঙ্গে আছেন তাঁর সতীর্থ জনি বেয়ারস্টো, অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার উসমান খাজা ও দক্ষিণ আফ্রিকা পেসার কাগিসো রাবাদা।

র‍্যাচেল হেয়ো ফ্লিন্ট ট্রফির জন্য মনোনীত চারজনের পারফরম্যান্সও দারুণ ছিল এ বছর। নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে দলকে ফাইনালে তোলা সিভার এ বছর সব সংস্করণ মিলিয়ে ১৩৪৬ রান করার পাশাপাশি নিয়েছেন ২২টি উইকেট। মান্ধানা ৩৮ ম্যাচে করেছেন ১২৯০ রান। কার ১০০৩ রানের পাশাপাশি নিয়েছেন ৩০ উইকেট, বছরে ৯১৫ রান করেছেন মুনি।