অস্ট্রেলিয়ার নতুন কোচ ম্যাকডোনাল্ড

স্মিথ–ওয়ার্নারদের প্রধান কোচ হলেন সাবেক টেস্ট অলরাউন্ডার অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ডছবি: এএফপি

জাস্টিন ল্যাঙ্গার সরে দাঁড়ানোর প্রায় দুই মাস পর ডেভিড ওয়ার্নার–স্টিভ স্মিথদের নতুন কোচ নিয়োগ দিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)।

ল্যাঙ্গার পদত্যাগ করার পর এতদিন অন্তবর্তীকালিন কোচের দায়িত্ব পালন করা সাবেক টেস্ট অলরাউন্ডার অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ডের কাঁধে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব তুলে দিয়েছে সিএ। চার বছরের চুক্তিতে তিন সংস্করণেই কোচ ও নির্বাচকের দায়িত্ব পালন করবেন ম্যাকডোনাল্ড।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি ল্যাঙ্গার পদত্যাগ করার পর অন্তবর্তীকালিন কোচ হিসেবে প্রশংসা কুড়িয়েছেন ম্যাকডোনাল্ড। ২০১৯ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের কোচিং স্টাফে সিনিয়র সহকারী এবং বোলিং পরামর্শকের ভূমিকায় ছিলেন ৪০ বছর বয়সী ম্যাকডোনাল্ড।

পাকিস্তান সফরে অন্তবর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব নিয়ে ১–০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিতিয়েছেন অস্ট্রেলিয়াকে। ওয়ানডে সিরিজ জিততে না পারলেও অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের প্রশংসাপত্র পান এই কোচ।

চার বছরের মেয়াদে ল্যাঙ্গার কখনো বিশ্রাম নিলে ম্যাকডোনাল্ডকে প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে। ২০২০ সালে ভারতে ওয়ানডে সিরিজ, পরের বছর নিউজিল্যান্ডে পাঁচ ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজ এবং এ বছরের শুরুর দিকে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে এই দায়িত্ব পালন করতে হয় ম্যাকডোনাল্ডকে।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান কোচের দায়িত্ব দেওয়ার পর সংবাদমাধ্যমকে ম্যাকডোনাল্ড বলেছেন, ‘সুযোগটা রোমাঞ্চকর। আমি খুবই খুশি ও কৃতজ্ঞ। এই অবিশ্বাস্য সুযোগটা পাওয়ায় গর্ব লাগছে।’

ল্যাঙ্গারকে নিয়েও কথা বলেছেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৪ টেস্ট খেলা ম্যাকডোনাল্ড, ‘বিশ্বকাপ জয়, অ্যাশেজ জয় এবং পাকিস্তান সফরে জয়—এসবই জাস্টিন, প্যাট ও অ্যারনের (ফিঞ্চ) কঠোর পরিশ্রম ও নেতৃত্বের প্রমাণ। আমি দলের বেড়ে ওঠা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে কাজ করতে চাই।’

টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও অ্যাশেজ জেতার পরও অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটারের মন জিততে পারেননি ল্যাঙ্গার। খোলামেলা তুমুল সমালোচনা হওয়ায় দায়িত্ব ছাড়েন ল্যাঙ্গার। তাঁর কোচিং করানোর প্রক্রিয়ায় সন্তুষ্ট ছিলেন না খেলোয়াড়েরা।

ম্যাকডোনাল্ড প্রধান কোচ হওয়ার পর তাঁর ঠান্ডা মেজাজের প্রশংসা করেছেন সংক্ষিপ্ত সংস্করণে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ, ‘তাকে কোনো পরিস্থিতি কিংবা ফলে কখনো বিচলিত হতে দেখিনি।’

অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্কও ম্যাকডোনাল্ডকে নিয়ে আশাবাদী, ‘আমি মনে করি সে দারুণ কাজ করবে।’ তবে চাপটাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন ক্লার্ক, ‘খেলোয়াড়েরা যা চায় তাই হলো। অর্থাৎ, তারা পারফর্ম না করলে চাপে পড়বে।’ বিশেষ করে টেস্ট অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ‘অতিরিক্ত চাপে’ থাকবেন বলে মনে করেন ক্লার্ক।