আইপিএল নিয়ে ইংলিশ ক্রিকেটে ‘বিদ্রোহ’ উসকে দিচ্ছেন পিটারসেন?

কেভিন পিটারসেন ইংলিশ ক্রিকেটারদের উসকাচ্ছেন আইপিএল নিয়ে বিদ্রোহে?ফাইল ছবি

কেভিন পিটারসেন কি তাহলে বিদ্রোহ করার জন্য উসকে দিচ্ছেন ইংল্যান্ডের তারকা ক্রিকেটারদের? আইপিএলে খেলা কিংবা খেলতে না দেওয়া নিয়ে একধরনের বিদ্রোহ হয়ে যেতে পারে ইংলিশ ক্রিকেটে—পিটারসেনের টুইটে ইঙ্গিত তেমনই। দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ইংল্যান্ডের সাবেক ব্যাটসম্যান মনে করেন, ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) যত বলে বেড়াক আইপিএল আবার মাঠে গড়ালে তারা মরগানদের ছাড়বে না, ক্রিকেটাররা যদি এক হয়ে আইপিএল খেলতে চান, তাহলে ইসিবি সুর নরম করতে বাধ্য হবে।

টুইটটির মধ্যেই ইংলিশ ক্রিকেটারদের বিদ্রোহী হয়ে ওঠার উসকানি চলে আসছে। ইসিবির ডিরেক্টর অব ক্রিকেট ও ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার অ্যাশলি জাইলস কিছুদিন আগেই বলেছিলেন, যদি স্থগিত হয়ে যাওয়া এবারের আইপিএল আগামী সেপ্টেম্বরে নতুন করে মাঠে গড়ায়, তাহলে ইংলিশ বোর্ড তাদের তারকা ক্রিকেটারদের না-ও ছাড়তে পারে। ওই সময় সফরে বের হবে ইংল্যান্ড। ইসিবি মনে করে, ওই সময়টায় আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতিকে অগ্রাধিকার দেওয়াই হবে শীর্ষ ক্রিকেটারদের দায়িত্ব।

পিটারসেন তাঁর টুইটারে লিখেছেন, ‘আইপিএলের সূচি নতুন করে তৈরি হলে ইসিবি তারকা ক্রিকেটারদের না ছাড়ার ব্যাপারটি কীভাবে সামলায়, দেখার বিষয় এখন সেটিই। আমি যখন ইংল্যান্ড ক্রিকেটের বিরুদ্ধে গিয়েছিলাম, তখন আমি ছিলাম একা। এবার কিন্তু সেরা সব ক্রিকেটারদের সামলাতে হবে। ওরা যদি এক সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেয় আইপিএল খেলবেই, তাহলে কিন্তু তারা খেলবেই।’

ভারতে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার পরেও আইপিএল চলছিল। সেটি নিয়ে গোটা ভারত তো বটেই, বিশ্বের অনেক জায়গাতেই ছিল তীব্র সমালোচনা। তবে আইপিএলের জৈব সুরক্ষাবলয়কে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে করোনা যখন ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোতেই হানা দেওয়া শুরু করল, তখন আইপিএল স্থগিত করে দিতে বাধ্য হয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। ব্যাপারটি নিশ্চয়ই কোনো ক্রিকেটারের জন্যই সুখকর কিছু নয়।

স্টোকস–বাটলাররা আইপিএল দলগুলির শক্তির উৎস
ছবি: বিসিসিআই

ক্রিকেটাররা এখন উন্মুখ, আবার কবে আইপিএলের বাকি অংশটুকু হবে। আগামী সেপ্টেম্বরে একটা সময় বের করে আইপিএলের বাকি অংশের ম্যাচ আয়োজনের ইঙ্গিত থাকলেও কিছুদিন আগে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী সোজাসাপ্টা জানিয়ে দিয়েছেন, করোনা না গেলে ভারতের মাটিতে আর কোনো ক্রিকেট আয়োজনই সম্ভব নয়, এমনকি তিনি আগামী অক্টোবরে ভারতে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভবিষ্যৎ নিয়েও নিজের শঙ্কার কথা গোপন রাখেননি।

আইপিএলের ইংলিশ ক্রিকেটাররা প্রায় প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আট দলের চারটিতেই আছেন ইংল্যান্ড দলের শীর্ষ তারকা ক্রিকেটাররা। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের অধিনায়ক এউইন মরগান আইপিএলে তাঁর ফ্র্যাঞ্চাইজি কলকাতা নাইটরাইডার্সেরও অধিনায়ক। এ ছাড়াও রাজস্থান রয়্যালসের জস বাটলার আর বেন স্টোকস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জনি বেয়ারস্টোদের বাদ দিয়ে আইপিএলের ম্যাচে মাঠে নামতে চাইবে তাঁদের দল।