আইপিএলে যাবেন কি না, জানেন না কোহলির সতীর্থ

কাইল জেমিসন।ফাইল ছবি: এএফপি

সেপ্টেম্বরের শেষার্ধ্ব থেকে অক্টোবরের প্রথমার্ধ—এই সময়কে বিসিসিআই বেছে নিয়েছে আইপিএলের বাকিটা আয়োজন করার জন্য। ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ লাগাম ছাড়িয়ে যাওয়ায় মে মাসের শুরুতে স্থগিত হয়ে গেছে আইপিএল। সে টুর্নামেন্টের বাকিটা আয়োজন করার জন্যই এখন সব শক্তি খরচ করছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।

এদিকে আইপিএল আয়োজিত হলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যস্ত সূচির মধ্যে আবার নতুন করে ক্রিকেটার ছাড়তে হবে বোর্ডগুলোকে। ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড এরই মধ্যে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের ছাড়ার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে রেখেছে। তারকা খেলোয়াড়দের ঘাটতি যে পড়তে পারে, সে ইঙ্গিত মিলেছে গতকালই। অস্ট্রেলিয়ান ফাস্ট বোলার প্যাট কামিন্স বলেছেন, তিনি আর ফিরছেন না এবারের আইপিএলে।

কলকাতা নাইট রাইডার্সের পর রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুও তাদের সবচেয়ে দামি পেসারকে হারাতে পারে। কারণ, নিউজিল্যান্ডের কাইল জেমিসন বলেছেন সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাবেন কি না, এখনো জানেন না তিনি।

এবি ডি ভিলিয়ার্স ও বিরাট কোহলি আছেন, তাই বোলিং নিয়ে বেশি দুশ্চিন্তা বেঙ্গালুরুর।
ছবি: আইপিএল

এ মৌসুমেই কাইল জেমিসনের জন্য ১৫ কোটি রুপি খরচ করেছে বেঙ্গালুরু। দলের হয়ে তেমন আহামরি পারফরম্যান্স না করলেও খেলেছেন সবগুলো ম্যাচেই। জেমিসন থাকায় দলের অন্তত একটি পজিশন নিয়ে ভাবতে হচ্ছে না বিরাট কোহলিকে। এ মৌসুমে অন্যবারের তুলনায় ভালো করছে বেঙ্গালুরু। ৭ ম্যাচের ৫টিতেই জিতে তৃতীয় স্থানে আছে। কিন্তু দলের মূল পেসারকে টুর্নামেন্টের বাকি সময়ে পাবে কি না, এ নিয়ে সন্দেহ জেগেছে।

বর্তমানে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলতে জাতীয় দলের সঙ্গে ইংল্যান্ডে আছেন জেমিসন। ভারতের বিপক্ষে ফাইনালের আগে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও সিরিজ খেলবে নিউজিল্যান্ড। তবে অস্ট্রেলিয়ান ও ইংলিশ অনেক ক্রিকেটার আইপিএলে না–ও থাকতে পারেন, এমন গুঞ্জন ওঠায় জেমিসনকেও এই ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়েছিল। প্রশ্নের জবাবে জেমিসন বলেছেন, ‘সত্যি বলতে আমার কোনো ধারণা নেই। এখনো এ নিয়ে আমরা কোনো কথা বলিনি। আপাতত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট নিয়েই ভাবছি। এরপর ভারতের বিপক্ষে ফাইনাল আছে। এখনো এত দূরের কথা চিন্তা করতে চাই না।’

এর আগে আইপিএল স্থগিত হওয়ার ঘোষণার পর বেশ ঝক্কির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল জেমিসনকে। কিউই অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসনের সঙ্গে দিল্লি থেকে মালদ্বীপে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে যুক্তরাজ্যে হাজির হয়েছেন তাঁরা। সংবাদমাধ্যমে সে সময় নিয়ে বলেছেন, ‘এটা খুব অনন্য এক অভিজ্ঞতা ছিল। এমন কিছুর জন্য আপনি কখনো প্রস্তুত থাকতে পারেন না। আমাদের একদম ওই সময়ই জানানো হয়েছিল। আমাদের আশপাশে বিসিসিআই ও আইপিএলের বেশ কিছু ভালো লোক ছিলেন।’