- প্রথম ওয়ানডেতে স্বাগতম
- আড়াই বছর পর ওয়ার্নার পার্কে ফিরছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
- বাংলাদেশের একাদশ
- প্রথম ছক্কা তানজিদের
- দুই ওপেনারের ভালো শুরু
- সৌম্যর বিদায়ে ভাঙল শুরুর জুটি
- বেঁচে গেলেন লিটন
- এবার গেলেন লিটন
- রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন মিরাজ
- এবার মিরাজের ক্যাচ ফেললেন কিসি কার্টি
- তানজিদ-মিরাজের জুটিতে এগোচ্ছে বাংলাদেশ
- তিন ছক্কায় তানজিদের তৃতীয় ওয়ানডে ফিফটি
- কার্টির হাতে তৃতীয় জীবন পেলেন মিরাজ
- ফিরলেন আফিফ
- অবশেষে মিরাজ আউট
- ২৯৪ রানে থামল বাংলাদেশ
- ভালো শুরু তাসকিনের, তানজিমের মেডেন
- কিংয়ের দুটো চার, লুইস বোতলবন্দী
- আক্রমণে নাহিদ রানা
- জিততে হলে এই মাঠে রেকর্ড গড়তে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে
- তানজিমে বিদায় কিংয়ের
- এবার রানার শিকার লুইস, গতিতে পরাস্ত!
- ১০ ওভার শেষে মানসিকভাবে এগিয়ে বাংলাদেশ
- রিশাদের ভালো শুরু
- প্রথম ১৫ ওভারে ভালো শুরু বাংলাদেশের
- প্রথম ছক্কা!
- কার্টিকে ফেরালেন রিশাদ
- ২৬ ওভার শেষে ৯৭টি ডট!
- হোপের হাতে আশার পাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের
- টার্গেট মিরাজ! আলগা হচ্ছে চাপ, চাই বাউন্সার
- এখন বাংলাদেশই চাপে!
- জুটি ভাঙলেন মিরাজ, হোপ আউট!
- রাদারফোর্ড ঝড়!
- ১৪ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
প্রথম ওয়ানডেতে স্বাগতম
সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। টস জেতার পর বলেছেন, ’দেখে ভালো উইকেট বলে মনে হচ্ছে। যদি আমরা ২৮০ রান করতে পারি, আমাদের জন্য ভালো হবে।
বাংলাদেশ খেলছে তিনজন পেসার ও দুজন স্পিনার নিয়ে। দুজন স্পিনারের একজন অধিনায়ক নিজে, আরেকজন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। তিন পেসার তানজিম হাসান, তাসকিন আহমেদ ও নাহিদ রানা।
বাংলাদেশের ক্রিকেট আজ এরই মধ্যে একটা সুখবর পেয়েছে। আরেকটা খুশির উপলক্ষ্য কি এনে দিতে পারবেন মিরাজরা?
বোলিং চেয়েছিলেন শাই হোপও
টসে হেরে বোলিং পেয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক শাই হোপ। তিনি অবশ্য বলেছেন, টসে জিতলেও বোলিংই নিতেন।
তার মানে টসের পর আসলে দুই অধিনায়কই খুশি। সর্বশেষ দুটি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেই ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। এবার দলটা একেবারেই নতুন বলা যায়, নতুন অধিনায়ক। এবার কি ওয়েস্ট ইন্ডিজে টানা ওয়ানডে সিরিজ জয়ের হ্যাটট্রিক হবে?
