আফগানিস্তানে ক্রিকেট দলের মালিকই নেমে গেলেন খেলতে

সাধারণত পাড়ার ক্রিকেটে এমনটা দেখা যায়! নিজের ব্যাট থাকলে আগে ব্যাটিং বা বলের মালিক হলে আগে বোলিং করার ইচ্ছে জাগে। ফুটবল হলে তো আরও বেশি দাপট! অধিনায়ক না হলে খেলার সাধ্য নেই অন্য কারও। এলাকার ‘দাদা’ হলে তো ব্যাটিং-বোলিং সবকিছুই আগে হওয়া চায়। কিন্তু দলের মালিক হলে?

টাকা দিয়ে দল গড়তে পারলে নিজের খেলতে দোষ কী! এমনটাই হয়তো ভেবেছিলেন আবদুল লতিফ আইয়ুবী। আফগানিস্তানের ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের আইয়ুবী কাবুল ইগলসের মালিক ৪০ বছর বয়সী লতিফ। নিজের নামে দলের নাম রেখেই ক্ষান্ত হননি, মাঠে নেমে গিয়েছিলেন নিজেই। কিন্তু দলের খেলোয়াড় ও স্টাফদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করার জন্য নিষিদ্ধ হতে হয়েছে তাঁকে।

সাধারণত টাকা পয়সা খরচ করে ভালো দল গঠন করার চেষ্টা করেন মালিকেরা। দল গঠন শেষে টুর্নামেন্ট শুরু হলে দল মাঠে নামিয়ে দিয়ে ভিআইপি গ্যালারিতে বসেই হই হুল্লোড় করতে দেখা যায় তাঁদের। কিন্তু খেলোয়াড় হিসেবে মাঠে নেমে লতিফ সেখানে হয়ে গেলেন ব্যতিক্রম। তবে শুধু মাঠে নেমেই ক্ষান্ত হননি। এক ওভার বোলিংও করেছেন। শেষ পর্যন্ত তাঁর দলও পেয়েছে জয়। যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি স্পাগিজা লিগে ১৩ সেপ্টেম্বর দেখা গিয়েছে বিরল এই দৃশ্যটি। মজার ব্যাপার এর পর গতকাল টুর্নামেন্ট জিতেছেও তাঁর দল।

মাঠে আর না নামতে পারলেও শিরোপা ঠিকই বুঝে নিয়েছেন আবদুল লতিফ আইয়ুবী (নীল কাবলি পরিহিত)।
ছবি: আইয়ুবী কাবুল ইগলস

সেদিন লতিফের দলের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ১৪২ রান তোলে স্পিন ঘার টাইগার্স। সে ম্যাচে মিডিয়াম পেস বল করে লতিফ এক ওভারে রান দিয়েছেন ১৬। জবাবে ২.১ ওভার হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নেয় লতিফের দল। তবে ম্যাচের পর দিন দুঃসংবাদ শুনতে হয়েছে লতিফকে। অসদাচরণ, খেলোয়াড়দের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং গালিগালাজ করায় তাঁকে টুর্নামেন্ট থেকে পরদিনই নিষিদ্ধ করেছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।

লতিফ অবশ্য ভাবতে পারেন, টুর্নামেন্টে আর খেলতে না পারলেই-বা কী আসে যায়। একদিন মাঠে নেমেই তো পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে ক্রিকেটের পরিসংখ্যানে জায়গা হয়ে গেছে। ক্রিকেটার হিসেবে তাঁকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হচ্ছে ক্রিকইনফোর মতো ওয়েবসাইট। আর দলের শিরোপাটা তো বাড়তি পাওনাই!