আকরামের বয়স বেড়েছে, কিন্তু সেই ইয়র্কার থেকে গেছে

ওয়াসিম আকরামের ভয়ংকর ইনসুইং ইয়র্কারগুলো নিশ্চয়ই এখনো বুকে কাঁপন ধরায় আশি–নব্বইয়ের দশকের ব্যাটসম্যানদের। দৌড়ে এসে পায়ের পাতা লক্ষ্য করে করা সে বলগুলো স্মৃতিতে ভাস্বর ক্রিকেটপ্রেমীদেরও।

‘সুলতান অব সুইং’ ক্রিকেটে সর্বকালের সেরাদের একজন। টেস্টে ৪১৪ আর ওয়ানডেতে ৫০২ উইকেট তাঁর শ্রেষ্ঠত্বের পরিসংখ্যানিক নমুনা। বল দুই দিকেই সুইং করাতে পারতেন; তাঁর মুখোমুখি হওয়া অনেক ব্যাটসম্যানই বলতেন, এক ওভারের ছয়টি বল ছয়ভাবে করতেন পাকিস্তানের সাবেক এই বাঁহাতি পেসার। ১৯ বছর হলো খেলা ছেড়েছেন। কিন্তু বলের ধার যে এখনো অটুট, তার প্রমাণ রাখলেন আবারও। এক চ্যারিটি ম্যাচে তিনি কয়েক পা হেঁটে এসে ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইক আথারটনকে যেভাবে ইনসুইঙ্গিং ইয়র্কারে বোল্ড করলেন, তাতে ক্রিকেটপ্রেমীরা স্মৃতিকাতর হয়ে উঠতেই পারেন।

ম্যাচটি ছিল ‘ওয়েলবিং অব ওমেন সেলেব্রিটি’ চ্যারিটি ম্যাচ। অস্ট্রেলিয়ার প্রয়াত কিংবদন্তি শেন ওয়ার্নকেও স্মরণ করা হয় এ ম্যাচে। ম্যানচেস্টারে আয়োজিত এ ম্যাচে ওয়াসিম আকরাম, মাইক আথারটন ছাড়াও ছিলেন ব্রায়ান লারা, ইয়ান বেল, মন্টি পানেসার, নিল জনসন, শার্লট এডওয়ার্ডস, মার্ক নিকোলাস ও রাজস্থান রয়্যালসের অন্যতম স্বত্বাধিকারী মনোজ বাদালে। আম্পায়ারের ভূমিকায় ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দুটি বিশ্বকাপ জেতানো কিংবদন্তি অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড।

নব্বই দশকে ত্রাস ছড়িয়েছেন ওয়াসিম আকরাম। ছবি: টুইটার

ওয়াসিম আকরামের বলে ক্যারিয়ারে মোট ছয়বার আউট হয়েছেন মাইক আথারটন। এর মধ্যে টেস্টে চারবার, ওয়ানডেতে দুবার। টেস্টে বোল্ড হয়েছেন একবার, ওয়ানডেতে একবার। ১৯৯২ সালে ওল্ড ট্রাফোর্ড টেস্টে তিনি প্রথম আকরামের বলে আউট হন। যদিও সেটি ছিল কট বিহাইন্ড। উইকেটের পেছনে তাঁর ক্যাচ নিয়েছিলেন মঈন খান। প্রথম বোল্ড হন ৯২ সালেই হেডিংলি টেস্টে। এলবিডব্লু হয়েছেন ১৯৯৬ সালে লর্ডস টেস্টে। ওই একই সিরিজে হেডিংলিতে তিনি মঈন খানের হাতে ক্যাচ হয়েছিলেন আকরামের বলে। ওয়ানডেতে ওল্ড ট্রাফোর্ডে বোল্ড হয়েছিলেন ১৯৯৬ সালে। সেই সিরিজেই শহীদ নাজিরের হাতে ক্যাচ দিয়ে আকরামের বলে আরেকবার আউট হয়েছিলেন আথারটন।

কাল চ্যারিটি ম্যাচে আথারটনকে বোল্ড করে নিজের টুইটারে মজা করেছেন ওয়াসিম আকরাম নিজেই, ‘দুঃখিত আথারটন! আমাদের হয়তো বয়স হয়ে গেছে। কিন্তু কিছু জিনিস আমাদের মধ্যে এখনো রয়ে গেছে।’