আড়াই বছর পর ওয়ার্নার পার্কে ফিরছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
এ মাঠে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয়েছিল ২০২২ সালের আগস্টে। টি-টোয়েন্টিতে ভারত হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। সর্বশেষ ওয়ানডেটা কাকতালীয়ভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-বাংলাদেশের মধ্যেই, ২০১৮ সালে। তামিম ইকবালের সেঞ্চুরিতে অতিথিরা জিতেছিল সেই ম্যাচ। সেই বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে শুধু মাহমুদউল্লাহ ও মিরাজ আছেন এবারের দলেও।
বাংলাদেশের একাদশ
তানজিদ হাসান, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, আফিফ হোসেন, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), জাকের আলী (উইকেটরক্ষক), রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান, তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানা।
প্রথম ছক্কা তানজিদের
আলজারি জোসেফের করা প্রথম ওভারটা বেশ দেখেশুনে খেললেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও তানজিদ হাসান। তিনটি রান এলো, কোনো বিপদ হয়নি বাংলাদেশের। তবে জেইডেন সিলসের করা পরের ওভারের তৃতীয় বলেই বোলারের মাথার উপর দিয়ে দুর্দান্ত এক ছক্কা মারলেন তানজিদ।
বাংলাদেশ: ২ ওভার শেষে ১২/০
দুই ওপেনারের ভালো শুরু
আলজারি জোসেফকে প্রথম ওভারে দেখে শুনে খেললেও পরের ওভারে একটু আক্রমনাত্মক হলেন তানজিদ। দ্বিতীয় বলেই মিড অন দিয়ে চার। পরে একটা ওয়াইডে ৫ রান এলো ওই ওভার থেকে।
সিলসের করা চতুর্থ ওভারে সৌম্যর ব্যাট থেকে এলো আরেকটি চার।
বাংলাদেশ: ৪ ওভার শেষে ২৪/০
সৌম্যর বিদায়ে ভাঙল শুরুর জুটি
আলজারি জোসেফের করা পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় ও পঞ্চম বলে দুটি চার মারলেন সৌম্য। একটা ফাইন লেগ, অন্যটা কাভার দিয়ে। মনে হচ্ছিল আজকের দিনটা তাঁর হতে পারে। কিন্তু অফ স্টাম্পের বাইরের পঞ্চম বলেই উইকেটের পেছনে শাই হোপকে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন বাংলাদেশের বাঁহাতি ওপেনার। ১৮ বলে ১৯ রান করেছেন তিনটি চারে।
উইকেটে এসেছেন লিটন দাস।
বাংলাদেশ: ৫ ওভারে ৩৪/১
বেঁচে গেলেন লিটন
আলজারি জোসেফের করা সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ঠিকঠাক লাগাতে পারলেন না লিটন দাস। শাই হোপের হাতে গেল বল। কট বিহাইন্ডের আবেদনও করলেন ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান উইকেটকিপার। তবে জোসেফকে খুব একটা আত্মবিশ্বাসী মনে হলো না। আম্পায়ার নট আউট দেওয়ার পর তাই রিভিউ নিল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিলে আউট হয়ে যেতেন লিটন। স্নিকোমিটারে দেখা গেল, বল সত্যিই তাঁর ব্যাট ছুঁয়ে গিয়েছিল।
এবার গেলেন লিটন
দিনটা লিটন দাসের নয়। জোসেফের ওভারে ব্যাটের কানায় বল লাগিয়েও বেঁচে গিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ রিভিউ না নেওয়ায়। কিন্তু রোমারিও শেফার্ডের ওভারে আর বাঁচতে পারলেন না। উইকেটের পেছনে শাই হোপের ক্যাচ হয়ে ফিরলেন। ৭ বলে রান করেছেন মাত্র ২।
রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন মিরাজ
