আইপিএল আয়োজন নিয়ে নতুন দুশ্চিন্তা

চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই নিজেদের মাঠে খেলতে পারবে?ছবি: আইপিএল

আবার ব্যস্ত হয়ে উঠেছে ক্রিকেট দলগুলো। প্রায় প্রতি সপ্তাহেই বিশ্বের নানা প্রান্তে শুরু হচ্ছে কোনো না কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজ। করোনাভাইরাসের সময়টায় জৈব সুরক্ষাবলয়ের নানা ঝামেলা পেরিয়েও দলগুলো নিয়মিত মাঠে নামছে। সে ব্যস্ততায় অবশ্য মার্চ শেষে একটু বিরতি মিলবে।

এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হবে আইপিএল। ক্রিকেটের সবচেয়ে লোভনীয় ক্রিকেট লিগ উপলক্ষে অধিকাংশ দেশই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে থাকবে। করোনার কারণে গত আইপিএলের মৌসুম দেশের বাইরে আয়োজন করতে বাধ্য হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাফল্যের সঙ্গে সে টুর্নামেন্ট শেষ হলেও অন্যের ঘরে আর আয়োজন করতে চায় না বিসিসিআই। এবার তাই ভারতেই হবে আইপিএল।

প্রাথমিকভাবে মুম্বাইয়ের বিভিন্ন ভেন্যুতে আইপিএল আয়োজন করার কথা ছিল। কিন্তু সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হতে পারে আইপিএলের নির্বাহী কমিটিকে।

কদিন আগেই হয়ে গেল আইপিএলের নিলাম।
ছবি: আইপিএল

‘হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে’ পদ্ধতির আইপিএলের সঙ্গেই সবাই পরিচিত। সব দল নিজের ভেন্যুতে একটি ম্যাচ খেলে, অন্য ম্যাচটি খেলে প্রতিপক্ষের মাঠে। করনার এই সময়ে জৈব সুরক্ষাবলয়ের এই সময়ে এভাবে এক শহর থেকে আরেক শহরে প্রতি দুই দিনে যাতায়াত করা অসম্ভব। সে কারণে সংযুক্ত আরব আমিরাতে হওয়া গত আইপিএলে তিনটি স্টেডিয়ামেই ভাগাভাগি করে খেলেছিল আট দল। এবার প্রাথমিকভাবে একটি শহরেই আয়োজন করার পরিকল্পনা ছিল আইপিএল।

মুম্বাইয়ে চারটি স্টেডিয়াম আছে। ওয়াংখেড়ে, ব্র্যাবোর্ন, ডি ওয়াই পাতিল ও রিলায়েন্স স্টেডিয়ামেই আইপিএল সফলভাবে আয়োজন করা যেত। সে ক্ষেত্রে মাত্র একটি বৃহৎ জৈব সুরক্ষাবলয় সৃষ্টি করলেই হতো। আট সপ্তাহের টুর্নামেন্টে এক শহরেই থাকতে হতো আট দলকে। ফলে যাতায়াত, আবাসন নিয়ে প্রতি সপ্তাহেই নতুন করে বলয় সৃষ্টির ঝামেলা পোহাতে হতো না আইপিএল কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু মহারাষ্ট্রে করোনা পরিস্থিতির অবনতি নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে তাদের।

সব ফ্র্যাঞ্চাইজিই দল গুছিয়ে নিয়েছে। এখন সময়মতো খেলা শুরু করতে পারা নিয়েই সব চিন্তা।
ছবি: আইপিএল

এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে আইপিএল শুরু হবে। আর দেড় মাস মাত্র বাকি। এই অবস্থায় হঠাৎ মহারাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেছে। শুধু বৃহস্পতিবার এই রাজ্যে আট হাজারের বেশি মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। শুধু মুম্বাই শহরেই আক্রান্ত হয়েছে এক হাজার এক শর বেশি মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে মুম্বাইয়ে জৈব সুরক্ষাবলয় সৃষ্টি করা আদৌ সম্ভব হবে কি না, সন্দেহ জেগেছে।

এ অবস্থায় আইপিএলের ম্যাচ আয়োজনের জন্য আরও বেশ কিছু ভেন্যুকে হিসেবে রাখছে বিসিসিআই। তবে আইপিএলের ফাইনাল ও প্লে-অফ কোথায় হবে, এ নিয়ে এখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে বোর্ড। ভারতীয় বোর্ডের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পিটিআইকে বলেছেন, ‘আইপিএল শুরু হতে এখনো এক মাস বাকি। কিন্তু কিছু সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। এখন যেভাবে রোগী বাড়ছে, তাহলে শুধু এক শহর মুম্বাইয়ে এটা আয়োজন করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাবে। তাই হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু ও কলকাতাতেও ম্যাচ খেলানোর প্রস্তুতি রাখতে হবে। এখন পর্যন্ত যা অবস্থা, আহমেদাবাদে আইপিএলের প্লে অফ ও ফাইনাল হবে।’