আফ্রিদির ব্যাটিং দেখার জন্য...

পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদিছবি: টুইটার

পছন্দের খেলোয়াড় যেন তাড়াতাড়ি ব্যাট করতে নামেন, এই আশায় নিজের দলের উইকেট পড়ার প্রার্থনা করছেন দর্শকেরা, এমনটা শুনেছেন কখনো?

এমন কিছু যদি শোনেন তাহলে অবাক হবেন না। এমন আজগুবি কাজ খোদ পাকিস্তানিরাই করেছেন। অদ্ভুত ঘটনাটি শুনিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমানে দলটার ব্যাটিং কোচের দায়িত্বে থাকা ইউনিস খান। জানিয়েছেন, শহীদ আফ্রিদি যেন তাড়াতাড়ি ব্যাট করতে নামেন, সে জন্য চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে এক টেস্ট ম্যাচে ইউনিস খানের আউট হওয়ার প্রার্থনা শুরু করেছিলেন পাকিস্তানি দর্শকেরা! সেদিন বলে দর্শকেরা ভারতের পক্ষে গলা ফাটাচ্ছিলেন—দ্রুতই যেন ভারতীয় বোলাররা ইউনিস খানকে ফেরাতে পারেন।

আফ্রিদির ব্যাটিং দেখতে ইউনিস খানের আউট হওয়া দেখতে চেয়েছিল দর্শকেরা।
ছবি: এএফপি

হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউনিস বলেন, ‘মোহাম্মদ ইউসুফ তখন ১৭০ রানে ব্যাট করছিল। আমি ছিলাম ১৫০ রানে। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ। হঠাৎ দেখলাম দর্শকেরা গলা ফাটানো শুরু করল, “দয়া করে ইউনিস বা ইউসুফকে আউট করো!”’

প্রথমে অবাক হলেও পরে ইউনিস বুঝতে পারলেন কেন নিজের দেশের মানুষ অমন করছিলেন, ‘আমি আশ্চর্য হচ্ছিলাম এটা ভেবে যে আমি ডাবল সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি অথচ কারোর এটা নিয়ে কোনো ভ্রুক্ষেপই নেই। তারা আসলে ক্রিজে শহীদ আফ্রিদিকে চাচ্ছিল।’

অদ্ভুত এক গল্পই বললেন ইউনিস খান।
ছবি: এএফপি

তবে কোন ম্যাচে নিজেদের দর্শকেরা অমন বিচিত্র আচরণ করছিলেন সেটা জানাতে রাজি হননি ইউনিস। রেকর্ড বলছে, ২০০৬ সালের লাহোর টেস্টে ইউনিস ও ইউসুফ দুজন বড় স্কোর গড়েছিলেন, সেঞ্চুরি করেছিলেন। পরে আফ্রিদি মাঠে নামেন, নেমে তিনিও ঝোড়ো সেঞ্চুরি হাঁকান। ১০৩ রান করেন ৮০ বল খেলে, যাতে ছিল সাতটা ছক্কার মার। কিন্তু ইউনিস আরেক দফা আশ্চর্য হয়ে লক্ষ করেন, আফ্রিদি আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্টেডিয়াম ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে, ‘ইউসুফ আউট হওয়ার পর আফ্রিদি ক্রিজে এল। এদিক-ওদিকে কয়েকটা ছক্কা মেরে আউট হয়ে গেল। আশ্চর্যজনকভাবে ওর আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দর্শকেরাও চলে যাওয়া শুরু করল। তাদের ততক্ষণে পয়সা উসুল। কিন্তু আমার যে এদিকে ডাবল সেঞ্চুরি হয়ে যাচ্ছিল সে দিকে কেউ পাত্তা দিচ্ছিল না!’