উইকেটে এসেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। মুখোমুখি হওয়া দ্বিতীয় বলেই তাঁর বিপক্ষে এলবিডব্লুর আবেদনে সাড়া দিলেন আম্পায়ার। সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ নিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। বেঁচে গেলেন রিভিউতে।
বাংলাদেশ: ৮ ওভারে ৪৬/২
এবার মিরাজের ক্যাচ ফেললেন কিসি কার্টি
আজ মিরাজের ভাগ্য ভালো মনে হচ্ছে। এলবিডব্লু হয়ে রিভিউ নিয়ে বেঁচেছিলেন। এবার শেফার্ডের বলে ডিপ থার্ড ম্যানে তাঁর ক্যাচ ফেললেন কিসি কার্টি। ১ রানে ব্যাট করছিলেন তখন মিরাজ। দেখা যাক সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেন কি না বাংলাদেশ অধিনায়ক।
বাংলাদেশ: ১০ ওভারে ৫৮/২
তানজিদ-মিরাজের জুটিতে এগোচ্ছে বাংলাদেশ
৪৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ওপেনার তানজিদের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করছেন অধিনায়ক মিরাজ। বাংলাদেশ অধিনায়ক নিজে অবশ্য একবার এলবিডব্লু থেকে বেঁচেছেন রিভিউ নিয়ে, আরেকবার পড়েছে তাঁর ক্যাচ। তবে শুরুর সেই নড়বড়ে অবস্থা কাটিয়ে কিছুটা থিতু হয়েছেন মিরাজ। ওপাশে তানজিদ আছেন আস্থা হয়ে। ৩৭ বলে ৪২ রানে ব্যাট করছেন তানজিদ। মিরাজ করেছেন ২৮ বলে ১৪ রান।
বাংলাদেশ: ১৫ ওভারে ৮৪/২
তিন ছক্কায় তানজিদের তৃতীয় ওয়ানডে ফিফটি
দ্বিতীয় ওভারেই জেইডেন সিলসে মেরেছিলেন প্রথম ছক্কা। তানজিদ হাসান তাঁর দ্বিতীয় ছক্কা মারেন ১৩তম ওভারে, জাস্টিন গ্রিভস। সিলসকেই নিজের তৃতীয় ছক্কাটা মারলেন তানজিদ ১৭তম ওভারে এসে।
ক্যারিয়ারের তৃতীয় ওয়ানডে ফিফটিটা তানজিদ পেলেন ১৮তম ওভারে রোস্টন চেজের পঞ্চম বলে ১ রান নিয়ে। ৪৫ বলে এসেছে তাঁর ফিফটি। তানজিদ-মিরাজের জুটিও ৫০ পেরিয়েছে এরই মধ্যে। ম্যাচের নিয়ন্ত্রন আপাতত বাংলাদেশের হাতে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে বড় ইনিংস খেলার প্রতিশ্রুতি তানজিদ দিয়ে গিয়েছিলেন দেশ ছাড়ার আগেই।
কার্টির হাতে তৃতীয় জীবন পেলেন মিরাজ
আজ যদি মিরাজ বড় ইনিংস খেলতে না পারেন, সেটা খুব দুঃখজনক হবে। এরই মধ্যে তিনবার জীবন পেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ০ রানে এলবিডব্লু হয়ে রিভিউ নিয়ে বেঁচেছিলেন। এরপর ১ রানে থাকা অবস্থায় শেফার্ডের বলে ডিপ থার্ড ম্যানে তাঁর ক্যাচ ফেললেন কিসি কার্টি। সেই কার্টিই আবার মিরাজের ক্যাচ ফেললেন ২০তম ওভারে, রোস্টন চেজের বলে।
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১১৪/২
থামলেন তানজিদ
এবার আর হলো না। আলজারি জোসেফের বলে শর্ট থার্ডম্যানে রোস্টন চেজের হাতে ক্যাচ। ৬০ বলে ৬০ রান করে ফিরলেন তানজিদ। ৬টি চার মেরেছেন, সঙ্গে ৩টি দুর্দান্ত ছক্কা। ভাঙল তানজিদ-মিরাজের ৯৭ বলে ৭৯ রানের জুটি। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান খেলোয়াড়দের মুখে স্বস্তির হাসি।
উইকেটে এসেছেন আফিফ হোসেন।
বাংলাদেশ: ২৪ ওভারে ১২৫/৩
মিরাজের পঞ্চম ওয়ানডে ফিফটি
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি পেলেন মিরাজ। ইনিংসটা অবশ্য নিখুঁত নয়, জীবন পেয়েছেন তিনবার। খুব স্বাভাবিকভাবেই তাঁর কাছে বড় ইনিংসের প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে বাংলাদেশ দলের। ৭১ বলে ফিফটি ছুঁলেন মিরাজ।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডেও ফিফটি পেয়েছিলেন মিরাজ। সেই ম্যাচেও অধিনায়ক ছিলেন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে তাই ওয়ানডেতে টানা দুই ফিফটিতে অভিষেক হলো মিরাজের।
