‘আমি ভাগ্যে বিশ্বাস করি’—অধিনায়কত্ব নিয়ে মাহমুদউল্লাহ

বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহফাইল ছবি: প্রথম আলো

তামিম ইকবালের ফেরা চোটের কারণে বিলম্বিত হচ্ছে। মুশফিকুর রহিম ‘বাদ’ না ‘বিশ্রাম’—বিতর্ক আছে সেটা নিয়েও। সাকিব আল হাসান ক্যারিয়ারে চলে এসেছেন ‘বেছে বেছে’ খেলার পর্যায়ে।

টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাজে পারফরম্যান্সের পর বাদ দেওয়া হয়েছে লিটন দাস, সৌম্য সরকারকেও। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাহমুদউল্লাহ তাই সে অর্থে অভিজ্ঞ হিসেবে পাবেন শুধু মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদকেই।

তবে এ সংস্করণে তিনি কত দিন খেলবেন বা অধিনায়কত্বের ভবিষ্যত কী—এমন কিছু নিয়ে আপাতত ভাবছেন না বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। পাকিস্তান সিরিজের দিকেই নজর দিতে চান তিনি।

এর আগে টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব করলেও দীর্ঘ মেয়াদে এ সংস্করণে মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বের শুরুটা হয়েছিল ২০১৯ সালে, আইসিসি থেকে সাকিব আল হাসানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আসার পর।

এই মেয়াদে এখন পর্যন্ত ৩০টি টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশ এর মধ্যে জিতেছে ১৪টি ম্যাচ, আছে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়। তবে এ দুই সিরিজের উইকেট নিয়েই আছে প্রশ্ন—আদতে টি-টোয়েন্টির জন্য কতটা উপযুক্ত ছিল সেগুলো। টানা দুটি সিরিজ জয়ের ‘আত্মবিশ্বাস’ নিয়ে বিশ্বকাপে গেলেও ভরাডুবিই হয়েছে বাংলাদেশের।

পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে নির্বাচকেরা ডেকেছেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা চারজনকে, সব মিলিয়ে বিশ্বকাপের দল থেকে এসেছে ছয় পরিবর্তন।

কাল পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। অনুশীলনের একটি মুহূর্ত
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

এ সিরিজের প্রথম ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক হিসেবে নিজের ভবিষ্যত নিয়ে মাহমুদউল্লাহ বললেন, ‘এ নিয়ে আমার কোনো চিন্তা নেই, আলহামদুলিল্লাহ। আমি ভাগ্যে বিশ্বাস করি। আল্লাহ যা করেন, ভালোর জন্য করেন। এটা পুরোপুরি টিম ম্যানেজমেন্ট বা বোর্ডের কাছে। এটা নিয়ে খুব একটা চিন্তিতও না আমি। তারা আমাকে যোগ্য মনে করলেই অধিনায়কত্ব চালিয়ে যাব। এ মুহূর্তে শুধু এ সিরিজ নিয়ে ভাবছি।’

মুশফিকের টি-টোয়েন্টি দলে না থাকা নিয়েও সরাসরি কিছু বলেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। এ সংস্করণে নিজের ক্যারিয়ারের কতটা বাকি, এমন প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘প্রথমত আমার মনে হয়, এই অবস্থায় কোনো মন্তব্য না কারাটাই ভালো। সুস্থ থাকলে আরও কয়েক বছর খেলার সুযোগ পাব ইনশা আল্লাহ। এ বিষয়গুলো নিয়ে আসলে চিন্তা করিনি সেভাবে।’

তবে নতুন বা পুরোনো—আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চাপের কথাটা আরেকবার মনে করিয়েছেন তিনি, ‘বাংলাদেশের হয়ে খেললে সব সময়ই চ্যালেঞ্জ থাকবে, চাপ থাকবে—অভিজ্ঞ খেলোয়াড় বা নতুন সবার জন্যই। সেসব মেনে নিয়েই খেলতে হবে। আর এগুলো নিয়ে বেশি চিন্তা না করে নিজের কাজের বিষয়টা ঠিক রাখতে হবে।’

টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ
ছবি: বিসিবি

মোটামুটি নতুন একটা দল নিয়ে বিশ্বকাপে দারুণ পারফরম্যান্স করা পাকিস্তানের সামনে চ্যালেঞ্জটা বেশ বড়ই হবে, সেটা অবশ্য সরাসরিই বলেছেন মাহমুদউল্লাহ, ‘তরুণ দল নিয়ে কিছুটা চ্যালেঞ্জের তো হবেই। এমনিতেই চ্যালেঞ্জিং একটা সিরিজ হবে। পাকিস্তান এ মুহূর্তের অন্যতম সেরা দল। তবে চাপের কিছু নেই এতে। আমি বিশ্বাস করি, টি-টোয়েন্টি সংস্করণের নিজের সামর্থ্যের প্রয়োগ ঠিকঠাক করতে পারলে ভালো কিছু সম্ভব। সেদিক থেকে দলের ওপর ভরসা আছে। তবে তিন বিভাগেই অনেক সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, পাকিস্তানের দারুণ কিছু বোলার, ব্যাটসম্যান আছে। প্রথম বল থেকেই নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে হবে।’