প্রথম ওভারেই সল্টের স্টাম্পের পাশ ঘেঁষে গেছে নাসুমের বল। পরে নাসুমের বলে বাটলারের সহজ ক্যাচ ফেলেছেন সাকিব আল হাসান। এরপর ইনিংসের ১০ ওভারে এসে নাসুম অবশেষে উইকেটের দেখা পান। তাঁর বোলিংয়ে সল্ট কট বিহাইন্ড হন ৩৫ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে। তখন ইংল্যান্ডের রান ১ উইকেটে ৮০, ২৫ বলে ৩৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন বাটলার।
শেষ ১০ ওভারে তিনি ঝড় তুলবেন। দলের অন্য ব্যাটসম্যানরাও হাত খুলে খেলবেন। রানটা শেষ ১০ ওভারে যাবে দুই শর ওপারে। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের নিয়ে এমনটাই তো ভাববে বেশির ভাগ মানুষ। কিন্তু সেটি হতে দেয়নি বাংলাদেশ দলের ডেথ বোলিং। শেষ ১০ ওভারে ইংল্যান্ড নিয়মিত উইকেট হারিয়েছে, রান করেছে মাত্র ৭৬। বাটলারদের স্কোর গিয়ে দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৫৬ রানে।
ইনিংসের শেষ ১০ ওভারের ৪টিই করেছেন হাসান। তাঁর ৪ ওভার থেকে মাত্র ২৬ রান নিতে পেরেছে ইংলিশরা, নিজের শেষ দুই ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে হাসান আউট করেছেন বাটলার ও স্যাম কারেনকে। দলের অন্য দুই পেসার তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমানও শেষের ওভারে তাঁদের সেরাটা দিয়েছেন। বাংলাদেশও পেয়েছে তাড়া করে জেতার মতো স্কোর।
হাসান অবশ্য অক্টোবর-নভেম্বরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকেই ডেথ ওভারে ধারাবাহিক। সাকিব তাঁকে নিয়মিত ডেথ ওভারে বল করিয়েছেন।
বিপিএলে রংপুর রাইডার্সও ঠিক একই দায়িত্বে তাঁকে খেলিয়েছে। সেখানেও তিনি ছিলেন সফল। তানভীর ইসলামের সঙ্গে যৌথভাবে বিপিএলের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বোলার হয়েছেন হাসান। ১৭ উইকেট নিয়েছেন ৭.৯ ইকোনমি রেটে।