বাংলাদেশ: ২৮ ওভারে ১৫০/৩
আফিফকে নিয়েও ৫০ ছাড়ানো জুটি মিরাজের
ওপেনার তানজিদ হাসানের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৭৯ রানের জুটি গড়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তানজিদ ফেরার পর আফিফ হোসনকে নিয়েও ৫০ ছাড়ান জুটি গড়লেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৩৩.৩ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ১৭৯/৩।
ফিরলেন আফিফ
প্রায় এক বছর পর ওয়ানডে দলে ফেরা আফিফ হোসেন ফিরলেন ২৮ রান করে দলকে ১৭৯ রানে রেখে। রোমারিও শেফার্ডের বলে ডিপ স্কোয়ার লেগে জেইডেন সিলসের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন আফিফ। তাতে ভাঙল মিরাজ–আফিফের ৫৪ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি। বাংলাদেশের স্কোর ১৭৯/৪ (৩৩.৫)।
অবশেষে মিরাজ আউট
অবশেষে মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যাচ নিতে পারল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুবার মিরাজের ক্যাচ ছাড়া ক্যারিবীয় ফিল্ডাররা তৃতীয়বার আর হাতছাড়া করলেন না সুযোগ। ১০১ বলে ৭৪ রান করে বাংলাদেশ অধিনায়ক ক্যাচ দিয়েছেন শর্ট একস্ট্রা কাভারে। জেইডেন সিলসের বলে ক্যাচটি নিয়েছেন শেরফান রাদারফোর্ড। মিরাজ ফিরলেন পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে দলকে ১৯৮ রানে। মিরাজ ফেরার পর নেমেছেন জাকের আলী। বাংলাদেশের স্কোর ৪০ ওভারে ২১০/৫।
ওয়ানডেতে জাকেরের সর্বোচ্চ
ক্যারিয়ারের তৃতীয় ওয়ানডেতে ৩৫ বলে ৪৫ রান করে অপরাজিত আছেন জাকের আলী। ওয়ানডেতে এটাই তাঁর সর্বোচ্চ ইনিংস। এ পর্যন্ত ৩টি ছক্কা মেরেছেন জাকের। ৪৮ ওভারে বাংলাদেশের রান ২৭৫/৫।
২৯৪ রানে থামল বাংলাদেশ
১৯৮ রানে পড়েছিল পঞ্চম উইকেট। এরপর জাকের আলীকে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ৯৬ রান যোগ করেন মাহমুদউল্লাহ। মাহমুদউল্লাহ ৪৩ বলে ফিফটি পেলেও ২ রানের জন্য তা পাননি জাকের আলী। ৩টি করে চার–ছক্কায় ৪০ বলে ৪৮ রান করা জাকের শেষ ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হয়েছেন। পরের বলে কোনো রান নিতে পারেননি রিশাদ হোসেন। তাতে বাংলাদেশ থামে ৬ উইকেটে ২৯৪ রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে ওয়ানডেতে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ ৩০১ রান সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কেই ২০১৮ সালে। মাহমুদউল্লাহ ৪৪ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত থাকার পথে মেরেছেন ৩টি করে চার–ছক্কা।
ভালো শুরু তাসকিনের, তানজিমের মেডেন
দ্বিতীয় বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে দারুণ টাইমিংয়ে একটি চার পেয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনার ব্রান্ডন কিং। বাকি পাঁচটি ডেলিভারিতে রান পাননি। বাউন্স পেয়েছেন তাসকিন।
ওপেনিংয়ে অন্য প্রান্তে এভিন লুইস। দ্বিতীয় ওভারে তাঁর কাছ থেকে মেডেন আদায় করে নিয়েছেন পেসার তানজিম সাকিব। ভালো শুরু বাংলাদেশের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২ ওভারে বিনা উইকেটে ৪ রান। জয়ের জন্য ২৯৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
কিংয়ের দুটো চার, লুইস বোতলবন্দী
