লিটনের অভিষেকের রাতে হেরেছে কলকাতা, দিল্লির প্রথম জয়

৪ বলে ৪ রানে থামে আইপিএলে লিটনের প্রথম ইনিংসছবি: আইপিএল

ফুল লেংথের বল। হাফ ভলি বলতে যা বোঝায়, লিটন দাস তাঁর আইপিএল ক্যারিয়ারের প্রথম বলটা সেখানেই পেলেন। দিল্লি ক্যাপিট্যালসের অভিজ্ঞ পেসার ইশান্ত শর্মার এমন বলে লিটনের মানের ব্যাটসম্যানের যা করার, সেটাই তিনি করলেন। দারুণ এক কাভার ড্রাইভে বল পাঠালেন বাউন্ডারিতে। আইপিএল অভিষেকে প্রথম বলেই বাউন্ডারি পেয়ে গেলেন লিটন।

কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে আইপিএল অভিষেকের যদি কোনো স্নায়ুর চাপ থেকে থাকে, সেটি ওই প্রথম শটেই কমে আসার কথা। এমন আত্মবিশ্বাসী শুরু যে বড় ইনিংসেরই আভাস। কিন্তু সেটি হয়নি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই থামে লিটনের ইনিংস। মুকেশ কুমারের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের শর্ট বল লেগের দিকে টেনে খেলতে গিয়ে ক্যাচআউট লিটন। শেষ পর্যন্ত ৪ বলে ৪ রানে থামে আইপিএলে লিটনের প্রথম ইনিংস। ফিল্ডিংয়েও একটি সহজ স্টাম্পিং করতে ব্যর্থ হন বাংলাদেশের উইকেটকিপার।

লিটনের ব্যর্থতার রাতে হেরেছে কলকাতাও। কলকাতাকে ৪ উইকেটে হারিয়ে এবারের আইপিএলে প্রথম জয় পেয়েছে ডেভিড ওয়ার্নার-মোস্তাফিজুর রহমানদের দিল্লি। এ ম্যাচে দিল্লি দলে খেলেননি মোস্তাফিজ।

ফিফটি করে ওয়ার্নারের উদ্‌যাপন
ছবি: আইপিএল

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা কলকাতার শুরুটা ভালো হয়নি। লিটনের পর দ্রুত আউট হয়ে ফেরেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার ও অধিনায়ক নিতিশ রানাও। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে কলকাতা তুলতে পারে মাত্র ৩৫ রান।

এই ধাক্কা সামলে উঠতে কলকাতার ইংলিশ ওপেনার জেসন রয় খেলেন শ্লথ গতির ইনিংস। ৩৯ বলে ৫টি চার ও এক ছয়ে ৪৩ রান করেন তিনি। কিন্তু অন্যপ্রান্তে নিয়মিত উইকেট পড়তে থাকায় রানের চাকা কখনোই দ্রুত ঘোরাতে পারেনি কলকাতা। শেষ দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেল চেষ্টা করেছেন, কিন্তু এক চার ও চার ছয়ে তাঁর ৩১ বলে অপরাজিত ৩৮ রানের ইনিংসটি দলকে খুব বেশি দূর নিতে পারেনি। ইনিংসের শেষ বলে অলআউট হওয়ার আগে ১২৭ রান করেছে তারা। দিল্লির ইশান্ত শর্মা, আনরিখ নর্কিয়া, অক্ষর প্যাটেল ও কুলদীপ যাদব নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।

ওয়ার্নারের ১১ চারে ৪১ বলে ৫৭ রানের ইনিংস ঝামেলায় পড়তে দেয়নি দিল্লিকে
ছবি: আইপিএল

লক্ষ্য ছোট, রান তাড়া করতে নেমে তাই তাড়াহুড়ো ছিল না দিল্লির ব্যাটসম্যানদের। পৃথ্বী শ ১১ বলে ১৩ রান করে আউট হলেও অধিনায়ক ওয়ার্নারের ১১ চারে ৪১ বলে ৫৭ রানের ইনিংস ঝামেলায় পড়তে দেয়নি দিল্লিকে। শেষ পর্যন্ত তারা কলকাতার রান পেরিয়ে গেছে ৪; বল হাতে রেখে।