আইসিসির দশকসেরা পুরস্কারে জয়জয়কার কোহলির
গত এক দশকের ক্রিকেট মানেই বিরাট কোহলির জয়জয়কার। আইসিসির দশকসেরা ক্রিকেটারের (ছেলে) পুরস্কারটা তাই অন্য কারও হাতে ওঠেনি।
আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে ভারতীয় অধিনায়ককে দশকসেরা ক্রিকেটার (স্যার গারফিল্ড সোবার্স পুরস্কার) হিসেবে ঘোষণা করেছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক এই সংস্থা।
শুধু তা–ই নয়, আইসিসির এই দশকসেরা পুরস্কারের তালিকায়ও জয়জয়কার কোহলির।
ওয়ানডেতে ছেলেদের দশকসেরা পুরস্কারও উঠেছে কোহলির হাতে। আইসিসির এই পুরস্কারে ২০১১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এ বছরের ৭ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বিবেচনা করা হয়েছে।
টেস্ট ও ওয়ানডে মিলিয়ে কোহলির মোট ৭০টি সেঞ্চুরির মধ্যে ৬০ সেঞ্চুরি দেখা গেছে আইসিসির বিবেচিত সময়ে।
এ সময়ে ৭০-এর বেশি ইনিংস খেলেছেন, এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে কোহলির ফিফটি (৯৪), রানসংখ্যা (২০৩৯৬) ও ব্যাটিং গড়ও (৫৬.৯৭) অন্য যেকারও চেয়ে বেশি।
ছেলেদের দশকসেরা টেস্ট ক্রিকেটার হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার স্টিভেন স্মিথ। এ সময় ৬৯ টেস্টে ৭০৪০ রান করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এ অধিনায়ক।
টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৩ বছরের ইতিহাসে শুধু স্যার ডন ব্র্যাডম্যানই র্যাঙ্কিংয়ে স্মিথের চেয়ে বেশি পয়েন্ট পেয়েছেন। লেগ স্পিনার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করা স্মিথ নিজেকে অবিশ্বাস্যভাবে পাল্টে পরিণত করেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে।
আইসিসির দশকসেরা পুরস্কারে কোহলির আধিপত্যের এখানেই শেষ নয়। টেস্টে দশকসেরা দলের অধিনায়ক হিসেবে কোহলিকে বেছে নিয়েছে আইসিসি।
দশকসেরা টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে দলের অধিনায়ক ভারতের সাবেক ক্রিকেটার মহেন্দ্র সিং ধোনি। দশকসেরা টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড়ের পুরস্কার উঠেছে আফগানিস্তানের তারকা লেগ স্পিনার রশিদ খানের হাতে।
এ সময় ৪৮ ম্যাচ খেলে ১২.৬২ গড়ে ৮৯ উইকেট পেয়েছেন রশিদ। স্ট্রাইকরেট ১২.৩।
কোহলিই একমাত্র ক্রিকেটার, যিনি দশকসেরা ওয়ানডে, টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছিলেন।
আইসিসির ভিডিওতে নিজের এই অর্জন নিয়ে কথাও বলেছেন কোহলি। জানিয়েছেন, এ সময়ে তাঁর সেরা অর্জন, ২০১১ বিশ্বকাপ জয়, ২০১৩ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয় এবং ২০১৮-১৯ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়।
চলতি অস্ট্রেলিয়া সিরিজে প্রথম টেস্টটি খেলে দেশে ফিরেছেন কোহলি। প্রথম সন্তানের মুখ দেখতে স্ত্রী আনুশকা শর্মার পাশে রয়েছেন তিনি।