তাসকিন তৃতীয় ওভারে নিয়েছেন মেডেন। পরের ওভারে তানজিমের দ্বিতীয় বলটা ছিল অফ স্টাম্পের বেশ বাইরে। কাট করে চার মেরেছেন কিং। অন্য প্রান্তে লুইস প্রায় বোতলবন্দী। তানজিমের করা চতুর্থ ওভারের শেষ বলে রান পেয়েছেন এই বাঁহাতি। নিজের খেলা ১২তম ডেলিভারিতে এসে রান পেলেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪ ওভারে বিনা উইকে্টে ১১।
আক্রমণে নাহিদ রানা
৬ ওভার শেষে বোলার পাল্টালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। আক্রমণে পেসার নাহিদ রানা।
৬ ওভারে ২১ রান দিয়ে বাংলাদেশের ভালো শুরু এনে দিয়েছেন তাসকিন ও তানজিম। সপ্তম ওভারে নাহিদের প্রথম বলটি ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে চার মেরেছেন লুইস। পরের পাঁচটি ডেলিভারিতে নাহিদ রান দেননি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৭ ওভারে বিনা উইকেটে ২৫ রান। লুইস ২৮ বলে ১৫ ও কিং ১৪ বলে ৮ রানে ব্যাট করছেন।
জিততে হলে এই মাঠে রেকর্ড গড়তে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে
সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ২৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে জয়ের নজির আছে। ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি ৪ উইকেটে জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আজ ২৯৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমেছে। অর্থাৎ জিততে হলে এই মাঠে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়তে হবে স্বাগতিকদের।
তানজিমে বিদায় কিংয়ের
তানজিমের করা অষ্টম ওভারের পঞ্চম বলটি স্কিড করে ঢুকেছিল। কিং পুল করা যাবে ভেবে পুল করতে গিয়ে ভুল করেছেন। ওটা পুল করার ডেলিভারি ছিল না। বল লেগেছে পেছনের পায়ে। আবেদনে সাড়াও দেন আম্পায়ার। কিং রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি। ১৭ বলে ৯ রানে ফিরলেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৮ ওভারে ১ উইকেটে ২৭ রান।
এবার রানার শিকার লুইস, গতিতে পরাস্ত!
নাহিদ রানার প্রথম ওভারের সময়ই ধারাভাষ্যকার ইয়ান বিশপ বলছিলেন, এভিন লুইস গতিতে অস্বস্তিতে ভোগেন। রানার পরের ওভারেই সত্য প্রমাণিত হলেন বিশপ! নবম ওভারে তাঁর প্রথম বলেই গতিতে (ঘন্টায় ১৪৯.৮ কিমি) পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লু লুইস। তিন বলের মধ্যে দ্বিতীয় উইকেট পেল বাংলাদেশ!
৩১ বলে ১৬ রানে ফিরলেন লুইস। তাসকিন ও তানজিম সাকিবের ভালো শুরুর ফলটা পাচ্ছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানেরা চাপের মুখে খেলতে গিয়ে তানজিমের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং ও রানার গতির কাছে পরাস্ত হচ্ছেন।
ক্রিজে কিসি কার্টির সঙ্গী ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক শাই হোপ। রানাকে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে চার মেরেছেন হোপ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৯ ওভারে ২ উইকেটে ৩৩ রান।
১০ ওভার শেষে মানসিকভাবে এগিয়ে বাংলাদেশ
১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ৫৮। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১০ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৪২। পার্থক্যটা হলো, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৯৪ রান তাড়া করতে হচ্ছে।
