আমিরাতের জন্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়লেন ভারতীয় ও পাকিস্তানি

দারুণ ব্যাটিংয়ে জয় তুলে নেয় আরব আমিরাতছবি: টুইটার

আইসিসির পূর্ণ সদস্য কোনো দেশের বিপক্ষে ২০১৮ সালে প্রথম জয়ের মুখ দেখেছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত। কাল রাতে এমন আরও এক জয় দেখল মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।

আবুধাবিতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে আয়ারল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে আরব আমিরাত। আর এই জয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভূমিকা রেখেছেন ভারতীয় ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভুত দুই ক্রিকেটার।

অন্য দেশে জন্ম নেওয়া ভালো ক্রিকেটারকে দলে টানার প্রথাটা টেস্ট খেলুড়ে দেশের মধ্যেও আছে। আইসিসির সহযোগী সদস্যদেশগুলো একই পথে হেঁটে উঠে আসার চেষ্টা করছে।

আরব আমিরাত তো ক্রিকেটে তা–ও বেশ পরিচিত দল, যুক্তরাষ্ট্র কিংবা কানাডার ক্রিকেটেও এমন নজির দেখা যায়। সে যা-ই হোক, কালকের ম্যাচটি ছিল তিন সেঞ্চুরির।

আগে ব্যাট করা আয়ারল্যান্ড পল স্টার্লিংয়ের অপরাজিত ১৩১ রানে ভর করে ৫ উইকেটে ২৬৯ রান তুলেছিল। ৬ বল হাতে রেখে আরব আমিরাত ম্যাচটি জিতেছে সিপি রিজওয়ান (১০৯) ও মুহাম্মদ উসমানের (১০২*) সেঞ্চুরিতে।

আরব আমিরাত ৩ উইকেটে ৫১ রানে ধুঁকতে থাকার সময় উইকেটে আসেন দুই ব্যাটসম্যান। চতুর্থ উইকেটে ১৮৪ রানের জুটি গড়ে ৪৬তম ওভারে তাদের জুটি ভাঙলেও তখন জয়ের সুবাস পাচ্ছিল আইসিসি সহযোগী সদস্য দেশটি।

জয় থেকে তখন মাত্র ৩৫ রান দূরে ছিল স্বাগতিকরা। এক ওভার হাতে রেখেই চার ম্যাচের এ সিরিজে শুভসূচনাটা পেয়ে যায় আরব আমিরাত। ১ ছক্কা ও ৯ চারে ১০৯ রানের ইনিংস খেলেন ভারতের কেরালায় জন্ম নেওয়া রিজওয়ান।

লাহোরে জন্ম নেওয়া উসমান ৩ ছক্কা ও ৭ চারে ১০২ রানের ইনিংসটি খেলেন।

গত এপ্রিলেও করোনা মহামারিতে ‘লকডাউন’ চলাকালীন ঘরের বারান্দায় স্ত্রীকে দিয়ে থ্রো–ডাউন করিয়ে ব্যাটিং অনুশীলন করেন রিজওয়ান।

কয়েক বছর আগেও তিনি আরব আমিরাত থেকে জন্মভূমিতে ফিরতে চেয়েছিলেন রঞ্জি ট্রফি খেলতে। কিন্তু কী ভেবে থেকে যাওয়ার পর গত বছর তাঁর অভিষেক ঘটে আমিরাতের জার্সিতে, এরপর দলে আসা–যাওয়ার মধ্যে ছিলেন। কিন্তু এই সেঞ্চুরিটি নিশ্চিতভাবেই দলে রিজওয়ানের ভিত শক্ত করবে।

জয়ের মধ্যে খারাপ খবরও পেয়েছে আরব আমিরাত। তাদেরসহ অধিনায়ক চিরাগ সুরি ও অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা বাঁহাতি স্পিনার আরয়ান লাকরা কোভিড–১৯ পজিটিভ।

আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) জানিয়েছে, দুজন খেলোয়াড়কে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তাঁদের ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।