প্রীতির পাঞ্জাবকে হারিয়ে ৯ বছর পর ফাইনালে কোহলির বেঙ্গালুরু

ম্যাচ শেষে হাত মেলান দুই দলের খেলোয়াড়েরাআইপিএল ওয়েবসাইট

মুল্লানপুরে প্রথম কোয়ালিফায়ারে দুটি সমীকরণ ছিল আইপিএল সমর্থকদের সামনে। কে উঠবে ফাইনালে? ১১ বছর পর প্রীতি জিনতার পাঞ্জাব কিংস নাকি ৯ বছর পর বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু?

টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে উত্তর মিলিয়ে দেওয়ার প্রথম কাজটা করেছে পাঞ্জাব। বাকি আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছে বেঙ্গালুরু।

১৪.১ ওভারে মাত্র ১০১ রানে অলআউট হয় পাঞ্জাব। তাড়া করতে নেমে পাঞ্জাবের ইনিংসের চেয়েও কম ওভার খেলে জিতেছে রজত পতিদারের বেঙ্গালুরু।

আরও পড়ুন

৬০ বল বাকি রেখে ৮ উইকেটের জয়ে দীর্ঘ ৯ বছর পর আইপিএলের ফাইনালে উঠল বেঙ্গালুরু। আইপিএলের ইতিহাসে ১০০‍–এর বেশি রানের লক্ষ্য টপকে যাওয়ার তৃতীয় দ্রুততম নজির এটি। এর আগে ২০০৯, ২০১১ ও ২০১৬ সালে আইপিএলের ফাইনালে খেলেছে বেঙ্গালুরু। কিন্তু একবারও শিরোপা জিততে পারেনি।

তবে পরিসংখ্যান বলছে, এবার বেঙ্গালুরুর শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা বেশি। কারণ, ২০১১ সালে আইপিএলের প্লে–অফ পর্ব চালু হওয়ার পর ১৪ আসরের মধ্যে প্রথম কোয়ালিফায়ার জয়ী দল ১১ বারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সর্বশেষ সাতবারই এমন ঘটনা ঘটেছে!

শ্রেয়াসের পাঞ্জাব ব্যাটিংয়ে মোটেও ভালো করতে পারেনি। বেঙ্গালুরুর দুই ব্যাটসম্যানের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন পাঞ্জাব অধিনায়ক
আইপিএল ওয়েবসাইট

প্রীতির পাঞ্জাবের ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। আগামীকাল গুজরাট টাইটানস ও মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের এলিমিনেটর ম্যাচে জয়ী দলের বিপক্ষে ১ জুন দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার খেলবে পাঞ্জাব। সেই ম্যাচের জয়ী দল ৩ জুন বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে শিরোপার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে।

আরও পড়ুন

আজ পাওয়ারপ্লেতেই বড় সর্বনাশ হয় পাঞ্জাবের। ৬ ওভারের মধ্যে ৪৮ রানে ৪ উইকেট হারায় দলটি। এবারের আইপিএলে দ্বিতীয়বারের মতো পাওয়ার প্লের মধ্যেই ৪ উইকেট হারাল পাঞ্জাব। এই মাঠেই গত ১৫ এপ্রিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে সে ম্যাচে ১১১ করেও জিতেছিল তারা। কিন্তু আজ আর পারেনি।

১০ ওভার হাতে রেখেই বেঙ্গালুরুর তুলে নেওয়া জয়ে ২৭ বলে ৫৬ রানের অপরাজিত এক ইনিংস খেলেন ওপেনার ফিল সল্ট। কোহলির ব্যাট থেকে এসেছে ১২ বলে ১২। ৮ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকা অধিনায়ক পাতিদারকে নিয়ে ম্যাচ শেষ করে আসেন সল্ট।

তার আগে পাওয়ার প্লেতে পাঞ্জাবের ইনিংসে ছড়ি ঘোরান বেঙ্গালুরুর তিন পেসার—জশ হ্যাজলউড, যশ দয়াল ও ভুবনেশ্বর কুমার। দয়াল ও ভুবনেশ্বর পাঞ্জাবের দুই ওপেনার প্রিয়াংশ আর্য (৭) ও প্রভসিমরান সিংকে তুলে নেন। জশ ইংলিস ও অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারকে ফেরান হ্যাজলউড।

১৭ বলে ২৬ রান করে মার্কাস স্টয়নিস যা একটু পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন। শেষ দিকে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ১২ বলে ১৮ রানের ইনিংসে কোনো রকমে এক শ পার হয় পাঞ্জাবের।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

পাঞ্জাব কিংস: ১৪.১ ওভারে ১০১ অলআউট (স্টয়নিস ২৬, প্রভসিমরান ১৮, ওমরজাই ১৮; সুয়াশ ৩/১৭, হ্যাজলউড ৩/২১, দয়াল ২/২৬)।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: ১০ ওভারে ১০৬/২ (সল্ট ৫৬*, আগারওয়াল ১৯, পতিদার ১৫*; জেমিসন ১/২৭, মুশির ১/২৭)।

ফল: রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ৮ উইকেটে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সুয়াশ শর্মা।