ভারতের জেমাইমা রদ্রিগেজের চোখে জল, তাঁকে ঘিরে উৎসব করতে তৈরি হয়েছিল বড় একটা জটলাও। ইংল্যান্ডকে হারানোর পর দক্ষিণ আফ্রিকার মেয়েদের উল্লাসের ছবিটাও সাড়া ফেলেছিল বেশ। এক দিনের ব্যবধানে দুই দলের সেই উচ্ছ্বাস গিয়ে মিলেছিল একই বিন্দুতে—নারী বিশ্বকাপের ফাইনাল ওঠার আনন্দে আত্মহারা হয়েছিল তারা।
কিন্তু এতটুকু তো আর শেষ নয়। দুই দলের সামনেই প্রথমবার নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ের হাতছানি। আজ নাবি মুম্বাইয়েই প্রথমবার এমন নারী বিশ্বকাপ ফাইনাল হচ্ছে, যেখানে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের কেউই নেই। এই দুই দলের বাইরে শিরোপাজয়ী আরেক দল নিউজিল্যান্ডও বাদ পড়ে গেছে সেমিফাইনালের আগেই। আজ দক্ষিণ আফ্রিকা-ভারতের যেই শিরোপা জিতুক, নারী বিশ্বকাপ তাই দেখবে নতুন চ্যাম্পিয়ন।
এবারের বিশ্বকাপজুড়ে কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে এসেছে ফাইনালে ওঠা দুটি দলই। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৯ রানে অলআউট হয়ে বিশ্বকাপ শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে দলটি। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৯৭ রানে অলআউট হলেও সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়েই ফাইনালে ওঠে দক্ষিণ আফ্রিকা।
আরেক দিকে টুর্নামেন্টজুড়ে ধুঁকেছে ভারতও। গ্রুপ পর্বে তারা জিতেছিল মাত্র তিন ম্যাচ। সেমিফাইনালে ওঠা অন্য তিন দলের কাউকেই তারা হারাতে পারেনি সেখানে। কিন্তু রেকর্ড রান তাড়া করে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর স্মৃতি নিয়েই ফাইনালে মাঠে নামবে ভারতীয়রা।
শিরোপা লড়াইয়ের আগে কাল অধিনায়ক হারমানপ্রিত কৌরের কথাতেও থাকল সেই ছাপই, ‘আপনি যখন বিশ্বকাপ ফাইনালের মতো মঞ্চে থাকবেন, এর চেয়ে বড় অনুপ্রেরণার কিছু থাকতে পারে না।’
ফাইনালের মঞ্চটা অবশ্য নতুন নয় ভারতের জন্য। ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডের কাছে হারতে হয়েছিল তাদের। সেই ব্যথা কাল মনে করেছেন ভারত অধিনায়ক, ‘আমরা জানি হারলে কেমন লাগে। এখন যেন জয়ের দিকটাতে থাকতে পারি, সেদিকেই তাকিয়ে আছি।’
দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল নতুন অভিজ্ঞতা। তাদের জন্য চ্যালেঞ্জ আছে আরও—স্টেডিয়াম ভর্তি থাকবে ভারতীয় সমর্থকে। তাদের নিয়ে যদিও কাল প্রোটিয়া নারী দলের অধিনায়ক লরা ভলভার্ট বলেছেন, ‘আশা করি আমরা জিততে পারব। তাহলেই তো তারা চুপ হয়ে যাবে!’