‘আইপিএলের নতুন নিয়ম ধন্দে ফেলবে ব্যাটসম্যানদের’

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট এমনিতে ব্যাটসম্যান-সহায়ক বলেই পরিচিত। প্রায় সব জায়গায় ওভারে একটি বাউন্সার বা শর্ট পিচড ডেলিভারির সুযোগ থাকলেও এবারের আইপিএল থেকে চালু করা হয়েছে নতুন নিয়ম। ওভারে দুটি বাউন্সার করতে পারছেন বোলাররা। নতুন এ নিয়মকে স্বাভাবিকভাবেই স্বাগত জানাচ্ছেন বোলাররা, এর পক্ষে কথা বলেছেন ব্যাটসম্যানরাও।

রাজস্থান রয়্যালস পেসার সন্দীপ শর্মা বলেছেন, এর মাধ্যমে ক্রিকেট আরও বেশি অননুমেয় হয়ে উঠবে। অন্যদিকে লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টসের ব্যাটসম্যান নিকোলাস পুরান বলছেন, এটি ভালো নিয়ম। আইপিএলে চালু করার আগে ভারতের ঘরোয়া অন্য টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে দুই বাউন্সারের নিয়ম সফলভাবে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে।

লক্ষ্ণৌকে ২০ রানে হারানো ম্যাচের পর সন্দীপ এ নিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার মনে হয় বোলাররা এতে সহায়তা পাবে। আগে এমন হতো, বোলার একটা বাউন্সার করে ফেললে পরের বলগুলো কোথায় ফেলবে, তা অনুমান করে ফেলতে পারত ব্যাটসম্যানরা। এটা তাদের জন্য তুলনামূলক সহজ ছিল।’

সন্দীপের মতে, ‘কিন্তু দুটি বাউন্সার আসার পর ব্যাটসম্যানরাও ধন্দে পড়ে যাবে। কারণ বোলারের কাছে ১টি বাউন্সার অব্যবহৃত আছে।’

এ নিয়মের পক্ষে কথা বলেছেন রাজস্থানের বিপক্ষে অপরাজিত ৬৪ রানের ইনিংস খেলা পুরানও। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক এ অধিনায়ক বলেন, ‘ভালো নিয়ম। বিশেষ করে নতুন ব্যাটসম্যানের জন্য এটি কার্যকর। কেউ যদি শর্ট বল পছন্দ না করে থাকে, তাহলে তাকে দুটি বাউন্সার দিয়ে নড়বড়ে করে দিতে পারেন।’

তবে এ কৌশল সফলভাবে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার কথাও বলেছেন পুরান, ‘আমাদের এবং বোলারদের কিন্তু হোমওয়ার্ক করে আসতে হবে। কারণ, কিছু ব্যাটসম্যান আছে, যারা আবার শর্ট বল পছন্দ করে।’

এ ম্যাচেই নিউজিল্যান্ড পেসার ট্রেন্ট বোল্টের বাউন্সারে বল হেলমেটে লেগেছিল লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের। তিনি অবশ্য এ নিয়ম বা দলের হার নিয়ে খুব বেশি কথা বলতে চাননি, ‘এটা মাত্রই প্রথম ম্যাচ। এ ব্যাপারটিকে বড় বানিয়ে অতি বিশ্লেষণ করতে চাই না।’

আইপিএলে এখন পর্যন্ত প্রতিটি দল খেলেছে একটি করে ম্যাচ। রাজস্থান, চেন্নাই, পাঞ্জাব, গুজরাট ও কলকাতা জয় পেলেও নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরেছে হায়দরাবাদ, মুম্বাই, দিল্লি, বেঙ্গালুরু ও লক্ষ্ণৌ। আজ রাতে বেঙ্গালুরুতে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবে পাঞ্জাব।