আইনি খেলা শুরু হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে

ঘোর অমানিশার মধ্যে পড়েছে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএসএ)। দেশটির স্পোর্টস কনফেডারেশন ও অলিম্পিক কমিটি (এসএএসসিওসি) যৌথভাবে সিএসএকে চিঠি দিয়ে ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সরে দাঁড়াতে বলেছে। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি সিএসএ। আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড।

কাল রাতেই জানা গেছে, ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার (সিএসএ) নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে দেশটির সরকার। এর জন্য চড়া মূল্য দিতে হতে পারে দেশটির ক্রিকেটকে। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো দেশের ক্রিকেট বোর্ডে সরকারি হস্তক্ষেপ অবৈধ। সরকারের এমন আচরণের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করতে পারে আইসিসি।

ক্রিকইনফো জানিয়েছে, বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহীর দায়িত্বে আর থাকছেন না কুগান্দ্রি গোভেন্দর। অলিম্পিক কমিটি (এসএএসসিওসি) এখন টাস্ক দল নিয়োগ করবে বোর্ডে। এই টাস্ক দল বোর্ডের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তদন্ত চালাবে। অনেক দিন ধরেই বোর্ডে তাঁরা নানা ধরনের অসৎ আচরণ ও দুর্নীতি করে আসছেন বলে উল্লেখ করা হয়। তাঁদের এসব কর্মকাণ্ডের কারণে ক্রিকেটের প্রতি দেশের মানুষ, স্পনসর আর খেলোয়াড়েরা আস্থা ও বিশ্বাস হারিয়েছে বলেও মনে করে দক্ষিণ আফ্রিকার স্পোর্টস ফেডারেশন ও অলিম্পিক কমিটি।

গত মাসে বোর্ডের প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে থাবাং মুরকে সরিয়ে দেওয়া হয়। নয় মাস আগে একবার সাসপেন্ড হয়েছিলেন তিনি। বিশেষজ্ঞ আইনি পরামর্শ মেনে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আর এ সিদ্ধান্তে সমর্থন দেয় স্বাধীন ফরেনসিক তদন্ত কমিটি। তদন্তে তারা থাবাং মুরের বিরুদ্ধে বড় ধরনের দুর্নীতির সন্ধান পায়। যদিও ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা (সিএসএ) সেই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। সে যাই হোক দক্ষিণ আফ্রিকার স্পোর্টস ফেডারেশন ও অলিম্পিক কমিটি (এসএএসসিওসি) কর্মকর্তাদের সরে দাঁড়াতে বলার পর আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে সিএসএ। এ নিয়ে এক বিবৃতিও প্রকাশ করেছে তারা।

নিজেদের অফিশিয়াল টুইটে বিবৃতিটি প্রকাশ করেছে সিএসএ, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার স্পোর্টস কনফেডারেশন ও অলিম্পিক কমিটির (এসএএসসিওসি) সিদ্ধান্ত পেয়েছে সিএসএ। বোর্ড এবং তার সদস্য কাউন্সিল এসএএসসিওসির এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নয়। এসএএসসিওসির সঙ্গে বোর্ড যোগাযোগ করতে পারেনি। সিএসএর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের ব্যাপারে বোর্ড এখন আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে। তবে এসএএসসিওসির সঙ্গে কথা বলে ক্রিকেটের স্বার্থে সেরা সমাধানের পথটা বের করতে চায় সিএসএ।’

দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বোর্ডে দুর্নীতি নিয়ে কয়েক দফা আলোচনা করেছে দেশটির স্পোর্টস ফেডারেশন ও অলিম্পিক কমিটি। গত মঙ্গলবারের আলোচনা শেষে বোর্ডে হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেয় তারা। এর আগে বর্ণবাদের কারণে প্রায় ২২ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।