আইপিএলে টানা দুই সেঞ্চুরিতে ইতিহাস ধাওয়ানের

পাঞ্জাবের বিপক্ষে সেঞ্চুরির পর শিখর ধাওয়ানছবি: টুইটার

হর্শা ভোগলের টুইট, ‘শিখর ধাওয়ানকে পছন্দের অন্যতম একটি কারণ হলো, বিশেষ করে সাদা বলের খেলায় সে যখন ছন্দে থাকে, কারও থামানোর সাধ্য নেই। নিখাদ ম্যাচ উইনার।’

ভারতীয় ধারাভাষ্যকার ও বিশ্লেষক ভোগলে এ টুইট করার সময় ‘নড়বড়ে নব্বই’-এর ঘরে ছিলেন ধাওয়ান। কিন্তু এতটুকু নড়বড়ে ছিলেন না। ৯৭ থেকে পর পর দুই বলে ২টি করে রান নিয়ে ঠিকই তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছে যান দিল্লি ক্যাপিটালস ওপেনার। আর তাতে আইপিএলের ইতিহাসে যোগ হলো নতুন পাতা।

বাকিরা ব্যর্থ হলেও দিল্লির ইনিংস একাই টেনেছেন ধাওয়ান
ছবি: টুইটার

জনপ্রিয় এ ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এর আগে কোনো ক্রিকেটার টানা দুই সেঞ্চুরি করতে পারেননি। চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ১০১ রানে অপরাজিত থেকে জিতিয়েছিলেন ধাওয়ান।

আজ আগে ব্যাট করতে নামা দিল্লির হয়ে অপরাজিত রইলেন ৬১ বলে ১০৬ রান করে। ধাওয়ানের ব্যাটে এ ম্যাচেও দিল্লি জয় পাবে কি না—তা এখনই বলা যাচ্ছে না। ভারতীয় ওপেনারের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি সত্ত্বেও খুব বড় স্কোর গড়তে পারেনি দিল্লি। ৫ উইকেটে ১৬৪ রান তুলেছে দলটি।

আইপিএলে প্রথম ১৬৭ ম্যাচে ধাওয়ানের কোনো সেঞ্চুরি ছিল না। কিন্তু পরের দুটি ম্যাচে টানা দুই সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ইতিহাস গড়লেন ভারতীয় ওপেনার। ৩ ছক্কা ও ১২ চারে ৬১ বলে অপরাজিত ইনিংসটি সাজান তিনি।

বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যান যে আজ দিল্লিকে একাই টেনেছেন, সেই প্রমাণ দিচ্ছে পরিসংখ্যান—বাকি পাঁচ ব্যাটসম্যান মিলে সর্বসাকল্যে তোলেন ৫৪! আর ‘মিস্টার এক্সট্রা’র অবদান ৪। শ্রেয়াস আইয়ার ও ঋষভ পন্ত করেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪। অর্থাৎ অন্য প্রান্তে আসা-যাওয়ার মিছিল চললেও এক প্রান্তে ‘গব্বর সিং’ নামের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে মারমুখী ব্যাট করে গেছেন ধাওয়ান।

আইপিএল এবার গড়িয়ে চলার সঙ্গে ধাওয়ানের ব্যাটও কিন্তু ক্ষুরধার হয়ে উঠছে। এবার নিজের প্রথম ৬ ইনিংসে (আউট হয়েছেন) তাঁর স্ট্রাইকরেট ছিল ১২২.২। কিন্তু পরের ৪ ইনিংসে ১৬৩.২—এর মধ্যে আউট হয়েছেন মাত্র একবার।

আজ কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে প্রথম ১০ ওভার শেষে দিল্লির স্কোর ছিল ২ উইকেটে ৮৩। এর মধ্যে ধাওয়ানের একার অবদানই ছিল ৩১ বলে ৫৬। পরের ১০ ওভারে উঠেছে ৮১ রান—যেখানে ধাওয়ান একাই তুলেছেন ৫০। সেটিও মাত্র ৩০ বলে। এই ইনিংস খেলার পথে আইপিএলে ৫০০০ রানের মাইলফলকও ছুঁয়েছেন ধাওয়ান।

পাঞ্জাবের হয়ে ২ উইকেট পেসার মোহাম্মদ শামি। ১টি করে উইকেট গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, জিমি নিশাম ও মুরুগান অশ্বিনের।