আইপিএল নিয়ে নিজের ‘দুঃখের’ কথা জানালেন আফ্রিদি

আইপিএল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে প্রভাবিত করছে? আফ্রিদি মনে করেন এমনই।ছবি: এএফপি, ফাইল ছবি

তবে কি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চেয়েও এখন আইপিএল বেশি গুরুত্বপূর্ণ? শহীদ আফ্রিদির তেমনই মনে হচ্ছে। নয়তো, দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের মধ্যেই দলের গুরুত্বপূর্ণ তারকাদের আইপিএলে খেলার জন্য ছেড়ে দেবে কেন?

ব্যাপারটায় দুঃখ পাচ্ছেন পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক। একটা সিরিজ চলছে। সিরিজনির্ধারণী ম্যাচের আগে দক্ষিণ আফ্রিকা কুইন্টন ডি কক, কাগিসো রাবাদাসহ বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ তারকা ক্রিকেটারকে কেন ছেড়ে দেবে! তার মানে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই সিরিজ হেরে গেলেও কিছু যায়–আসে না প্রোটিয়াদের? কাল শেষ ম্যাচে ২৮ রানে হেরে সিরিজও খুইয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর পরপরই টুইটারে নিজের দুঃখের কথা জানিয়েছেন আফ্রিদি, ‘দুঃখ হচ্ছে দেখে যে আইপিএল এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে প্রভাবিত করছে। ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা কেন একটা সিরিজের মাঝপথে তাদের খেলোয়াড়দের আইপিএলে যাওয়ার জন্য ছেড়ে দিল, সেটা দেখে যারপরনাই বিস্মিত হয়েছি। পুরো ব্যাপারটা নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনার সময় এসেছে।’

দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের সিদ্ধান্তে ‘বিস্মিত’ আফ্রিদি।
ছবি: টুইটার

তবে আফ্রিদির আইপিএল-সংক্রান্ত ‘দুঃখ’ মুছে দিয়েছে পাকিস্তান দল। কাল ফখর জামানের টানা দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরিতে জয়ের সঙ্গে সিরিজটাও নিজেদের করে নিয়েছে তারা। ফখরের ১০২ রানের পাশাপাশি বাবর আজমের ৯৪ রানে প্রথমে ব্যাটিং করে ৩২০ রানের বড় সংগ্রহ গড়েই দক্ষিণ আফ্রিকাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিল পাকিস্তান। অপেক্ষাকৃত তরুণদের নিয়ে গড়া দক্ষিণ আফ্রিকা অবশ্য লড়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয়েছে। ডি কক, রাবাদাদের মতো তারকাদের অনুপস্থিতিটা ঠিকই টের পেয়েছে তারা। তবে আফ্রিদির মতে, এটা পাকিস্তানের দুর্দান্ত এক সিরিজ জয়। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘অভিনন্দন পাকিস্তান দুর্দান্ত এক সিরিজ জয়ের জন্য। ভালো লাগল যে ফখর জোহানেসবার্গের পর এই ম্যাচেও একটা সেঞ্চুরি করল। বাবর আবারও নিজের মান প্রমাণ করল। সবার বোলিংও দারুণ হয়েছে।’

আফ্রিদি অবশ্য নিজেও আইপিএল খেলেছেন। অন্য পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে তিনিও ২০০৮ সালের প্রথম আইপিএলের অংশ ছিলেন। আফ্রিদি খেলেছিলেন বিলুপ্ত ফ্র্যাঞ্চাইজি ডেকান চার্জার্সে। অবশ্য ২০০৮ সালেরই ২৬ নভেম্বর মুম্বাইয়ের হোটেল তাজ ও অন্যান্য জায়গায় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের জন্য আইপিএলের দরজা বন্ধ হয়ে যায়। ভারত সরকার সেই ভয়াবহ ঘটনার জন্য পাকিস্তানি উগ্রপন্থী সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে দায়ী করে। সেটির প্রমাণও পাওয়া যায়। সেই হামলার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীরা সবাই পাকিস্তানি ছিল।

আইপিএলে ২০০৮ সালের পর থেকে সুযোগ না পেলেও আফ্রিদি কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের নিয়মিত মুখই। সারা দুনিয়ায় যত ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ অনুষ্ঠিত হয়, তার প্রায় প্রতিটিতেই খেলার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর।