আনুশকার পাশে থাকতে কোহলিকে ছুটি দিচ্ছে ভারত

পিতৃত্বকালীন ছুটি পাচ্ছেন কোহলি।ছবি: আইপিএল

বিরাট কোহলি বেশ বিপাকেই পড়েছিলেন। দুই বছর পর অস্ট্রেলিয়া সফরে যাচ্ছে ভারত। বেশ লম্বা এই সফরে টি-টোয়েন্টি, ওয়ানডে ও টেস্ট—তিন ফরম্যাটেই খেলতে নামবেন কোহলিরা। নভেম্বরে শুরু হওয়া এ সিরিজ শেষ হবে জানুয়ারির শেষ দিকে। কিন্তু প্রথমবারের মতো বাবা হওয়ার অপেক্ষায় থাকা কোহলির খুশির খবরটা এর মধ্যেই আসার কথা। সবকিছু ঠিক থাকলে জানুয়ারির শুরুতেই প্রথমবারের মতো বাবা হওয়ার আনন্দে ভাসবেন কোহলি।

একদিকে জাতীয় দলের দায়িত্ব, অন্যদিকে ব্যক্তিগত জীবনের মহাগুরুত্বপূর্ণ এক মুহূর্ত। কোহলির জন্য সমস্যা হয়ে উঠেছিল সফরের সময়টা। কারণ, বর্তমানে করোনার এ সময়ে চাইলেই দেশে ফিরে আবার সফরে ফেরা বেশ ঝামেলার ব্যাপার। তাঁকে এ দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। সফরের মাঝপথেই তাঁকে ফেরার সুযোগ করে দিয়েছে বোর্ড, যেন কাঙ্ক্ষিত সময়ে স্ত্রী আনুশকা শর্মার পাশে থাকতে পারেন।

আজ সোমবার বিসিসিআই জানিয়েছে, আগামী ডিসেম্বরে টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচের পরই অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরবেন কোহলি। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে এক মেইলে বোর্ড জানিয়েছে, ‘গত ২৬ অক্টোবর নির্বাচক কমিটির আলোচনায় কোহলি বোর্ডকে জানিয়েছেন, অ্যাডিলেড টেস্টের পর ফেরার ইচ্ছা তাঁর। বোর্ড আজ ভারত অধিনায়ককে পিতৃত্বকালীন ছুটি দিতে রাজি হয়েছে। অ্যাডিলেডের প্রথম টেস্ট শেষেই অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরবেন কোহলি।’

তিন ওয়ানডে ও তিন টি-টোয়েন্টি শেষে আগামী ১৭ ডিসেম্বর চার টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচটি খেলবে ভারত। সে টেস্টে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার পরই ছুটি মিলবে। ২৬ ডিসেম্বর বক্সিং ডে টেস্টে নেতৃত্ব ভারটা সহ-অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানের কাঁধেই পড়বে। সাধারণ সময় হলে হয়তো ৭ ও ১৫ জানুয়ারির টেস্টে কোহলিই নেতৃত্ব দিতেন। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে কোহলিকে আবার ফিরে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছে বোর্ড।

প্রথম সন্তানের অপেক্ষায় আছেন দুজন।
ছবি: ইনস্টাগ্রাম

এ ব্যাপারে গতকাল এক বোর্ড কর্মকর্তা পিটিআইকে তাঁদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘বোর্ড সব সময়ই পরিবারকে প্রাধান্য দিয়েছে। যদি অধিনায়ক পিতৃত্বকালীন ছুটি নিতে চান, তাহলে প্রথম দুই টেস্টেই শুধু তাঁকে পাওয়া যেতে পারে। সাধারণ সময়ে তাঁর বাচ্চার জন্ম উপলক্ষে উড়াল দিতে গিয়ে একটি টেস্ট মিস করেই আবার ফিরতে পারতেন। কিন্তু ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনের নিয়ম যদি আবার মানতে হয়, তাহলে গিয়ে আবার ফেরা খুব কঠিন।’