রবি শাস্ত্রীর মন্তব্য কি তাতাবে আফ্রিদিকে

বিশ্বকাপে নিজের সেরাটা দিতে পারছেন না আফ্রিদিছবি: পিসিবি

এবারের বিশ্বকাপটা মোটেও ভালো যাচ্ছে না শাহিন শাহ আফ্রিদির। এমনকি গত মাসে শ্রীলঙ্কা আর পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপেও তিনি খুব একটা ভালো করতে পারেননি। চোটের কারণে দীর্ঘ বিরতিটা কি তাঁর বোলিংয়ে মরচে ধরিয়ে দিল! এমন প্রশ্ন উঠছে। বিশ্বকাপে নিজের সেরা ছন্দে না থাকা শাহিন শাহ আফ্রিদিকে নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছেন রবি শাস্ত্রী। ভারতের সাবেক কোচ, যিনি এই বিশ্বকাপে ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ করছেন, সেই শাস্ত্রীর মতে, শাহিন আফ্রিদিকে ওয়াসিম আকরামের সঙ্গে তুলনা করার কিছু নেই। তবে হ্যাঁ, আফ্রিদি অবশ্যই ভালো বোলার, দুর্দান্ত বোলার।

পাকিস্তানে বাঁহাতি ফাস্ট বোলারদের সঙ্গে ওয়াসিম আকরামের তুলনা হয়। হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিংবদন্তি আকরামই যে সর্বকালের সেরা বাঁহাতি ফাস্ট বোলার। আফ্রিদির আবির্ভাবের পর তাঁর পারফরম্যান্সে আকরামের সঙ্গে তুলনাটা সব সময়ই হয়েছে। শাস্ত্রী সেই তুলনায় জলই ঢেলে দিয়েছেন। ভারতের সাবেক কোচ বলেছেন, আফ্রিদির সঙ্গে আকরামের তুলনা করার কিছু নেই। আফ্রিদি ভালো বোলার, কিন্তু কোনোভাবেই তিনি আকরামের সমতুল্য নন।

শাহিন শাহ আফ্রিদি চোট থেকে ফিরে গতি হারিয়েছেন
ছবি: টু্ইটার

অবশ্য পাকিস্তানি ক্রিকেটপ্রেমীরা মনে করেন, রবি শাস্ত্রীর এমন মন্তব্য শাহিনকে অনুপ্রাণিত করবে। তিনি শাস্ত্রীর এমন মন্তব্যে তেতে উঠবেন, তিনি আবার নিজের সেরা পারফরম্যান্সে ফিরে আসবেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্সে’ (সাবেক টুইটার) পাকিস্তানি ক্রিকেটপ্রেমীরা নিজেদের মন্তব্যে এমনটাই বলছেন।

শাহিন শাহ আফ্রিদিকে ওয়াসিম আকরামের সঙ্গে তুলনা করার কিছু নেই বলেই মনে করেন রবি শাস্ত্রী
ফাইল ছবি

কিন্তু কীভাবে ফিরবেন শাহিন আফ্রিদি। চোট থেকে ফেরার পর তিনি নিজের বোলিংয়ের গতি কমিয়েছেন। ১৩৩ থেকে ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করে আসলে একজন ফাস্ট বোলারের ছন্দে ফেরাটা কঠিনই। চোটের আগে ১৪০ কিলোমিটার গতিতেই টানা বোলিং করতেন। চোটের পর গতি কমানোটা আফ্রিদির পারফরম্যান্সে বড় প্রভাব ফেলেছে।

ভারতের সাবেক কোচ ও বর্তমান ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রী
ছবি : আইসিসি

২০২২ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে হাঁটুর চোটে পড়েন আফ্রিদি। কিন্তু তার কিছুদিন পরই অনেকটা দ্রুততার সঙ্গেই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তান দলে তাঁকে নেওয়া হয়। বিতর্ক আছে সেই অন্তর্ভুক্তি নিয়ে। অনেকেই মনে করেন, বিশ্বকাপ দলে তাড়াহুড়া করে নেওয়ায় চোট থেকে পুরোপুরি সেরে ওঠাটা সম্ভব হয়নি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনালে আফ্রিদি আবারও চোটে পড়েন। এরপর তিনি ফেরেন পিএসএলে। এরপর থেকেই তিনি গড়পড়তা এক বোলার।

আফ্রিদির বোলিংয়ের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সুইং। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর যে চোটে পড়েছিলেন, সেটি থেকে ফিরে সেটিই অনুপস্থিত। পাকিস্তানি ভক্তরা এখনো ভুলতে পারছেন না দুবাইতে ২০২১ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফ্রিদির নেওয়া ভারতের বিপক্ষে রোহিত শর্মা আর লোকেশ রাহুলের উইকেট দুটি। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে সেই আফ্রিদিকে যেন খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না।