আইপিএলের শুরুতেই দুর্ভাগা মোস্তাফিজ, খরুচে মোস্তাফিজ

প্রথম ওভারেই এলবিডব্লুর আবেদন করেন মোস্তাফিজ।ছবি: আইপিএল

৭ দিনের কোয়ারেন্টিনের পর একদিনের অনুশীলন। এর পরের দিনই ম্যাচ খেলতে নামলেন মোস্তাফিজুর রহমান। আইপিএলে নতুন দল রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে মৌসুমের প্রথম ম্যাচেই আজ অভিষেক হলো বাংলাদেশি বাঁহাতি পেসারের।

কিন্তু অভিষেকটা কি ভালো হলো? মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে মোস্তাফিজ রান দিয়েছেন অনেক, উইকেটও পাননি। ঠিকমতো রিভিউ নিলে আর ফিল্ডাররা ভুল না করলে গোলাপি জার্সিতে মোস্তাফিজের অভিষেকটা অন্যরকম হতে পারত। শেষ পর্যন্ত ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়েছেন মোস্তাফিজ। টসে হেরে আগে ব্যাট করা পাঞ্জাব ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে করেছে ২২১ রান।

নিজের স্পেলের শুরুতেই উইকেট পেতে পারতেন মোস্তাফিজ। নিজের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই মোস্তাফিজের ইনসুইং মেশানো বল আঘাত করে পাঞ্জাব ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়ালের প্যাডে। এলবিডব্লুর আবেদন করেও অবশ্য আম্পায়ারের সাড়া পাননি মোস্তাফিজ ও রয়্যালস ফিল্ডাররা। অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন ভেবেছিলেন বল যাবে স্টাম্পের ওপর দিয়ে। মোস্তাফিজ ভেবেছিলেন বল বেশি সুইং করে লেগ স্টাম্প ছাড়িয়ে যাবে। তাই রিভিউ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রয়্যালস। কিন্তু টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, রিভিউ নিলে আউট হতেন আগারওয়াল। সেই ওভারে ১১ রান খরচা করেন মোস্তাফিজ।

‘ফিজে’র পরের ওভারে এসে ক্রিস গেইল একটি বাউন্ডারি হাঁকান। বাকি বলে এক-দুই রান মিলিয়ে সেই ওভারে ৮ রান দেন মোস্তাফিজ।

পাওয়ার প্লে-তে দুই ওভার করার পর আবার ১৫তম ওভারে বোলিংয়ে আসেন মোস্তাফিজ। এবার তাঁর দুর্ভাগ্যের পালা। সেই ওভারেও সুযোগ ছিল উইকেট নেওয়ার। এবার ভুল করেন ফিল্ডার জস বাটলার ও বেন স্টোকস।

মোস্তাফিজের বলে ক্যাচ মিস করেন বাটলার।
ছবি: আইপিএল

মোস্তাফিজের কাটারে ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ তোলেন বিধ্বংসী হয়ে ওঠা দীপক হুদা। কিন্তু দুই ফিল্ডারের ভুলে ক্যাচ হাতছাড়া হয়। তখন হুদার রান ছিল ১৫ বলে ৩৯ রানে। মোস্তাফিজের বলে সুযোগ পাওয়ার পর ২৮ বলে ৬৪ রানের ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে মাঠ ছাড়েন এই ভারতীয় ব্যাটসম্যান।

মোস্তাফিজ তাঁর সবচেয়ে বাজে ওভারটি করেন ১৯তম ওভারে এসে। দুই বাউন্ডারিতে ১৫ রান খরচা করেন।

রাহুল ও হুদা দারুণ ব্যাটিং করেছেন।
ছবি: আইপিএল

রাজস্থানের বাকি বোলাররাও ছিলেন মোস্তাফিজের মতোই খরুচে। মূল বোলারদের প্রত্যেকেই রান দিয়েছেন ওভারপ্রতি দশের বেশি করে। পাঞ্জাব অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের ব্যাট থেকে আসে ৫০ বলে ৯১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। ৭টি চার ও ৫টি ছক্কায় সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। মাঝের ওভারগুলোতে ক্রিস গেইলের ৪০ ও হুদার ৬৪ রান পাঞ্জাবকে পৌঁছে দেয় রানের পাহাড়ে।