ভারতকে হারিয়ে সিরিজে সমতা দক্ষিণ আফ্রিকার
১৮ বলে ভারতের দরকার ছিল ৭২ রান—প্রায় অসম্ভবই বটে। কিন্তু তিলক বর্মা আর জিতেশ শর্মা ৪ বলে ১৫ তুলে নিলে ধারাভাষ্যকারই বলে উঠলেন, ম্যাচ তাহলে এখনও শেষ হয়ে যায়নি।
টি–টোয়েন্টিতে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের ঝোড়ো–ব্যাটিংয়ের সামর্থ্য আর দক্ষিণ আফ্রিকানদের ম্যাচের শেষদিকে গড়বড় করে ফেলার প্রবণতার কারণেই হয়তো অমন আশাবাদ। তখনও যে ভারতের হাতে ৫ উইকেট।
কিন্তু এরপর যা হলো, দুই দলই হয়তো ভাবতে পারেনি। পরের ৫ রানের মধ্যেই শেষ পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৫ বল বাকি থাকতেই ভারত অলআউট। ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৫১ রানে জয়ী।
নিউ চন্ডিগড়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয়টির এই জয়ে সিরিজে সমতা এনেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা ২০ ওভারে করে ৪ উইকেটে ২১৩। তাড়া করতে নেমে ভারত ১৯.১ ওভারে অলআউট ১৬২ রানে।
ভারতের হয়ে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়েছেন তিলক। পাঁচ নম্বরে নামা এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানই দলকে যা একটু আশা জাগিয়েছিলেন। ৫ ছক্কা ২ চারে ৩৪ বলে ৬২ রান করেছেন তিলক। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭ বলে ২৭ রান করেছেন জিতেশ শর্মা।
১৮তম ওভারের পঞ্চম বলে লুথো শিপামলার বলে জিতেশের আউটেই ভারতের ব্যাটিং লাইন–আপে শেষের ভাঙন ধরে। পরের ওভারে ওটনেইল বার্টমান ৬ বলে তুলে নেন শিবম দুবে, অর্শদীপ সিং ও বরুণ চক্রবর্তীর উইকেট। শেষ ওভারের প্রথম বলে লুঙ্গি এনগিডির বলে তিলকের ক্যাচে সমাপ্তি হয় ইনিংসের।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ দুই শ পার করাতে ভূমিকা রাখেন কুইন্টন ডি কক। ১৬তম ওভারের প্রথম বলে ফেরার আগে এই ওপেনার ৪৬ বলে করে যান ৯০ রান। তাঁর ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৭টি ছয়।
শেষ দিকে ডোনোভান ফেরেইরা ১৬ বলে ৩০ আর ডেভিড মিলার ১২ বলে ২০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললে দুই শ পেরোয় সফরকারীরা।
সিরিজের তৃতীয় টি–টোয়েন্টি ১৪ ডিসেম্বর ধর্মশালায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ২১৩/৪ (ডি কক ৯০, ফেরেইরা ৩০*; বরুণ ২/২৯)।
ভারত: ১৯.১ ওভারে ১৬২ (তিলক ৬২, জিতেশ ২৭; বার্টমান ৪/২৪)।
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ৫১ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: কুইন্টন ডি কক।