আউটের জন্য মাহমুদউল্লাহর মাটিতে গড়াগড়ি

অলক কাপালিকে (ছবিতে নেই) আউট করার জন্য গাজী গ্রুপের জোরালো আবেদন।ছবি: প্রথম আলো

ম্যাচের ১৫.৫ ওভারের ঘটনা। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সুপার লিগের খেলায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে জিততে ২৫ বলে প্রাইম ব্যাংকের দরকার ৩৮ রান, হাতে ৪ উইকেট। প্রাইম ব্যাংকের ব্যাটসম্যান অলক কাপালিকে করা বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদের বলটি খুব বেশি টার্ন না করলেও বাউন্স করেছিল যথেষ্ট। বলটি অলকের ব্যাটের পাশ ঘেঁষে যায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের উইকেটকিপার আকবর আলীর গ্লাভসে।

আবেদনে লাভ হলো না।
ছবি: প্রথম আলো

এরপর আকবরের সঙ্গে স্লিপে থাকা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর সে কী আবেদন! একটু দেরিতে হলেও কট বিহাইন্ডের আবেদনে যোগ দেন নাসুম। কাভার থেকে তিন সতীর্থের সঙ্গে যোগ দেন আরিফুল হক, মিড উইকেট থেকে আসেন জাকির হাসান। সবাই হাঁটু গেঁড়ে হাত উঁচিয়ে তাকিয়ে আম্পায়ার মাহফুজুর রহমানের দিকে। কিন্তু আম্পায়ার অনড়। আবেদন নাকচ করে দেন তিনি। দীর্ঘ ও জোরালো আবেদনেও তাঁর সিদ্ধান্ত পাল্টায়নি।

হতাশ মাহমুদউল্লাহ।
ছবি: প্রথম আলো

এরপর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ যা করলেন, তা অনেকটা শিশুসুলভ। আবেদন থামিয়ে পাশের উইকেটে ক্ষোভে দুবার ঘুষি দিলেন, গড়াগড়ি খেলেন। সিদ্ধান্তটা যেন কোনোভাবেই মানতে পারছিলেন না মাহমুদউল্লাহ। স্লিপ থেকে থার্ড ম্যাচে গিয়ে মাথায় হাত দিয়ে বসে রইলেন কিছুক্ষণ। আম্পায়ার খেলা চালানোর জন্য বলছিলেন। কিন্তু তাঁর কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। কিছুক্ষণ মাহমুদউল্লাহ উঠে দাঁড়ালে খেলা শুরু হয়।

বল হাতেও দারুণ করেছেন অলক।
ছবি: প্রথম আলো

যে অলককে আউট করতে গাজী গ্রুপের এত আবেদন, সেই অলকই শেষ পর্যন্ত ১৫ বলে ২১ রান করে ম্যাচ বের করে নিয়েছেন। অলকের ২ চার ও ১ ছক্কায় সাজানো ছোট্ট ইনিংসে গাজী গ্রুপের দেওয়া ১২৬ রানের লক্ষ্য ছাড়িয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। এর আগে বল হাতে অলক ৪ ওভারে ১৬ রানে পেয়েছেন ৩ উইকেট। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে অলকের হাতে উঠেছে ম্যাচসেরার পুরস্কার।