আফ্রিদিকে সামলানোর কৌশল বললেন টেন্ডুলকার

শাহিন শাহ আফ্রিদিছবি: টুইটার

ভারতের টপ অর্ডারের সামনে আবারও সেই একই প্রশ্ন! যে প্রশ্নের নাম শাহিন শাহ আফ্রিদি। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সে প্রশ্নের উত্তর কি দিতে পারবেন ভারতের ব্যাটসম্যানরা? গত বিশ্বকাপে ভারতের টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল ও বিরাট কোহলিকে ফিরিয়েছিলেন আফ্রিদি। ভারতের ব্যাটিং ইনিংসের শুরুতে রোহিত ও রাহুলকে ফিরিয়ে সে ম্যাচে শুরুতেই ভারতকে ব্যাকফুটে ফেলে দিয়েছিলেন এই বাঁহাতি পেসার।

শচীন টেন্ডুলকার
ফাইল ছবি: এএফপি
আরও পড়ুন

আফ্রিদিকে কীভাবে থামানো যাবে, এবারের বিশ্বকাপে মাঠে নামার আগেও তাই একই আলোচনা। বিশ্বকাপে রোহিত, রাহুলরা কীভাবে আফ্রিদিকে সামলাবেন, সেই উপায় বাতলে দিলেন শচীন টেন্ডুলকার। সাদা বলের ক্রিকেটে বাঁহাতি পেসারদের বিপক্ষে শচীনের গড় ৪৭.২১। স্ট্রাইক রেটও ৮০–এর বেশি। তাই তাঁর চেয়ে কেই–বা এই পরামর্শ ভালো দিতে পারতেন!

আফ্রিদির বলে ব্যাটসম্যানদের সোজা ব্যাটে খেলার পরামর্শ দিয়ে শচীন বলেছেন, ‘আফ্রিদি আক্রমণাত্মক বোলার, শুরুর দিকেই উইকেট নিতে চায়। সে সুইং আদায়ের জন্য ব্যাটসম্যানদের সামনেই বল ফেলে। পেস ও সুইংয়ে ব্যাটসম্যানদের পরাস্ত করার সামর্থ্য ওর আছে। তাই আফ্রিদির বিপক্ষে যত সম্ভব সোজা ব্যাটে অর্থাৎ “ভি”তে খেলা দরকার।’

বাঁহাতি পেসারদের বিপক্ষে ভারতের ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতা নতুন কিছু নয়। ওয়াসিম আকরামকে পাশে সরিয়ে রাখলেও, মোহাম্মদ ইরফান, জুনাইদ খান, মোহাম্মদ আমিররাও কম ভোগাননি ভারতের ব্যাটসম্যানদের। পেসের সঙ্গে বল ভেতরে ঢোকানোর কারণেই মূলত ভারতের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের বাঁহাতি পেসারদের বিপক্ষে ভুগতে হয়।

আরও পড়ুন

বল ভেতরে ঢোকানোর সামর্থ্যের পাশাপাশি কার্যকরী বাউন্সারও আছে আফ্রিদির ঝুলিতে। সেটা মাথায় রেখেই ব্যাটসম্যানদের ট্রিগার মুভমেন্ট করতে বলছেন শচীন, ‘ট্রিগার মুভমেন্ট মানে শট খেলা নয়, মূলত এটা শটের প্রস্তুতি। ট্রিগার মুভমেন্টের পর পেছনের পা কিংবা সামনের পায়ে স্থির হওয়া যাবে না। কারণ, একবার স্থির হয়ে গেলে আফ্রিদির বলে আর জায়গা পরিবর্তনের সময় পাবে না।’

হাঁটুর চোটে এশিয়া কাপ ও দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাত ম্যাচের সিরিজ এবং নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজে খেলতে পারেননি আফ্রিদি। চোট-পরবর্তী পুনর্বাসনের জন্য থাকতে হয়েছে লন্ডনে। চোটমুক্ত হয়েই বিশ্বকাপ দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন। অনেক দিন পর মাঠের বাইরে থাকা যে আফ্রিদির বোলিংয়ে কোনো প্রভাব ফেলবে না, তা প্রস্তুতি ম্যাচে তাঁর দারুণ বোলিংয়েই স্পষ্ট।