ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে ভারতের ঐতিহাসিক শিরোপা

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথম অনূর্ধ্ব-১৯ নারী বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছে ভারতআইসিসি

পতাকা সামনে নিয়ে বাউন্ডারির ওপাশে ভারতীয় দল উদ্‌যাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন। অ্যালেক্সা স্টোনহাউসের বলে আড়াআড়ি শট খেলতে গিয়ে বোল্ড হলেন গঙ্গাড়ি তৃষা। ভারতের উদ্‌যাপন একটু বিলম্বিত হলো তাতে। হান্না বেকারের বলে সিঙ্গেল নিয়ে এরপর জয় নিশ্চিত করলেন সৌম্য তিওয়ারি, ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের মেয়েরা গড়লেন ইতিহাস। পচেফস্ট্রুমে ইংল্যান্ডকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে প্রথম অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত।

সেমিফাইনালে ৯৯ রানের সম্বল নিয়েও অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দিয়েছিল ইংল্যান্ড। তবে ফাইনালে তাদের ব্যাটাররা তুলতে পারলেন মাত্র ৬৮ রান। শাফালি বর্মার দলকে আটকানোর জন্য যথেষ্ট হয়নি সেটি। টুর্নামেন্টজুড়েই দুর্দান্ত ব্যাটিং পারফরম্যান্স দেখানো ইংল্যান্ড মুখ থুবড়ে পড়ল সেমিফাইনালের পর ফাইনালেও। অন্যদিকে সুপার সিক্সের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে একটু চাপে পড়লেও ভারতের প্রত্যাবর্তন হলো দুর্দান্ত।

নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় ইংল্যান্ড
আইসিসি

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ইংল্যান্ড খেই হারায় শুরুতেই। প্রথম ওভারেই তিতাস সাধুকে ফিরতি ক্যাচ দেন লিবার্টি হিপ। পাওয়ার প্লের মধ্যে এরপর আরও দুবার আঘাত করেন অর্চনা দেবী—স্কুপ করতে গিয়ে বোল্ড হন নিয়াম হলান্ড, গঙ্গাড়ি তৃষার দারুণ ক্যাচে পরিণত হন অধিনায়ক গ্রেস স্ক্রিভেন্স। সপ্তম ওভারে দ্বিতীয় আঘাত করেন সাধু, এবার স্টাম্প ভাঙে সেরেন স্মেলের। ইংল্যান্ড ৪ উইকেট হারায় ২২ রানের মধ্যেই।

পঞ্চম উইকেটে চ্যারিস পেভলি ও রিয়ানা ম্যাকডোনাল্ডের জুটিতে ওঠে ১৭ রান, ইংল্যান্ড ইনিংসে সেটিই হয়ে থেকেছে সর্বোচ্চ। পর্শভি চোপড়া ফেরান দুজনকেই। ২৯ রানের মধ্যেই ইংল্যান্ড হারায় শেষ ৬ উইকেট। ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৭ বল বাকি থাকতেই। ভারতের ৫ বোলারই পেয়েছেন উইকেটের দেখা। ২ উইকেট নিতে ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান খরচ করেন সাধু। দেবী ও চোপড়াও নেন দুটি করে উইকেট।

শিরোপা নিয়ে মেয়েদের উল্লাস
আইসিসি

রান তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারেই বিশাল এক ছক্কা মেরে অধিনায়ক শাফালি ইঙ্গিত দেন, অস্ট্রেলিয়াকে আটকাতে পারলেও ভারতকে আটকানো মোটেও সহজ হবে না ইংল্যান্ডের। অবশ্য তৃতীয় ওভারে স্টোনহাউসের দারুণ ক্যাচে ফেরেন শাফালি, হান্না বেকারের বলে। পরের ওভারে শ্বেতা সেহরাওয়াতকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডকে আরেকটু উজ্জীবিত করেন অধিনায়ক স্ক্রিভেন্স।

তবে তিওয়ারি ও তৃষার তৃতীয় উইকেট জুটিতে লড়াই থেকে ছিটকে যায় ইংল্যান্ড। তিওয়ারি ৪ রানেই স্লিপে স্ক্রিভেন্সের হাতে জীবন পান, এরপর আর ফিরে তাকাননি। দুজন মিলে যোগ করেন ৪৬ রান। তৃষা ২৪ রান করে ফিরলেও শেষ পর্যন্ত ২৪ রান করেই অপরাজিত থাকেন তিওয়ারি। ৩৬ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত হয় ভারতের।