পাকিস্তানের দল নির্বাচন ও কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তাঁর হাত নেই, দাবি মিসবাহর

মিসবাহ-উল-হকছবি: এএফপি

পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও পিসিবির টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান মিসবাহ-উল-হক দাবি করেছেন, এবার বিশ্বকাপে পাকিস্তানের স্কোয়াড গঠন ও খেলোয়াড়দের সঙ্গে কেন্দ্রীয় চুক্তির ব্যাপারে তাঁর কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না। টিম ম্যানেজমেন্ট ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) নির্বাচক কমিটি মিলেই এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন মিসবাহ।

আরও পড়ুন

করাচিতে গতকাল এ নিয়ে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেন মিসবাহ। বিশেষ করে পিসিবির সঙ্গে খেলোয়াড়দের কেন্দ্রীয় চুক্তি নিয়ে। এ বিষয়ে তাঁর কোনো মতামতই নাকি নেওয়া হয়নি, ‘বিষয়টি নিয়ে আমারও নিজস্ব ভাবনা আছে। টিম ম্যানেজমেন্টকে সঙ্গে নিয়ে এর আগেও তারা এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবারের সিদ্ধান্ত কিছু বুঝিনি এবং আমাদেরও কোনো মতামত নেওয়া হয়নি। কেন্দ্রীয় চুক্তি নিয়ে আমার নিজেরও কিছু আপত্তি-অনাপত্তি আছে, কিন্তু তাতে আমার কোনো ভূমিকা ছিল না। নির্দিষ্ট সংস্করণে সেরা খেলোয়াড়দের কেন্দ্রীয় চুক্তির শীর্ষে থাকা উচিত। দলে সমন্বয়ের দায়িত্বটা নির্বাচক কমিটি ও ম্যানেজমেন্টের। চেয়ারম্যানও পূর্ণ সমর্থন দিয়েছেন। তদন্ত হলে সেটা তাদের নিয়েই হওয়া উচিত।’

পিসিবি ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান জাকা আশরাফ এর আগে বলেছিলেন, নির্দিষ্ট সংস্করণে পাকিস্তান দলে নিয়মিত খেলোয়াড়দের কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতায় আনা হবে। এরপর ২৫ জন খেলোয়াড় নিয়ে নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তি করে পিসিবি। যেখান থেকে বাদ পড়েন স্পিনার নোমান আলী ও আবরার আহমেদ। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদকে রাখা হয় চুক্তির ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে।

আরও পড়ুন

বাবর আজম-মোহাম্মদ রিজওয়ানদের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রাজি করাতে প্রধান নির্বাচক ইনজামাম-উল-হকের দ্বারস্থ হয়েছিল পিসিবি। খেলোয়াড়দের দাবি ছিল আইসিসির কাছ থেকে পিসিবি যে লভ্যাংশ পায়, তার ভাগ দিতে হবে তাঁদের। সংবাদমাধ্যম ক্রিকেট পাকিস্তান এর আগে জানিয়েছিল, জাকা আশরাফের বাসায় এ নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন ইনজামাম। খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর। সে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে আইসিসি থেকে পিসিবির পাওয়া লভ্যাংশের ৩ শতাংশ ভাগ পাবেন ক্রিকেটাররা।

কেন্দ্রীয় চুক্তির বাইরে বিশ্বকাপ নিয়েও কথা বলেছেন মিসবাহ। পাকিস্তানের কোনো ভুল করার সুযোগ নেই বলেও মনে করেন ৪৯ বছর বয়সী সাবেক এই অধিনায়ক, ‘এমন মেগা টুর্নামেন্টে আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই। প্রতিটি ম্যাচেই নিজের সেরাটা দিতে হবে।’

৬ অক্টোবর নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে বাবরের দল। মাঝে তিন দিন পর ১০ অক্টোবর পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা এবং তারপর ১৪ অক্টোবর হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। মিসবাহর যুক্তি, ভারতের বিপক্ষে ভালো করতে প্রথম দুটি ম্যাচে পারফর্ম করা গুরুত্বপূর্ণ, ‘ভারতের মুখোমুখি হওয়ার আগে ম্যাচগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ দুটি ম্যাচে পারফরম্যান্স ওঠানামা করলে ভারতের বিপক্ষে প্রভাব পড়তে পারে।’