আফগানিস্তানকে বাংলাদেশের পাশে বসাল আয়ারল্যান্ড

ব্যাটিংয়ে নেমেও রান পেয়েছেন রশিদ খানছবি: টুইটার

ওয়ানডেতে ২৫০ কিংবা তার চেয়ে ১০–১৫ রান বেশি হলে একসময় জেতা খুব কঠিন ছিল। খেলা ও ব্যাটিংয়ের ধরন বদলে যাওয়ায় এখন লক্ষ্যটা মোটেই খুব কঠিন নয়। তবে প্রতিপক্ষ দলে রশিদ খানের মতো স্পিনার থাকলে এই মারমুখী ক্রিকেটের যুগেও লক্ষ্যটা কঠিন হয়ে ওঠে।

আফগান লেগ স্পিনারের ১০ ওভার পারতপক্ষে সবাই একটু দেখে খেলার চেষ্টা করেন। আয়ারল্যান্ড আজ ঠিক এ কাজই করতে গিয়ে হেরে বসল।

আবুধাবিতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে আইরিশদের ৩৬ রানে হারিয়ে ৩–০ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে আফগানিস্তান। ওয়ানডেতে এই প্রথম কোনো সিরিজে প্রতিপক্ষকে ধবলধোলাই করল আফগানরা।

আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৬৬ রান তুলেছিল তারা। ব্যাট হাতে ৪০ বলে ৪৮ রান করেন রশিদ। তাড়া করতে নেমে পল স্টার্লিং উইকেটে থাকা পর্যন্ত জয়ের পথেই ছিল আয়ারল্যান্ড। ১১৮ রান করা স্টার্লিং ৩৬.১ ওভারে যখন আউট হলেন, আইরিশদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৮৭।

অর্থাৎ জয়ের জন্য ৮৩ বলে দরকার ছিল ৮০ রান। আয়ারল্যান্ড এখান থেকে পুরো ৫০ ওভারও খেলতে পারেনি। ৪৭.১ ওভারে ২৩০ রানে অলআউট।

আইরিশদের এই হারে আইসিসি বিশ্বকাপ সুপার লিগের পয়েন্ট তালিকায় বাংলাদেশকে ছুঁয়ে ফেলল আফগানিস্তান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ জিতে মোট ৩০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে বাংলাদেশ।

আইরিশদের বিপক্ষে তিন ম্যাচ জেতা আফগানদের পয়েন্টও সমান ৩০। ৩০ পয়েন্ট ৬ ম্যাচ খেলা ইংল্যান্ডেরও। কিন্তু আফগানদের (‍+০.৫২৭) তুলনায় রানরেটে এগিয়ে শীর্ষস্থানীয় অস্ট্রেলিয়ার পরই অবস্থান বাংলাদেশের (‍+১.৮৯৩)।

নেট রানরেটের হিসাবে আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে ইংল্যান্ডও। প্রতি জয়ের জন্য ১০ পয়েন্ট হিসাবে ৬ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া। দুটি ম্যাচ হেরেছে অস্ট্রেলিয়া।

অথচ আইরিশরা রান তাড়ায় শেষ দিকে ভেঙে না পড়লে বাংলাদেশের ধারেকাছেও আসতে পারত না আফগানিস্তান। ৪৩ রানে শেষ ৫ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড।

স্টার্লিং ছাড়া আর কেউ সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি। ৯ ওভারে ২৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন দুর্দান্ত বল করা রশিদ খান। দলের বোলারদের মধ্যে তাঁর কাছ থেকে ওভারপ্রতি গড়ে সবচেয়ে কম (৩.২২) রান তুলতে পেরেছে আয়ারল্যান্ড। ২ উইকেট আরেক স্পিনার মুজিব উর রেহমানের।

৪৭তম ওভারের শুরুতেও ৭ উইকেটে ২২৬ রান ছিল আইরিশদের। ওই ওভারের শেষ দুই বলে দুই উইকেট তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিলেন রশিদ খান।

পরের ওভারে প্রথম বলে নাভিন–উল–হক শেষ উইকেট তুলে নেন। কে জানে, রশিদের করা আগের ওভারে আরও এক বল থাকলে হয়তো হ্যাটট্রিকই হয়ে যেত!