তাসকিন ১০ম ওভারে ফিরে ৯ রান দিয়েছেন। প্রথম পাওয়ার প্লে শেষে তবু তেমন ভালো করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। রান রেট ৪.২০। ওভারপ্রতি এখন ছয়ের বেশি করে প্রয়োজন স্বাগতিকদের। তবে এই লক্ষ্যকে সহজ বানানোর মতো ব্যাটিং শক্তি আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। চ্যালেঞ্জটা নিতে হবে বাংলাদেশের বোলারদের।
নাহিদ রানা ১১তম ওভারে মাত্র ৩ রান দিয়েছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১১ ওভারে ২ উইকেটে ৪৫।
রিশাদের ভালো শুরু
রিশাদ যে প্রান্ত থেকে বোলিং শুরু করলেন, সেদিক থেকে খাটো লেংথে বোলিংয়ের সুযোগ নেই। বাতাস বইছে লেগ সাইডে। কিন্তু রিশাদ তাঁর প্রথম ওভারটি ভালো জায়গায় বোলিং করেছেন। মাত্র ৩ রান দিয়েছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৩ ওভারে ২ উইকেটে ৫০। হোপ ১৯ বলে ১৭ এবং কার্টি ১১ বলে ৩ রানে অপরাজিত।
প্রথম ১৫ ওভারে ভালো শুরু বাংলাদেশের
১৫তম ওভারের পঞ্চম বলে ব্যাক্ওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে একটি চার হজম করেছেন রিশাদ। সেটি জাকের আলী রং ফুটেড হয়ে যাওয়ায়। মোট ৮ রান দিয়েছেন এই ওভারে।
১৬তম ওভারে মিরাজ আক্রমণে এসে প্রথম বলটি ‘নো’ করেন। পরের ফ্রি হিটে চার মারেন কার্টি। বাকি ডেলিভারিগুলো ভালো করেছেন। পানি পানের বিরতি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৬ ওভারে ২ উইকেটে ৭০।
প্রথম ছক্কা!
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে প্রথম ছক্কা! ১৯তম ওভারে রিশাদের দ্বিতীয় বলটি খাটো লেংথে পড়েছিল। টেনে মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মেরেছেন শাই হোপ। ৩৯ বলে ৩৫ রানে ব্যাট করছেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক। কার্টি ২৮ বলে ১৯ রানে অন্য প্রান্তে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৯ ওভারে ২ উইকেটে ৮৫।
কার্টিকে ফেরালেন রিশাদ
সফট ডিসমিসাল!
যেন ব্যাটিং করতে করতে ২২তম ওভারে রিশাদের চতুর্থ বলে শর্ট মিড উইকেটে মিরাজের হাতে ক্যাচ তুলে দিলেন কিসি কার্টি। ৩৭ বলে ২১ রানে ফিরলেন। তৃতীয় উইকেটে ৮২ বলে হোপ ও কার্টির ৬৭ রানের জুটি ভাঙল।
ক্রিজে হোপের নতুন সঙ্গী শেরফান রাদারফোর্ড।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২২ ওভারে ৩ উইকেটে ৯৪।
২৬ ওভার শেষে ৯৭টি ডট!
রিশাদ ২৬তম ওভারের চতুর্থ বলটি করার সময় ধারাভাষ্যকার জানালেন, এ পর্যন্ত ৯৭টি ডেলিভারি ডট দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাঁর পরের দুটি ডেলিভারিতে মোট ৩ রান নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
২৭তম ওভারে তানজিমের দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে ফিফটি তুলে নিলেন হোপ। ওয়ানডেতে তাঁর ২৬তম ফিফটি। আজ ফিফটি করার পথে ২২টি বল ডট দিয়েছেন হোপ। স্টাম্প মাইকে শোনা গেল, লিটন দাস তানজিমকে বলছেন বল এখন থেমে থেমে ব্যাটে আসছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২৭ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ১১৫। রাদোরফোর্ড ১২ রানে অপরাজিত, হোপ ৫১ রানে। ১৩৮ বলে ১৮০ রান দরকার ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
হোপের হাতে আশার পাল ওয়েস্ট ইন্ডিজের
৩০তম ওভারের চতুর্থ বলে মিরাজকে ছাদে পাঠালেন হোপ!
না, মিরাজের ডেলিভারিতে এক পা সামনে নিয়ে ৯২ মিটারের ছক্কা!
