আইপিএলে দুটি ‘বিমার’ মেরেও তিনি বল করলেন কীভাবে?

শেষ ওভারে বেঙ্গালুরুকে জেতান হর্ষল প্যাটেল।ছবি: টুইটার

আইপিএলে কাল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ-রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ম্যাচে শেষ ওভারের দৃশ্য। জয়ের জন্য ১৬ রান দরকার সানরাইজার্সের।

বেঙ্গালুরুর বোলার হর্ষল প্যাটেলের তৃতীয় বলটি রশিদ খানের কোমরের বেশি বেশি উচ্চতার ফুল টস ডেলিভারি হওয়ায় ‘নো বল’ ধরেন আম্পায়ার। ইনিংসে সেটি ছিল তাঁর দ্বিতীয় ‘বিমার’—কিন্তু ২০তম ওভার ঠিকই শেষ করেন হর্ষল।

নিয়ম অনুযায়ী ইনিংসে দুটি বিমার মারার পরও তাঁর বোলিং বাতিল করেননি আম্পায়ার। সানরাইজার্স অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার তো ভীষণ রেগে গিয়েছিলেন।

সানরাইজার্সের ডাগআউটে রাগে ফুঁসছিলেন ওয়ার্নার। হর্ষলের তখনো বল করে যাওয়াটা মেনে নিতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটির কোচ ট্রেভর বেলিস আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের পক্ষে।

তাঁর মতে, আম্পায়ার সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। কেননা, হর্ষল প্রথম বিমারটি ব্যাটসম্যানের শরীর তাক করে মারেননি। এ কারণে আম্পায়াররা সে সময় তাঁকে মৌখিকভাবে সতর্কও করেননি। দুটি সতর্কবার্তার পর ওই ইনিংসে বোলারের বোলিং বাতিল করে থাকেন আম্পায়ার। ম্যাচে ৬ রানের জয় তুলে নেয় বেঙ্গালুরু।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে ওয়ার্নারের মেজাজ দেখানো নিয়ে কথা বলেন ট্রেভর বেলিস, ‘সে একটু রেগে গিয়েছিল, কারণ আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারিনি এবং হারতে হয়েছে। তবে আমি মনে করি আম্পায়াররা ঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। প্রথমটি (বিমার) ব্যাটসম্যানের শরীর তাক করে মারা হয়নি। তাই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়নি। তাই আম্পায়াররা সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন।’

সানরাইজার্সের ইনিংসে ১৮তম ওভারে প্রথম বিমারটি করেন হর্ষল। বলটি সানরাইজার্স ব্যাটসম্যান জেসন হোল্ডারের পাঁজর উচ্চতায় গেলেও তাঁর শরীর থেকে বাইরে লেগ দিয়ে বেরিয়ে যায়।

এরপর শেষ ওভারের তৃতীয় বলেও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিমার মেরে বসেন হর্ষল। এই বিমারটি চার মেরে সীমানা ছাড়া করেন রশিদ খান। ডেলিভারিটির জন্য আম্পায়ার হর্ষলকে সতর্কও করে দেন। সেটি ছিল তাঁর পাওয়া প্রথম সতর্কবার্তা। এ কারণে ওভারটি শেষ করতে পেরেছেন। শেষ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে বেঙ্গালুরুর জয় নিশ্চিত করেন হর্ষল।

বোলিংয়ে দুবার নিয়ন্ত্রণ হারানো নিয়ে কথা বলেন প্যাটেল, ‘প্রচুর ঘামছিলাম। ঘাম তালু বেয়ে নামছিল। তবে অবশ্যই এটা কোনো অজুহাত না। এগুলো হওয়া উচিত নয়, কারণ ভুলগুলো একেবারেই মৌলিক। পরে যেন আর না হয় সেই চেষ্টা করব।’