পারভেজের বিশেষ ‘সেঞ্চুরিতে’ আসা জয়ে কী খুঁজে পেলেন লিটন
একের পর এক ছক্কা হাঁকিয়ে পারভেজ হোসেন তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরিও। সেটি নানা দিক থেকেই তাঁর জন্য বিশেষ- আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আগের ৭ ইনিংসে পঞ্চাশও পার হতে পারেননি। অথচ আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটির পরই তাঁর নামের পাশে লেখা হয়েছে সেঞ্চুরি!
তাতে প্রায় ১৯ বছরের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে বাংলাদেশ পেয়েছে কেবল দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ২০১৬ সালে ধর্মশালায় ওমানের বিপক্ষে তামিম ইকবালের পর এবার শারজায় পারভেজ। কেমন অনুভূতি? ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে দাঁড়িয়ে ম্যাচসেরা পারভেজ হোসেন বলেছেন, ‘এটা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার প্রথম সেঞ্চুরি। এটা আমার জন্য তাই বিশেষ।’
পারভেজের ৫৪ বলে ১০০ রানের ইনিংসের পরও অবশ্য বাংলাদেশ খুব বেশি দূর যেতে পারেনি। পুরো ২০ ওভার খেলে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রানের বেশি করতে পারেনি তারা। ইনিংসের শেষ তিন ওভারে আসে মাত্র ২২ রান।
ওই আফসোস ম্যাচশেষেও ছিল অধিনায়ক লিটন দাসের কণ্ঠে, ‘উইকেট ভালো মনে হচ্ছিল ব্যাট করার জন্য। পারভেজ যেভাবে খেলেছে এটা দেখার জন্য অসাধারণ ছিল। কিন্তু আমাদের ভালো শেষ করতে হতো, শেষ তিন ওভারে আমরা তেমন কিছু করতে পারিনি।’
ব্যাটিংয়ে একটা সময় পর্যন্ত সমানতালে পাল্লা দিচ্ছিল আরব আমিরাত। দলটির অধিনায়ক মুহাম্মদ ওয়াসিমের ৩৯ বলে ৫৪ ও শেষদিকে আসিফ খানের ২১ বলে ৪২ রানের ইনিংস ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। তবে বোলারদের ওপর বিশ্বাস ছিল অধিনায়ক লিটনের। শেষ পর্যন্ত তাঁকে ২৭ রানের জয়ও এনে দিয়েছেন তারা।
লিটন ম্যাচশেষে বলেছেন, ‘আমি জানতাম বোলাররা যেকোনো সময় ফিরে আসতে পারে, আমি তাঁদের শক্তি সম্পর্কে জানি। তারা (আমিরাত) যেভাবে মাঝের ওভারে ব্যাট করেছে, আমাদের নিজেদের বোলিংয়েও ফোকাস করতে হবে। এই মাঠে কী ধরনের বল ভালো হয়, সেটা দেখতে হবে।’
সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি থেকে জয় ছাড়াও কিছু ইতিবাচকতা খুঁজে পাওয়ার কথা জানিয়েছেন লিটন, ‘আত্মবিশ্বাস- যেভাবে সবাই বল করেছে, সবাই যেভাবে মাথা ঠান্ডা রেখেছে...। মাঝে মনে হচ্ছিল ৫০-৫০ হয়ে গেছে। কিন্তু যেভাবে বোলাররা বল করেছে, অসাধারণ হয়েছে।’
শারজাতেই সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি আগামীকাল সোমবার।