হোপ আশা দেখাচ্ছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের। এই উইকেটটি দরকার বাংলাদেশের। ৭০ বলে ৬১ রানে ব্যাট করছেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক। রাদারফোর্ড ২৬ বলে ১৭ রানে অন্য প্রান্তে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৩০ রান। ১২০ বলে ১৬৫ রান দরকার ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
টার্গেট মিরাজ! আলগা হচ্ছে চাপ, চাই বাউন্সার
৩২তম ওভারে মিরাজের প্রথম বলে স্ট্রেট দিয়ে চার এবং শেষ বলে একই জায়গা দিয়ে ছক্কা মারলেন রাদারফোর্ড। ১২ রান দিয়েছেন মিরাজ এই ওভারে।
এই ওভারের চতুর্থ বলে শর্ট মিড উইকেটে হাফ চান্স দিয়েছিলেন হোপ। বলটা হাতে রাখতে পারেননি ফিল্ডার।
মিরাজের আগের ওভারে ছক্কা মেরেছেন হোপ। বোঝাই যাচ্ছে, বাংলাদেশে অধিনায়কের কাছ থেকে রান বের করার চেষ্টা করছেন হোপ ও রাদারফোর্ড। এরই মধ্যে চতুর্থ উইকেটে হোপ-রাদারফোর্ডের জুটি ৬৭ বলে অবিচ্ছিন্ন ৫৯।
৩৩তম ওভারে তাসকিন ফিরেও রাদারফোর্ডের কাছে দ্বিতীয় বলে চার হজম করেছেন। পরের বলেই বাউন্সার মেরেছেন মুখ বরাবর। গুড কামব্যাক! এই ভয়টাই পাওয়াতে হবে।
মাঠে ফিজিও ঢুকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন রাদারফোর্ডকে। একটু ক্ষতও হয়েছে থুতনিতে। ইনজুরি টেপ মেরেছেন। রাদারফোর্ড ব্যাটিংয়ে ফেরার পর তাসকিনের আবারও তাঁর মুখ বরাবর বাউন্সার। ১টি রান পেলেও বোঝা গেল, বাউন্সারে অস্বস্তি আছে রাদারফোর্ডের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৩ ওভারে ৩ উইকেটে ১৫৪ রান। ১০২ বলে ১৪১ রান দরকার ওয়েস্ট ইন্ডিজের। হোপ ৬৬ ও রাদারফোর্ড ৩৬ রানে ব্যাট করছেন।
এখন বাংলাদেশই চাপে!
৩৬তম ওভারে নাহিদ রানার পঞ্চম বলে কাট করে চার মেরে টানা পঞ্চম ওয়ানডে ফিফটি তুলে নিলেন রাদারফোর্ড। ৪৭ বলে ফিফটি। এর আগে দ্বিতীয় বলে পুল করে ছক্কাও মেরেছেন। নাহিদ এই ওভারে ১১ রান দিলেন।
৩৭তম ওভারে রিশাদের প্রথম বলে স্ট্রেট দিয়ে ছক্কাও মারলেন হোপ। পঞ্চম বলে সুইপ করে তাঁকে চার মারলেন রাদারফোর্ড। বাজে ডেলিভারি। ১৩ রান দিলেন রিশাদ এই ওভারে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৭ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯৩। ৯২ বলে ৯৯ রানের জুটি গড়েছেন হোপ ও রাদারফোর্ড। ৭৮ বলে চাই ১০২ রান। বাংলাদেশ এখন পাল্টা চাপে!
জুটি ভাঙলেন মিরাজ, হোপ আউট!
অবশেষে আউট!
৩৮তম ওভারের প্রথম বলে মিরাজকে পুল করতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন হোপ। ৪ ছক্কা ও ৩ চারে ৮৮ বলে ৮৬ রানে ফিরলেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক। ৯৩ বলে হোপ ও রাদারফোর্ডের ৯৯ রানের জুটিও ভাঙল।
ক্রিজে রাদারফোর্ডের নতুন সঙ্গী জাস্টিন গ্রিভস।
রাদারফোর্ড ঝড়!
