আইপিএলের মৌসুমে জুয়াড়ি গ্রেপ্তার হচ্ছে ঝাঁকে ঝাঁকে

আইপিএলের মৌসুমে জুয়াড়ি ধরতে মাঠে নেমেছে ভারতীয় পুলিশ।
এএফপি ফাইল ছবি

ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট এমনই। খেলা মাঠে গড়ায় পাতানো খেলার গুঞ্জনও শুরু হয়। আইপিএল কলঙ্কিত হয়েছে বেশ আগেই। ২০১৩ আইপিএলে স্পট ফিক্সিংয়ের কারণে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস ও পুনে ওয়ারিয়র্স। এবারও আইপিএল নিয়ে চলছে গুঞ্জন। এক ক্রিকেটারকে নাকি পাতানো খেলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। খেলা হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে, তবে  ভারতেও জুয়া চলছে আইপিএল নিয়ে। উত্তর প্রদেশে মিরাটে এক হোটেল থেকে জুয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আইপিএলের ম্যাচ নিয়ে জুয়ার সঙ্গে তাঁরা জড়িত। সিভিল লাইনস অঞ্চল থেকে হোটেল ব্যবস্থাপকসহ তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে মিরাটের পুলিশ কর্মকর্তা অখিলেশ নারায়ণ সিং বলেন, ‘আমরা কিছু ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন জব্দ করেছি। সিভিল লাইনস অঞ্চলের এক হোটেল থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইপিএলের ম্যাচে জুয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি, সবকিছু খোঁজ খবর নিয়ে বের করা হবে কারা জড়িত।’

এদিকে বেঙ্গালুরুতেও আইপিএলের ম্যাচ নিয়ে বাজি ও জুয়ার অভিযোগ চারজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে তাদের কাছ থেকে নগদ ৪.৯১ লাখ রুপি জব্দ করা হয়। বেঙ্গালুরু পুলিশের যুগ্ম কমিশনার সন্দ্বীপ পাতিল টুইটে জানান, অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমে অভিযুক্তরা আইপিএল নিয়ে জুয়ার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল। ভারতে যে কোনো ধরনের জুয়া নিষিদ্ধ। গত আইপিএলে ভারতে জুয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক শ-র বেশি গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এবার আইপিএলে জৈব সুরক্ষিত পরিবেশের মধ্যেও এক ক্রিকেটার পাতানো খেলার প্রস্তাব পেয়েছেন। জৈব সুরক্ষিত পরিবেশের মধ্যে বাইরের কারও পা রাখা ভীষণ কঠিন। সেই ক্রিকেটার এ ঘটনা জানানোর পর বিশেষ সতর্কাবস্থা জারি করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) দুর্নীতি দমন ইউনিট (এসিইউ)। বিসিসিআইয়ের দুর্নীতি দমন ইউনিটের প্রধান অজিত সিং পিটিআইকে বলেছেন, ‘হ্যাঁ (একজন খেলোয়াড় প্রস্তাব পাওয়ার কথা জানিয়েছেন)।’ প্রস্তাব দেওয়া ব্যক্তিকে ধরার চেষ্টার ব্যাপারে তিনি জানান, ‘আমরা অনুসরণ করছি। সময় লাগবে।’

দুর্নীতি দমন নীতির অংশ হিসেবে পাতানো খেলার প্রস্তাব পাওয়া খেলোয়াড় এবং তিনি কোন দলের তা গোপন রাখা হয়। কাজগুলো করা হয় গোপনীয়তার ভিত্তিতে। খেলোয়াড়েরা জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থাকায় দুর্নীতি দমন ইউনিটের গোয়েন্দারা অনলাইনে ম্যাচ পাতানো বন্ধে বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন। খেলোয়াড়েরাও অনলাইনে থাকায়, বিশেষ করে অপেক্ষাকৃত তরুণদের এ ফাঁদে পড়ার সম্ভাবনা বেশি। ভক্ত সেজে অনেক জুয়াড়ি খেলোয়াড়দের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে কাজগুলো করে থাকেন। বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা জানান, দেশি-বিদেশি সব খেলোয়াড় একের অধিক সংখ্যকবার দুর্নীতি দমন-সংক্রান্ত পাঠক্রমে অংশ নিয়েছেন।