৬০ বলে ৮৩ রান দরকার ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। তানজিমের ৪১তম ওভার থেকে ১৩ রান নিয়েছেন গ্রিভস ও রাদারফোর্ড। ৪২তম ওভারে মিরাজকে এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে ৯৯ মিটারের বিশাল ছক্কা মারেন রাদারফোর্ড। এরপর ৪৩তম ওভারে তাসকিনের দুই বলে টানা দুই ছক্কায় ম্যাচটাকে সহজ করে ফেললেন এই বাঁহাতি।
রাদারফোর্ড ৬৭ বলে ৮৯ ও গ্রিভস ১৯ বলে ২২ রানে ব্যাট করছেন। ৩২ বলে ৫৪ রানের জুটি গড়েছেন দুজন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪৪ ওভারে ৪ উইকেটে ২৫০ রান। ৪৫ বলে দরকার ৪২ রান।
রাদারফোর্ডের সেঞ্চুরি, টানা দুই ছক্কা এবং আউট
৪৭তম ওভারে সৌম্য সরকারের করা প্রথম বলে ২ রান নিয়েছিলেন রাদারফোর্ড। কিন্তু ওভার থ্রোয়ে বল বাউন্ডারি পেরিয়ে যাওয়ায় মোট ৬ রান পেয়ে গেলেন রাদারফোর্ড। এতে তাঁর প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরিও হয়ে গেল। ৭৭ বলে দারুণ এক সেঞ্চুরি!
পরের দুটি বলে বিশাল দুই ছক্কায় ম্যাচটাকে একদমই সহজ বানিয়ে ছাড়লেন রাদারফোর্ড। কিন্তু চতুর্থ বলে শর্ট থার্ডম্যানে ক্যাচ দিয়ে আউট হলেন। ৮ ছক্কা ও ৭ চারে ৮০ বলে ১১৩ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেললেন রাদারফোর্ড।
২০ বলে ৭ রান দরকার ওয়েস্ট ইন্ডিজের।
১৪ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
রাদারফোর্ড আউট হওয়ার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিততে সময় নিয়েছে মাত্র ৬টি ডেলিভারি। ৪৭.৫ ওভারে বাংলাদেশের ২৯৪ রান টপকে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওয়ানডেতে এ মাঠে এটি সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। বাংলাদেশের কাছে টানা ১১ ওয়ানডে হারের পর জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
২৯৫ রানের স্কোর বেশ ভালো। বোলিংয়ে বাংলাদেশ ভালো শুরুও পেয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশ ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়েছে শেরফান রাদারফোর্ডের ঝোড়ো ইনিংসে। ৮০ বলে তাঁর ১১৩ রানের ইনিংসে দুটি জুটির সামনে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেটে শাই হোপের সঙ্গে ৯৩ বলে ৯৯ এবং পঞ্চম উইকেটে গ্রিভসের সঙ্গে ৫৭ বলে ৯৫। মূলত এ দুটি জুটির কারণেই ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছে বাংলাদেশ। গ্রিভসের ৩১ বলে ৪১ রানের ইনিংসটিও মহামূল্যবান।
রাদারফোর্ডের ম্যাচ জেতানোর ভিতটা গড়েছেন হোপ। ৮৮ বলে ৮৬ রানের ইনিংস খেলেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক। হোপ ও কার্টির ৮২ বলে ৬৭ রানের জুটি রান তাড়ার শুরুটা এনে দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
বাংলাদেশের হয়ে ১টি করে উইকেট তানজিম, নাহিদ, রিশাদ, মিরাজ ও সৌম্যর।
এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মঙ্গলবার এই ওয়ার্নার পার্কেই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৯৪/৬ (মিরাজ ৭৪, তানজিদ ৬০, মাহমুদউল্লাহ ৫০*, জাকের ৪৮, আফিফ ২৮; শেফার্ড ৩/৫১, আলজারি ২/৬৭, সিলস ১/৬৩)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪৭.৪ ওভারে ২৯৫/৫ (রাদারফোর্ড ১১৩, হোপ ৮৬, গ্রিভস ৪১*, কার্টি ২১, লুইস ১৬; তানজিম ১/৫৫, নাহিদ ১/৫০, রিশাদ ১/৪৯, মিরাজ ১/৬২, সৌম্য ১/২৪)।
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: শেরফান রাদারফোর্ড (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।